আমি আবার বলছি বর্ষবরণে নারীদের লাঞ্ছিত হয়েছে তো কি এমন হয়েছে.....
এমন ঘটনা আগেও হয়েছে এখনও হয়েছে, ভবিষৎতেও হবে....
আপনার হয়তো আমাকে এই শিরোনামে দেখে আমাকে গালমন্দ করতে পারেন কিন্তু নারী লাঞ্ছিত কেন হলো ও কাদের দ্বারা হলো তা গভীর ভাবে একবার ভেবে দেখছেন....
ধরুন আপনার একটি ছেলে সন্তান আছে হঠাৎ সে পাড়ার কিছু বখাটেদের সাথে মিশে কিছু লঘু অন্যায় করে ফেলেছে যা সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিরা সেটা মেনে নিতে পারেনি কিন্তু আপনি জানার পরও সন্তানটিকে আপনি শাসন করলেন না, সতর্কও করলেন না উপরুন্ত প্রভাব খাটিয়ে আপনার ছেলের পক্ষে সাফাই গাওয়ার কিছু ব্যক্তিদের নিয়ে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের এক হাত নিলেন যে এটা আপনার ছেলের কাজ হতেই পারে না, এই অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট আমার সোনার মতো ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আবার সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নামে উল্টো থানায় গিয়ে মানহানির মামলাও করে আসলেন...
এমনই দিনের পর দিন, বছরের পর বছর একটার পর একটা অঘটন আপনার প্রিয় সন্তান ঘটিয়ে যাচ্ছে আর আপনি একই প্রলাপ বকে যাচ্ছেন..এটা আপনার সন্তানের কাজ নয়, এটা হতেই পারে।আপনার ছেলের পক্ষে সাফাই গাওয়ার কিছু ব্যক্তিদেরও একাই কথা। এবার ভাবুন সঠিক শাসন না পেলে একদিন আপানার সন্তান সমাজে কি ভুমিকা রাখতে পারে....তার দ্বারা কিনা হতে পারে।
বর্ষবরণে নারীদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা এটা খুবই দূঃখজনক ও জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত। আমাদের মা বোনদের এমন অবস্থা দেখার জন্য নিশ্চয় বাংলাদেশের স্বাধীন হয়নি।
আজ আমাদের তিন স্তর, চার স্তর নিরাপত্তার কথা বলা হচ্ছে সেটার নমুনা কি এই....?
এর আগেও অভিজিৎকে এই তিনস্তর, চারস্তর নিরাপত্তার মধ্যেই হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকারীরা নির্বিঘ্নে পার হয়ে গিয়েছে।
দেশে একেরপর এক ঘটানা ঘটে যাচ্ছে যেমন পেট্রল বোমা, গুম, হত্যা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড, শেয়ার বাজার, রানা প্লাজা, সাগর-রুনি হত্যা কান্ড এমন আরো কত আর একটি ঘটনা আরেকটিকে বড় ঘটানাকে ঢেকে দিচ্ছে অথচ এর কয়টার জোরালো প্রতিবাদ আমরা করতে পেরেছি...এর একটাও পারনি আর পারিনি বলেই একের পর এক ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে, পেয়েছি শুধু তদন্ত নামক ফলাফল। এটাও ধামা চাপা পড়ে যাবে সেই তদন্তের ফাদেঁ। সবই বিলীন হয়ে যাবে অতীতের মতো। যেন সোনার ছেলের কোন অভিযোগ আমলে নেয়া যাবে না। আমরা নির্বিকার থাকবো আগের মতো, স্বার্থ ব্যতিত কোনটারই প্রতিবাদ করবো না।
আবার আপনি বলতে পারেন এটা আমার বিষয় নয় কিন্তু কালই আপনি পত্রিকার পাতায় শিরোনাম হয়ে যেতে পারেন। এই রাস্ট্রতো আমাদেরই, একে মায়ের মতো ভালবাসা ও সুন্দর রাখা আমাদেরই দ্বায়িত্ব কারো একার নয়।
তবে আজ যে রাস্ট্র আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে....
আপনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন রাস্ট্রে আপনি যথেষ্ঠ নিরাপদ...
আপনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আগামীতে আপনার আমার মা বোনরা এমন পরিস্থিতির স্বীকার হবে না...
আপনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন পূর্বে কোন ঘটনার মতো এটার সুস্ঠ বিচার হবে...
আপনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন তরিতৎ গতিতে রাস্ট্র এর ব্যবস্থা নিবে...
দয়া করে কোন ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দিবেন না...
আজ স্বার্থান্বাসীদের মুখ বন্ধ, বিবেক নির্লজ্জভাবে একদিকে ঝুকে গিয়েছে। নির্লজ্জভাবে মিথ্যা বলা হয়, পাপকে পূন্যে পরিনত করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা লিপ্ত। নিজের স্বার্থবাদী পদকে আকড়ে ধরে রাখতে এই অবস্থা।
প্রত্যকটি ঘটনার সময় মতো সঠিকাভাবে জোরালো প্রতিবাদ না করলে একদিন রাস্ট্র আপনার সন্তানের মতো হতে অবাধ্য হতে বাধ্য.....
(এমন শিরোনামের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলাম)
ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮