তখনকার দিনে স্টার সিগারেটের ব্যপক ডিমান্ড। কেউ যদি গোল্ডলিফ খাইতো তবে সকলেই তাকাইয়া ভাবত না জানি কোন জমিদারের পোলা। আমারে বাজারে দেখতাম কেউ বিড়ি খাইতেছে, কেউবা তামুক দু একজন স্টার খাইতো। এর মাঝে দেখি একদিন এক পোলা এক প্যাকেট গোল্ডলিফ কিইন্যা একটা সিগারেট ধরাইয়া দাড়াইয়া দাড়াইয়া টানতে লাগলো। যারা এইখানে বসে ছিল তারা সবাই উঠে গিয়ে বলে ভাই বসেন। আমিতো অবাক বেটায় গোল্ডলিফ খায় দেইখ্যা মুরুব্বীরাও চেয়ার ছাইড়া দিলো। দুঃখে কইলজাটা ফাইট্যা গেলো। ভাবলাম সিগারেট না খাইলেতো চলবনা।
কিন্তু পরলাম বিপদে আমিতো আর কারও কাছ থেকে সিগারেট কিনতে পারিনা। তাই সন্ধার পর বাজারে যেতাম কেউ বিড়ি খাইয়া ফেলায়য়া দিলে পায়ের দুই আঙ্গুল দিয়া ধরে অন্ধকারে নিয়া দুই টান দিয়া কাশতে থাকতাম। শেষে বাজারের কোন চৌকিতে গিয়া শুয়ে থাকতাম। এইভাবে চলতে থাকলো। একদিন সবাই বললো সিগারেট না খাইলে যেহেতু আমরা দাম পাচ্ছিনা তো সবার সিগারেট খাওয়া উচিৎ। আমরা পাচজন একত্র হইলাম।
দুইটাকা দিয়ে এক প্যাকেট বিড়ি কিনলাম আর ৫০ পয়সা দিয়ে একটা ম্যাচ। তারপর সবাই মিলে একটা গম ক্ষেতের ভিতর ঢুকলাম। তারপর সবাই মিলে ঐ খানে মনের সুখে বিড়ি টানছি। বিড়িতে টান দিতাম আর ধোয়া ছাড়তাম। এক মেম্বার আবার ঐ দিক দিয়া যাইতেছিলো ধোয়া দেখে ভিতরে গিয়ে দেখে আমরা। কিছু বলে নাই শুধু একটা হাসি দিয়া চলে গেছে।
আমি বাসায় গিয়ে শুয়ে আছি। এমন সময় আম্মা এসে আমাকে ধরে জিজ্ঞাসা করলো বিড়ি খাইছি কিনা? আমি বললাম না। আম্মা বললো শ্বাস ফেলা তখনি খাইলাম ধরা। আম্মা তো আমারে ধইরা মাইর দেওয়া শুরু করলো। আমি বলতে লাগলাম আম্মাগো আর সিগারেট খাইতামনা। তারপরও আম্মা ছাড়লোনা.......... মাইর চলতেই লাগলো। শেষে আব্বা এসে ফিরালো। ঐ বারের মতো বাইচ্যা গেছি। তয় মেম্বার কে কিন্তু এইটার জন্য জটিল একটা সাইজ দিছিলাম। সেই হাসির গল্প আরেক দিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৫৩