সারা দেশের মানুষের এখন একটাই দাবী, যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি।
১৯৭১- সালে যারা দেশের সাথে, দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে বেঈমানি করেছে তাদের কোনও ক্ষমা নেই। কোনভাবেই তাদেরকে ক্ষমা করা যাবে না। তাদের শাস্তি- মৃত্যুদণ্ড। তবে, আমার কাছে মনে হয়, ফাঁসি- কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিলে তাদের প্রতি একটা অবিচার করা হবে। কারন, এটা তাদের জন্য একটা সহজ মুক্তির পথ হয়ে যাবে। খুব সহজে ৩ বা ৪ মিনিটেই মুক্তি। অন্তত, তারা যা করেছে তার প্রেক্ষিতে এতো সহজে আমরা তাদের মুক্তি দিতে পারি না।
দেশের মানুষের ভালোবাসার সাথে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাদের এতো সহজে মুক্তি দেয়া চলবে না। একসময় তারা যেমন দেশের মানুষদের নিয়ে খেলেছে, ঠিক সেভাবে তাদেরকে নিয়েও খেলা হবে। (তার্পা তার্পাকে মারেঙ্গে...)
বিভিন্ন উপায়ে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে। তিলে তিলে মারা হবে। সরকার তাদেরকে যে শাস্তি দেয়ার, দিবে। আপত্তি নেই। তবে, আমি তাদের জন্য কিছু শাস্তি তৈরি করেছিলাম, (বাস্তবায়ন হবেনা যদিও, তারপরও)
তাহলে চলুন দেখা যাক, বেইমানগুলোর জন্য তৈরিকৃত আজব কিছু শাস্তি-
দেশীয় হাওয়ায় কিছু দেশী শাস্তি + মানসিক (চাপ পড়বে আশা করা যায়) -
* হরতালের দিনে, রাজধানির বিপদজনক পয়েন্টগুলোতে-তাদেরকে বাস দিয়ে ঘোরাঘুরি করানো হবে। (বাসের গায়ে অগ্নি- সংযোগ না করা পর্যন্ত)
* লোড- শেডিং নিয়ে ১০০০ পৃষ্ঠার রচনা লিখতে দেয়া হবে। লেখার মাঝখানে যতোবার লোড- শেডিং হবে, ততোবার আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। (বিঃ দ্রঃ- বানান ভুলের জন্য ১,০০০ ভোল্টের ধাক্কা)
* সীমান্তের সামনে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে এবং সেখানে তাদেরকে বরফ-পানি খেলতে বলা হবে। দূর থেকে BSF কাক্কুরা খেলা judge করবে। ...(এরপর যা করার তারাই করবে)
* ঢাকা টু কক্সবাজার> পৌনে এক সপ্তাহের একটা ট্যুরে তাদেরকে পাঠানো হবে তবে, ৭ নাম্বার বাসে- (লক্কর- ঝক্কর মার্কা বিশেষ একটি লোকাল বাস), চালককে অবশ্যই হতে হবে মদ্যপ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিহীন।
* এয়ারটেল এর সিমযুক্ত একটি মোবাইল সবার হাতে ধরিয়ে দেয়া হবে। একে অপরের নাম্বারে কল করতে বলা হবে। শর্ত একটাই, প্রথমবার কল দেবার সাথে সাথে যদি কল না ঢুকে তাহলে কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে টানা ২ দিন গালি দিতে হবে। এক মুহূর্তের জন্য থামলে পশ্চাদদেশে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিসংযোগ।
* এবার কিছু বিনোদনের ব্যাবস্থা। সবাইকে আরামের সাথে একটা ঘরে বসানো হবে, ঘরে থাকবে ‘হোম থিয়েটার’ সিস্টেম। ছেড়ে দেয়া হবে- ছাকিব খান, ডিপজলের কালারফুল কিছু অ্যাডাল্ট মুভি...(ফুল সাউণ্ড দিয়ে)।
টানা ৭২ ঘণ্টা চলবে এই শো এবং একমুহূর্তের জন্য চোখের পলক সরানো যাবে না। সরালে- চিত্রনায়িকা ময়ূরী, মুনমুন( চাউলের বস্তা নামেই বিশেষ খ্যাতি) এদেরকে কাঁধে নিয়ে ১০ মাইল জগিং করতে হবে।
* অত্যান্ত যত্ন সহকারে ঢাকার সব নামীদামী হোটেলের ঐতিহ্যবাহী খাবার খাওয়ানো হবে,......(খাবারে মেশানো থাকবে ‘জামাল- গোটা’) অতপর; দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে গেলে টয়লেটে যেতে দেয়া হবে তবে, টয়লেটে পানির ব্যাবস্থা থাকবে না। পানির জায়গায় থাকবে গরম 'আলকাতরা'।
* হাতের সবগুলো নখ, প্লাস দিয়ে উপরে ফেলা হবে। অতপর, হাত- পা বেঁধে তাদেরকে একটা চেয়ারে বসানো হবে এবং সারা গায়ে ‘বিলাই চিমটি’ (চুলকানির পাউডার বিশেষ) ঢেলে দেয়া হবে।
* সিরিজ কাগজ দিয়ে যেভাবে কাঠ ঘষা হয় সেভাবে তাদের সারা দেহ ঘষা হবে, অতপর গায়ে লেবুর রস ঢেলে দেয়া হবে।
--শাস্তিগুলো কাল্পনিক। এগুলো তাদেরকে হয়তো কখনও দেয়া হবে না। তবে, তাদের প্রতি ব্যাক্তিগত আক্রোশ, ক্রোধ, ঘৃণা থেকেই লেখা হয়েছে এই পোস্ট এবং এরকম চিন্তা করা হয়েছে। আমি জানি, জনগন এসব হারামিগুলোকে সামনে পেলে এর চেয়ে ভয়াবহ শাস্তি দিতেও পিছুপা হবে না। আমরা ঘৃণা করি এসব নরকের কুত্তা কে, আজীবন ঘৃণা করবো- মনের অন্তঃস্থল থেকে।
........................................... .................................................
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৫৪