বিশ্ব শান্তির চিহ্ন বা "Peace symbol" নিয়ে কখনও ভেবেছেন কি?
যদি না ভেবে থাকেন, তাহলে চলুন একবার দেখে নেই এর পিছনের কিছু কথা-
এই সিম্বলটি মূলত একটি বৃত্তের ভিতর লম্বা রেখা ও ঢালু নিম্নগামী রেখার সমন্বয়ে গঠিত। যদিও সিম্বলটি নিয়ে অনেক ধরনের ব্যাখ্যা আছে তবে, সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাখ্যাটি হচ্ছে- "Gerald Herbert Holtom" (1914 - 1985)- নামক এক ব্যাক্তি ১৯৫৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এই সিম্বলটি তৈরি করেন। সেসময় তিনি 'Direct Action Committee against Nuclear War' অর্থাৎ, পারমাণবিক অস্ত্র-যুদ্ধের বিরুদ্ধে গঠিত একটি কমিটির সাথে কাজ করতেন। তিনি ছিলেন একজন শান্তিপ্রিয় নিষ্ঠাবান লোক। 'রয়েল কলেজ অফ আর্টস' থেকে তিনি তার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ইংল্যান্ডের একটি ফার্মে নিষ্ঠাবান-প্রতিবাদকারীর ভুমিকা পালন করেন। বিবিসি তার সেসময়কার কিছু কথা উদ্ধৃতি হিসেবে প্রচার করে, তা হলো- "I drew myself: the representative of an individual in despair, with hands palm outstretched outwards and downwards in the manner of Goya's peasant before the firing squad." অর্থাৎ, Goya'র বর্বরদের ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড়ানো গরীব কৃষকদের হাতের প্রতিনিধিত্ব করছে এটি, যা প্রসারিত হয়ে একবার নিচে নেমে আসছে আবার উপরে উঠছে।
বারট্রান্ড রাসেল (1872 - 1970), একজন দার্শনিক, ঐতিহাসিক, গণিতজ্ঞ, যিনি Direct Action Committee against Nuclear War- এর সাথেও কাজ করতেন। তিনি Holtom- এর এই সিম্বলকে প্রচণ্ডরকম সাপোর্ট করেন এবং এর প্রচারণাও করেন। যাই হোক, এই সিম্বলটিতে Holtom- মূল যে বার্তাটি দিতে চেয়েছেন তা হলো, "Nuclear disarmament" যার বাংলা অর্থ "পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ"।
সিম্বলটি মূলত 'semaphore signals' (পতাকার সাহায্যে দূর থেকে বার্তা পৌঁছানো) নামক পদ্ধতিতে তৈরি।
যদিও এই সিম্বলটির সাথে অনেকেই পরিচিত তবে, পিছনের এই ইতিহাস বা এর তাৎপর্য সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই।
যখনি আপনি এই সিম্বলটি কোথাও দেখবেন, বুঝে নিবেন 'মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসার একটি প্রতিফলনই সেখানে ঘটছে'।
...................................... ...............................
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১২