somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"বিশ্ব-শান্তির চিহ্ন"-(Peace symbol- এর জানা-অজানা)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্ব শান্তির চিহ্ন বা "Peace symbol" নিয়ে কখনও ভেবেছেন কি?
যদি না ভেবে থাকেন, তাহলে চলুন একবার দেখে নেই এর পিছনের কিছু কথা-
এই সিম্বলটি মূলত একটি বৃত্তের ভিতর লম্বা রেখা ও ঢালু নিম্নগামী রেখার সমন্বয়ে গঠিত। যদিও সিম্বলটি নিয়ে অনেক ধরনের ব্যাখ্যা আছে তবে, সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাখ্যাটি হচ্ছে- "Gerald Herbert Holtom" (1914 - 1985)- নামক এক ব্যাক্তি ১৯৫৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এই সিম্বলটি তৈরি করেন। সেসময় তিনি 'Direct Action Committee against Nuclear War' অর্থাৎ, পারমাণবিক অস্ত্র-যুদ্ধের বিরুদ্ধে গঠিত একটি কমিটির সাথে কাজ করতেন। তিনি ছিলেন একজন শান্তিপ্রিয় নিষ্ঠাবান লোক। 'রয়েল কলেজ অফ আর্টস' থেকে তিনি তার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ইংল্যান্ডের একটি ফার্মে নিষ্ঠাবান-প্রতিবাদকারীর ভুমিকা পালন করেন। বিবিসি তার সেসময়কার কিছু কথা উদ্ধৃতি হিসেবে প্রচার করে, তা হলো- "I drew myself: the representative of an individual in despair, with hands palm outstretched outwards and downwards in the manner of Goya's peasant before the firing squad." অর্থাৎ, Goya'র বর্বরদের ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড়ানো গরীব কৃষকদের হাতের প্রতিনিধিত্ব করছে এটি, যা প্রসারিত হয়ে একবার নিচে নেমে আসছে আবার উপরে উঠছে।
বারট্রান্ড রাসেল (1872 - 1970), একজন দার্শনিক, ঐতিহাসিক, গণিতজ্ঞ, যিনি Direct Action Committee against Nuclear War- এর সাথেও কাজ করতেন। তিনি Holtom- এর এই সিম্বলকে প্রচণ্ডরকম সাপোর্ট করেন এবং এর প্রচারণাও করেন। যাই হোক, এই সিম্বলটিতে Holtom- মূল যে বার্তাটি দিতে চেয়েছেন তা হলো, "Nuclear disarmament" যার বাংলা অর্থ "পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ"।
সিম্বলটি মূলত 'semaphore signals' (পতাকার সাহায্যে দূর থেকে বার্তা পৌঁছানো) নামক পদ্ধতিতে তৈরি।



যদিও এই সিম্বলটির সাথে অনেকেই পরিচিত তবে, পিছনের এই ইতিহাস বা এর তাৎপর্য সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই।
যখনি আপনি এই সিম্বলটি কোথাও দেখবেন, বুঝে নিবেন 'মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসার একটি প্রতিফলনই সেখানে ঘটছে'।
...................................... :) ...............................

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:১২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×