আফগানিস্তানের কান্দুজ শহরের একটি মাদরাসায় হিফজুল কুরআন সমাপনকারী হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে আমেরিকান বর্বর ড্রোণ হামলায় নিহত শতাধিক শিশুর হত্যাকাণ্ডের খবর ইতিমধ্যে বিশ্ববাসী জেনে গেছে ৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদটি প্রচার, ও বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদ হলেও, যেই গুরুত্ব ও ক্ষোভের সাথে এর প্রচার ও প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ ছিল, সেটি হয়নি ৷ এর কারণ সম্ভবত এটিই যে, এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘাতক হল আমেরিকা আর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে মাদরাসার তালেবেএলেমরা ৷ মুসলিম উম্মাহর অবিসংবাদিত রাহবার কায়েদে জমিয়ত মাওলানা ফজলুর রহমানের ভাষায় ফুটে উঠেছে সেই নির্মম সত্যটি ৷ তিনি বলেছেন, যখন কোনো স্কুলে হামলা হয়, তখন সবাই আমার কান্নার সঙ্গী হয়, কিন্তু যখন মাদরাসার ছাত্রদের হত্যা করা হয়, তখন আমাকে একাই কাঁদতে হয় ৷ সত্যিই, আজকে যদি হামলাকারীর মুখে দাড়ী আর মাথায় টুপি থাকত, তাহলে সন্ত্রাসবাদ নামে সারা বিশ্বজুড়ে শুরু হতো তোলপাড় ৷ কিন্তু যখন ক্লিনসেভ্ড আমেরিকানরা কুরআনের নিস্পাপ টুপিওয়ালা বুলবুলগুলোকে হত্যা করল তখন যেন ওদের মুখে কুলুপ আটা হয়েছে ৷
বিশ্ববাসীর সামনে আজ ওদের স্বরূপটা তুলে ধরা দরকার ৷ মিডিয়ার একচোখা নীতিও মানুষের বুঝবার সময় এসেছে ৷ কোথায় আজকে সেই মিডিয়া যারা মালালাকে নিয়ে কান্নার রোল তুলেছিল? ওরা কি আফগান হাফেজ শিশুদেরকে নিয়ে হৃদয়বিদারক কোনো হিস্টোরির কভারেজ দিবে?
কুরআন হিফজের আনন্দে ফুলের মত নিস্পাপ শিশুরা উদ্বেলিত ছিল, উৎসবের আমেজ ছিল তাদের পোশাক পরিচ্ছদে, ড্রোনের অভিশপ্ত বারুদ সেই আনন্দ কেড়ে নিয়ে সজ্জার পোশাককে ভিজিয়ে দিল বুকের তাজা খুনে, এ মর্মান্তিক রক্তলাল উপাখ্যান কি ছাপানো হবে প্রথম আলোর প্রথম পাতাজুড়ে?
তবে ওরা যাই করুক, আমাদেরকে বলে যেতে হবে আমাদের কথা ৷ আমরা প্রতিবাদ জানাবো এই বর্বরতার ৷ আমরা চিৎকার করে ক্ষোভ জানাবো এই হিংস্রতার ৷ পৃথিবীর মানুষ সবাই কিন্তু অন্ধ আর বধির নয় ৷ বিক্ষুব্ধ শান্তিকামী মানুষের প্রচণ্ড ঘৃণার বহ্নিশিখায় জালিমের মসনদ জলেপুড়ে ছারখার হবেই ৷ আজ নয় তো কাল!
আগামী শুক্রবার ৬ই এপ্রিল সকাল নয়টায় মোহাম্মাদপুর আল্লাহ করিম মসজিদের সামনে থেকে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে ইনশাআল্লাহ ৷
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮