ভারত কি সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে?
ড. তারেক শামসুর রেহমান
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে গত সপ্তাহে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের অতর্কিত আক্রমণ ও কয়েক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলি বিনিময়ের পর যে প্রশ্নটি নতুন করে আবার সামনে চলে এসেছে, তা হচ্ছে ভারত কী বাংলাদেশের সঙ্গে সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে? মনে হয় না। অথচ চলতি ৮ মার্চ আমাদের বিডিআর প্রধান গিয়েছিলেন ভারতে। সেখানে তার প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সময় সীমান্ত হামলার প্রশ্নটি এসেছিল। তখন আমাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। এরপরও ঘটছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে শীর্ষপর্যায়ে কথা হবে। কিন্তু কথা কী হয়েছে? আমরা আমজনতা, আমরা তা জানি না। কিন্তু আমরা বারবার দেখে আসছি বিএসএফ আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করছে এবং পাখির মতো বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে।
প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়েছিলেন। আমাদের ধারণা ছিল প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে ভারতের আচরণের পরিবর্তন আসবে। কিন্তু জৈন্তাপুরের ঘটনা আবারো প্রমাণ করল ভারতের আচরণে আদৌ কোন পরিবর্তন হয়নি। এই জৈন্তাপুরের ঘটনা তো একটি। এরকম জৈন্তাপুর প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু একটি দৃষ্টান্ত দেয়া যাবে না, সেখানে বিডিআর ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছে এবং ভারতীয় নাগরিকদের হত্যা করছে। বিএসএফ একতরফাভাবে বাংলাদেশীদের হত্যা করে প্রমাণ করে চলেছে যে, ভারত সৎ প্রতিবেশী নয়। অথচ জাতিসংঘের চার্টারে সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ ও সমমর্যাদা প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে। বিএসএফের কাছে জাতিসংঘের এই চার্টারও থাকছে উপেক্ষিত। বিএসএফের এই আচরণ কোটিল্যের সেই সূত্রকেই প্রমাণ করল, যেখানে কোটিল্য বলেছিলেন, পাশের দেশ কখনই মিত্র হয় না। মিত্র হয় পাশের দেশের সঙ্গে যে দেশটি রয়েছে, সেই দেশটি। হাজার বছরেরও আগে কোটিল্য একথা বলে গিয়েছিলেন। তিনি একদিকে ছিলেন পণ্ডিত, অন্যদিকে রাজার পরামর্শদাতা, মন্ত্রী। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার মতবাদ আজও রাষ্ট্রবিজ্ঞান তথা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রদের পাঠ্য। একটি বড় দেশের পাশে যদি একটি ছোট দেশ থাকে, তাহলে এই দেশ দুটোর মাঝে সম্পর্ক কী হওয়া উচিত এবং ওই ছোট দেশটি কীভাবে বড় দেশটির প্রভাব ও কর্তৃত্ব এড়িয়ে তার নিজস্ব স্বকীয়তা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখে, তা এখন একটি একাডেমিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ইতিহাস থেকেই দেখা যায়, একটি বড় দেশের পাশে যদি একটি ছোট দেশ থাকে, তাহলে এই দুইয়ের মাঝে সম্পর্ক কখনও ‘মধুর’ থাকে না। সব সময়ই সামরিক তথা অর্থনৈতিক আগ্রাসনের ঝুঁকিতে থাকে। যে কারণে বড় দেশের পাশে থাকা ‘ছোট’ দেশের রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার অবস্থান আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক সব সময়ই আলোচনার একটি বিষয়। বড় দেশ-ছোট দেশ সম্পর্ক অতীতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক ঘটনার জš§ দিয়েছে।
১৯৬১ সালের ইধু ড়ভ চরমং-এর ঘটনাবলীর পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে, তা বলা যাবে না। তবে কিউবা দীর্ঘ ৪০ বছর ‘বড় দেশ’ যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন থেকে নিজেকে রক্ষা করে আসছে। ওবামা তার নীতিতে কিছু পরিবর্তন এনেছেন সত্য, কিন্তু কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে, এটা বলা যাবে না। কিউবা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ও একটি দৃষ্টান্ত কিন্তু আফগানিস্তান কিংবা কম্পুচিয়া এ ধরনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি। ১৯৭৯ সালে ‘বড় দেশ’ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘ছোট দেশ’ আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছিল। আর ১৯৭৮ সালে ভিয়েতনাম দখল করে নিয়েছিল কম্পুচিয়া। আজকের প্রধানমন্ত্রী হুনসেন ভিয়েতনামেরই সৃষ্টি। লাওসেও রয়েছে ভিয়েতনামের প্রভাব। ভিয়েতনাম লাওসের সঙ্গে যে ‘বন্ধুত্ব ও নিরাপত্তা’ চুক্তিতে আবদ্ধ রয়েছে, তাতে লাওসের রাজনীতিতে বড় একটি ভূমিকা পালন করে ভিয়েতনাম। ওই চুক্তি অনুযায়ী ভিয়েতনাম লাওসে উপদেষ্টা নিয়োগের অধিকার রাখে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ভিয়েতনাম লাওসকে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল। পাঠক, ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তির কথা স্মরণ করতে পারেন। ওই চুক্তিটি ছিল ২৫ বছরের এবং ১৯৯৭ সালে ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে কোন পক্ষই আর চুক্তিটি নবায়ন করেনি। চুক্তির ৯ নং ধারায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতীয় সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নেয়া হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল যে, চুক্তিস্বাক্ষরকারী দুটি দেশের কোন একটি দেশ যদি শত্র“ দ্বারা আক্রান্ত হয়, তাহলে উভয় দেশ কালবিলম্ব না করে আলাপ-আলোচনায় মিলিত হবে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তবে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে বড় দেশ পাশের ছোট দেশের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব খাটায়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন খাটিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রভাব খাটাচ্ছে। ভারত এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই যে ভারত প্রভাব খাটায় তা নয়। বরং নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব ও কর্তৃত্ব স্পষ্ট। অতীতে ১৮১৬ সালে স্বাক্ষরিত সুগালি চুক্তি অনুযায়ী (Sugali Treaty) নেপালকে ভারতের আধা-উপনিবেশে পরিণত করা হয়েছিল। ওই চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রাজা কৃষ্ণ নারায়ণ শাহ। ভারত বৃটিশ রাজতন্ত্রের অবসান হলেও ওই চুক্তির বাধ্যবাধকতা এখনও রয়ে গেছে। গত ১১ জানুয়ারি নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড কাঞ্চনপুরে এক জনসভায় ভারতের ‘আধিপত্যবাদী’ ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে চীনে যে অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়, তাতে প্রেসিডেন্ট ডা. যাদবের যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে ডা. যাদব চীনে যেতে পারেননি। তার ক্ষমতাচ্যুতির ব্যাপারেও ভারতের হাত ছিল বলে প্রচণ্ড অভিযোগ করেছেন।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পজিটিভ দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নানা দৃষ্টিকোণ থেকে এই সফরকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। স্পষ্টতই এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষকরা দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন। এখানে যুক্তির চেয়ে আবেগ বেশি কাজ করেছে। যারা এই সফরকে ‘সফল’ বলে দাবি করেছেন, তাদের কাছে আবেগটাই ছিল বেশি। তিস্তার পানির ভাগবাটোয়ারার ব্যাপারে ভারত কোন প্রতিশ্র“তি না দিলেও আমাদের বিদ্যুৎ দেয়ার (২৫০ মেগাওয়াট) কথা দিয়েছিল। যদিও এর খুঁটিনাটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বলি, কিংবা পানিবণ্টনের কথা যদি বলি, নিয়ন্ত্রণ যদি ভারতের হাতে থাকে, তাহলে এ থেকে ভারত ফায়দা ওঠাবেই। পাঠক, ওটা বোঝার জন্য এখানে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব কিংবা রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশের দ্বন্দ্বের কথা আমরা উল্লেখ করতে পারি। ২০০৯ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে তার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে বড় ধরনের একটি সংকটের সৃষ্টি করেছিল, যা কিনা চিহ্নিত হয়ে আছে ‘গ্যাস যুদ্ধ’ হিসেবে। ইউক্রেন রাশিয়া থেকে সরবরাহকৃত গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া দাবি করেছিল ইউক্রেনকে ওই গ্যাস আন্তর্জাতিক দরে কিনতে হবে, যাতে ইউক্রেন রাজি ছিল না। তারা চেয়েছিল আগের দামেই তারা গ্যাসবিল পরিশোধ করবে। সংকটটা সৃষ্টি হয়েছিল সেখান থেকেই। অন্যদিকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশ। Druzhba বা Friendship Pipeline-এর মাধ্যমে বেলারুশে রাশিয়া জ্বালানি তেল সরবরাহ করে। বেলারুশ ওই তেলের একটা অংশ আবার বিক্রি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে। ওই সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছিল।
বলা ভালো, রাশিয়া কাজাকিস্তান ও বেলারুশের সমন্বয়ে গঠন করেছে ‘কাস্টমস ইউনিয়ন’, যা কিনা বেলারুশের চিন্তার অন্যতম কারণ। একই সঙ্গে এই দেশ দুটির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে 'Union State' যা কিনা দেশ দুটিকে রাজনৈতিক একত্রীকরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ‘Union State’ গঠিত হওয়ার ফলে বেলারুশ এখন পরিপূর্ণভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাসেনকোর ভয়টা এখানেই। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলারুশে রাশিয়ার স্বার্থ রয়েছে যথেষ্ট, যাকে প্রেসিডেন্ট মেদভেদভ বলেছেন, ‘Zone of privileged interest’। যাকে বিশ্লেষকরা NATO’র বিকল্প ভাবতে শুরু করেছেন। এক সময় তো Treaty Organization ছিল NATO ’র বিকল্প। আজ ইউক্রেন কিংবা বেলারুশের মতো ছোট ছোট দেশগুলো রাশিয়ার সম্ভাব্য ভূমিকায় আতংকিত (দেখুন, Jefrey Mankoff, Long Pipelines Make Bad Neighbors, Foreign Policy, January 13, 2010)। এই দুটি দৃষ্টান্ত থেকেই বোঝা যায়, পাশের দেশ যদি ‘বড়’ হয়, তাহলে তার প্রভাব লাটিয়ে ওঠা কঠিন এবং সেই ‘বড় দেশ’ পার্শ্ববর্তী ‘ছোট দেশ’-এর ওপর তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখবেই। ভারত বড় দেশ। অর্থনীতিতে অন্যতম পরাশক্তি হতে চলেছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়াকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় ভারত। এ ক্ষেত্রে অন্য কোন শক্তি (বিশেষ করে চীন) এ অঞ্চলে প্রভাব খাটাক এটা ভারত চায় না। এটাই India Doctrine-এর মূল কথা (India To-day, 9 August 1983)। ফরিদ জাকারিয়া (নিউজ উইক-এর সম্পাদক) ভারতের এই ভূমিকাকে সামনে রেখেই লিখেছিলেন, India is the hegeman of South Asia with enormous influence throughout the sub-continent তিনি আফগানিস্তানে শীর্ষ মার্কিন সেনা কমান্ডার জেনারেল স্ট্যাগলি ম্যাকক্রিস্টালের একটি গোপন প্রতিবেদন উল্লেখ করে লিখেছেন, ও increasing Indian influence in Afghanistan is likely to exacerbate regional tensions and encourage Pakistani Countermeasures (Washington Post, 23 November 2009)। ভারতীয় প্রভাব শুধু আফগানিস্তানেই যে বেড়েছে, তা নয়। পাকিস্তানে বেলুচিস্তানে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে, সেখানেও রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা।
বড় দেশ হিসেবে ভারতের কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা, সে প্রত্যাশা পূরণে ভারত কখনই এগিয়ে আসেনি। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে ভারত একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ভারত দেখছে তার স্বার্থ। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পর সম্পর্ক যেখানে বাড়বে, সেখানে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ছে। তাতে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে হতাশা বাড়ছে। এতে করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মন জয় করা যাবে না। ভারত সম্পর্কে একটা ভীতি থেকে যাবেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলাপ করার কথা বললেও, এটা কোনদিনই সম্ভব হবে না। আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার কারণে বাংলাদেশকে এখন আন্তর্জাতিক আসরে প্রতিবাদ জানাতে হতে পারে। কিন্তু তাতে করে সমস্যার সমাধান হবে না। আসলে যা প্রয়োজন তা হচ্ছে মানসিকতার পরিবর্তন। ভারত যদি তার মানসিকতার পরিবর্তন না করে, যদি বাংলাদেশকে সত্যিকারভাবে ‘বন্ধু’ না ভাবে তাহলে সীমান্ত সংঘর্ষ হতে থাকবেই। এটা রোধ করা যাবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে জানিয়েছেন, গত বছর বিএসএফের গুলিতে ৬৮ জন বাংলাদেশী খুন হয়েছে। এটাকে হালকাভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। পৃথিবীর কোথাও এভাবে সীমান্তে মানুষ মারা হয় না। জৈন্তাপুর সীমান্ত সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ে দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ‘পতাকা বৈঠক’ হয়েছে। ভারতীয় পক্ষ থেকে আবারও আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে, সীমান্তে কোন আগ্রাসী তৎপরতা চালানো হবে না। এ ধরনের আশ্বাস অতীতেও দেয়া হয়েছিল। কোন কাজ হয়নি। জৈন্তাপুর ডিবির হাওর সীমান্তে পরিস্থিতি ১৬ মার্চ পর্যন্ত ছিল অশান্ত (যায়যায়দিন)। চারটি গ্রাম এখনও জনশূন্য। উভয়েই বাঙ্কার খুঁজে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছে। এই যে পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতিকে সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ বলা যাবে না। আমরা এ ধরনের পরিস্থিতির অবসান চাই।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অধ্যাপক, জাবি
[সূত্রঃ যুগান্তর, ২৩/০৩/১০]