ছবি: ১
সামহোয়্যার ইনে আমার প্রথম ব্লগ পোস্টটি ছিল চট্টগ্রাম কলেজ সম্পর্কিত। ঐ পোস্টে একটি ছবি সংযোজন করেছিলাম, যেখানে চট্টগ্রাম কলেজের প্রধান প্রবেশ ফটকটি দেখা যাচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজে অর্থনীতিতে অনার্স করার সময় ছবিটি তুলেছিলাম। ১৯৬৯ সালে নির্মিত এই গেইটটির ছবি আর কেউ কখনও তুলতে পারবে না। কারণ চট্টগ্রাম কলেজ গেইটটি ভেঙে ফেলা হয়েছে! চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজে এটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। (দেখুন ছবি ১ ও ২)
ছবি: ২
পাঠক নিশ্চয় ভাবছেন, চট্টগ্রাম কলেজ গেইট ভেঙ্গে ফেলার সাথে আইয়ুব খানের পতনের সম্পর্ক কোথায়? ব্যাটা তো কবে মইরা ভূত হইয়া গেছে! আসলে কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এই গেইটটি যখন নির্মাণ করা হচ্ছিল তখন আইয়ুব খান ছিল স্বৈরশাসক। তাকে খুশি করার জন্য তার নামের আদ্যাক্ষর AK ব্যবহৃত হয়েছিল গেইটটি ডিজাইনের সময়। (ছবি ৩ খেয়াল করুন) আশা করি এবার বুঝতেই পারছেন এই গেইট ধ্বংস হওয়ার মধ্য দিয়ে আইয়ুব খানের নাম চট্টগ্রাম কলেজের (কিংবা চট্টগ্রামের, কিংবা বাংলার) মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন হলো! মৃত্যুকালে গেইটটির বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর।
ছবি: ৩
চট্টগ্রাম কলেজ কি তবে গেইটবিহীন হয়ে গেল? চট্টগ্রাম কলেজে মাশাল্লা গেইটের অভাব নাই! পূর্ব গেইট, হোস্টেল গেইট (পূর্ব), হোস্টেল গেইট (পশ্চিম), প্যারেড গেইট, ক্যান্টিন গেইট, ছোট গেইট (প্রধান গেইটের পাশে) সবই আছে। তাছাড়া যে গেইটটি ভাঙ্গা হয়েছে সে স্থানের একটু ভিতরে করে তৈরি হবে নতুন প্রধান ফটকটি। এখন ভাববার বিষয় নতুন গেইটটির ডিজাইনের ক্ষেত্রে অন্য কেউকে খুশি করতে SH আদ্যাক্ষর ব্যবহার করা হয় কিনা!
________________
http://www.saifsamir.com
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৩