কারও মৃত্যুর পর তার অপকর্মের কথা অস্বীকার করা বা লুকিয়ে ফেলতে চাওয়াটা কাপুরুষতা ও শঠতা ছাড়া আর কিছু না।
- সে ব্যক্তিগতভাবে যা করেছে সেটা তার ব্যক্তিগত কৃতকর্ম। তার ব্যক্তিগত অপকর্মকে নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে অস্বীকার করার তো দরকার নেই! সে সামষ্টিকভাবে সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ ও দশের স্বার্থে যা করেছে সেটাই আমাদের বিবেচ্য।
কারও মৃত্যুর পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করা বা অপব্যাখ্যা দেয়া অবশ্যই ভণ্ডামির চূড়ান্ত রূপ।
- তার মৃত্যুর প্রধান ও সামষ্টিক কারণটা না দেখিয়ে অন্য কোন কারণ যা আসলে সম্পূরক কারণ তা উপস্থাপন করাটা কুচক্রান্তমূলক।
কারও মৃত্যুর পর তার নামে গীত রচনা করে তাকে ধুয়ে-মুছে সাফ করে বিভিন্ন টাইটেল জুড়ে দিয়ে মহান বানিয়ে ফেলাটা আহাম্মকি কারবার।
- মৃত ব্যক্তিটির কর্ম যদি ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে সামষ্টিক পর্যায় পর্যন্ত অবিসংবাদিত হয়, তবে তার মাহাত্ম্য প্রচারটা অবশ্যই করণীয়। কিন্তু ব্যক্তিটির কোন বিতর্কিত অধ্যায় থাকলে বেশি ঢাকঢোল পেটাতে গেলে অবশ্যই তা নেতিবাচক পরিণতি ডেকে আনবে। কারণ সুযোগ সন্ধানীরা সবসময় হাঁ করে চেয়ে থাকে বিতর্কের সূত্র সন্ধানে।
অতএব, মৃত ব্যক্তি নিয়ে যখনই যা কিছু করেন, ভাবিয়া শুনিয়া করিবেন। যেহেতু করিয়া-টরিয়া ভাবিয়া কোন লাভ নাই।
আবেগ বড়ই ভয়ঙ্কর জিনিস! আবেগকে সময় মতো সঠিক পথ দেখাতে না পারলে আপনাকে ভয়ঙ্কর নরকে নিয়ে যাবে!
_______
সংযুক্তি: এটি কোন নাস্তিক ব্লগারের লাশ নয়... তবে কার লাশ?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮