পূর্বকথা: বিচারের বাণী ভয়ে কাঁপে??? রাষ্ট্রের মর্মান্তিক পরাজয়!!!
কয়েকজন ইন্টারনেট মহারথীকে দেখছি আওয়ামী লীগকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে উদগ্রীব। তারা এই রায়ের দায় আওয়ামী লীগের কাঁধে না চাপানোর জন্য রীতিমত অনুনয়-বিনয় করছেন। বিগত দিনগুলোতে রাজাকারদের মৃত্যুদণ্ড কামনা করে আসা লোকগুলোর এই নগ্ন দালালি দেখে হাসি ও ক্ষোভের একটা তীব্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় মনে। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগকে দায়ী করবেন না। কেন ভাই, রায়ে যদি মৃত্যুদণ্ড হতো আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করতেন না? কদিন আগের রায়েই তো করলেন! তাছাড়া নেত্রীকে 'সমুদ্র বিজয়ের' মতো 'মানবতা বিজয়ের' মুকুট পরানোর বাসনা তো আছেই সুপ্ত হয়ে। তারা বলছেন, রায় দ্যায় আদালত, আওয়ামী লীগ না। খুব ভালো কথা। কিন্তু অনলাইন মহারথীরা, জনগণের মতো আপনারাও জানেন, এদেশে বিচার ব্যবস্থায় কতটা কি হতে পারে। হস্তক্ষেপ হতে পারে কিনা? বিব্রত হয় কিনা? প্রভাব কাজ করে কিনা? দয়া করে ন্যাকা সাজবেন না! মাইনকার চিপায় পড়লে ন্যাকা সাজা দেখছি অভ্যাস হয়ে গেছে!
ছাত্র অবস্থায় আপনাদের কয়েকজন হকি স্টিক হাতে লীগ করেছেন এমন তথ্য আছে; তাই হয়তো আওয়ামী লীগের প্রতি এতো প্রেম উথলে পড়ছে। কিন্তু রাজাকার বিরোধী সহযোদ্ধারা, কাল যখন সরকার পরিবর্তন হবে, বিশেষ ব্যবস্থায় যখন রাজাকার জামিন পাবে, তখন কসায়ের হাত থেকে ধর বাঁচাতে কোন নেত্রীর আঁচলের পেছনে গিয়ে লুকাবেন? নেত্রীর তো আম্রিকায় বসতবাড়ি-পরিবার আছে, আপনাকে সঙ্গে নেবে? নিতেও পারে, যদি আগে থেকেই পারিশ্রমিক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন।
নিজেদেরকে কেউকেটা না ভেবে সাধারণের কাতারে চলে আসুন। এই রায় যথার্থ হয়নি বলে মেনে নিন। বলুন: আমরা কারও দালালি করবো না। সত্য বলে জীবন যাবে যাক, তবু মাথা নোয়াবো না। জানি, সাধারণের কাতারে নামলে সমস্যা আছে। নেতা হয়ে দীর্ঘজীবী হতে পারবেন। অনেকদিন ধরে অনলাইন মাতাতে পারবেন। সাধারণের শহীদ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০