প্রত্যেক সৃষ্টিই স্রষ্টা প্রদত্ত প্রকৃতি মানতে বাধ্য।নাক দ্বার ঘ্রান নেয়া যায় আপনি চোখ দ্বার ঘ্রাণ নিতে পারবেন না- এটাই প্রকৃতি।অর্থের প্রতি লোভ জাগা এটা মানুষের প্রকৃতি।এ লোভ জাগাকে আপনি থামাতে পারবেন না, লোভ জাগবেই প্রকৃতির নিয়মে। আপনি লোভকে প্রশ্রয় দিবেন কিনা সে সক্ষমতা আপনার আছে।একটি সুন্দরী দেখলে আপনার ভিতরে যে তার প্রতি আকর্ষন জাগে এটাই প্রকৃতি, এ জাগাকে আপনি থামাতে পারবেন না, আপনি পারবেন এ কাম চাহিদা কে দমন করে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে।প্রকৃতি বুঝার জন্য এটুকু আলোচনা করলাম।
মানুষের মধ্যে আরেকটি বিশেষ প্রকৃতি আছে যার দাসত্ব পৃথিবীর প্রায় ৯৫% মানুষ করে থাকে। সেটা হল- মানুষ যে বংশে, ধর্মের পরিবারে, গোষ্ঠিতে, দেশে জন্মগ্রহণ করে তার প্রতি তীব্র ভালবাসা ও টান অনুভব করে।পরিতাপের বিষয় মানুষ তার এ প্রেমকে দমন করে মুক্তমনে সত্যের পুজার বদলে প্রত্যেকে তার এ প্রকৃতির পূজা করে থাকে।
এবার আসি আসল কথায়। আল কুরআনের দৃষ্টিতে সত্যিকার মুসলমান বাদে বাকি সকলে জাহান্নামে যাবে।যারা মুসলমান তারা জন্মগত কারনে মুসলমান, যারা হিন্দু তারাও জন্মগত কারনে হিন্দু, যারা খ্রিষ্টান তারাও জন্মগত কারনে খ্রিষ্টান একই কারনে অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নিজ নিজ ধর্মের অনুসারী।জন্মগত টানের পূজার দিক থেকে সব ধর্মাবলম্বীই সমান। একজন মুসলমানকে তার ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি করলে তার কষ্ট লাগে, এটাও তো তার প্রকৃতগত কারনে, সে তো ইসলামকে গ্রহণ করেনি বরং প্রকৃতিগত টানের কারনে সে তা ভালবাসে ও পালন করে থাকে।প্রশ্ন হল এই প্রকৃতগতটানের পূজার কারনে কিছু লোক জাহান্নামে যাবে আবার একই প্রবৃত্তির পূজার কারনে কিছু লোক জাহান্নামে যাবে এ কেমন ন্যয় বিচার? নাকি অন্য ধর্মের পরিবারে জন্মগ্রহণ করাই তার অপরাধ।
কেউ কেউ ব্যখ্যা করেন এ বলে যে যে সকল অমুসলিম ইসলামের দাওয়াত পায়নি তাদেরকে আল্রাহ জাহান্নামের শাস্তি দিবেন না।এ কথা অবশ্য কুরআনের কোথাও লেখা নেই। কুরআনের দাওয়াত পেলে তা গ্রহণ তারা কেন করবে, আপনি যেমন জন্মগত কারনে নিজের ধর্মকে একমাত্র সঠিক মনে করেন তারাওতো একই কারনে নিজেদের ধর্মকে একমাত্র সঠিক মনে করে। সঠিক ধর্ম পালন করলে তো অন্যে ধর্মের কথা শোনার প্রয়োজনই নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩