আবার ক্ষেত্রেবিশেষে এর ভাষা পরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হয় প্রকাশের ভঙ্গি। সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে বৈধতা নির্ধারিত হয়। আদিম যুগ থেকে আধুনিক যুগ সর্বত্রই এর বিচরন।
মানব জীবনের সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে এটি জড়িত।এটা ছাড়া যেন বাচাই দায়।
এতক্ষন ধরে আমি কি বলে যাচ্ছি নিশ্চই আপনার মনে খোচা দিচ্ছে। মনের মধ্যে এক ধরনের প্রশ্ন তৈরী হচ্ছে কি সেটা?
আসলে বলছিলাম ভালবাসার কথা।
এক আশ্চর্য টার্ম। কোথা থেকে যেন উত্তপত্তি হয়ে কার জীবনে আনে প্রশান্তি কারো জীবনে সর্বনাশ।
বাবা সন্তানের এক ধরনের ভালবাসা, স্বামী স্ত্রীর এক ধরনের ভালবাসা, আবার ছেলেমেয়ের এক ধরনের ভালবাসা।
ভালবাসার সংগা আজ পর্যন্ত কেউই সঠিক ভাবে দিতে পারেন নি।
তবে বিজ্ঞানী গবেষনার ফলাফল থেকে জানা যায় এটা শুধু মাত্র হরমোনের খেলা।
হরমোনের খেলা নিয়ে আরেক দিন একটা লেখা দিব চেস্টা করব।
আজ শুধু কি করে একটা সম্পর্কের মাঝে ভালবাসাকে নিয়ে আসবেন সেটাই আলোচনা করছি।
আপনি যদি যুবক হয়ে থাকেন এবং যদি একটি সম্পর্কের মধ্যে থাকেন তবে এইটা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় আপনার জন্য সম্পর্কের মাঝে ভালবাসাকে নিয়ে আনা।
আর যদি প্লে বয় হয়ে থাকেন তবে আপনার এই পোস্ট না পড়াই ভাল। আপনি অনেক অভিজ্ঞ মানুষ। পোস্টের আলতো কথায় আপনার ভাল লাগবে না। বিরক্ত হয়ে যাবেন। অযথা সময় নস্ট। পরে আমাকে গালি দিবেন অফলাইনে।
ধাপসমুহঃ
১) সিদ্ধান্ত নিনঃ--
প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিন আপনি একটি সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য ভালবাসার সম্পর্কে জড়াবেন। সেই অনুযায়ী নিজেকে মানষিকভাবে তৈরী করুন।
২) ভালবাসি কথাটা জানাতে বেপরোয়া হবেন নাঃ-
সময় নিন কি বলবেন আপনার সঙ্গীকে। কিভাবে বলবেন এবং কি পরিবেশে বলবেন তার জন্য তার জন্য একটু সময় নিয়ে ভাবুন।
দেখা গেল আপনি তাকে চলতি পথে তাকে বললেন তাকে আপনি ভালবাসেন অথচ সে তা অনুভব করল না। তাহলে হিতে বিপরীত হবে।
একটা আইডিয়া দিচ্ছি যেটা আমার বন্ধু এপ্লাই করছিল ওর প্রেমিকার মন জয় করতে। আপনি কোন রেস্টুরেন্টে যাবেন খেতে আপনার সঙ্গীকে নিয়ে। যাওয়ার আগে পকেটে করে একটি পায়েল নিবেন।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে বলবেন দেখি তো তোমার পা টা। তারপর তার খালি পায়ে পায়েলটা পরিয়ে দিয়ে বলবেন পা খালি রাখতে নেই এই পায়েল টা তোমার পায়েই মানায়। তারপর জানাবেন আপনি তাকে ভালবাসেন।
দেখবেন তার প্রেম নিশ্চিত ঠিক আমার বন্ধুর মত যে তার প্রেমিকার মন জয় করছিল বসুন্ধরা সিটির রেস্টুরেন্টে ৩০ টাকার পায়েল পড়িয়ে দিয়ে।
৩) আপনার উপর তার বিশ্বাস তৈরি করুন। তাকে সন্মান প্রদর্শন করুনঃ-
বিশ্বাস খুবই গুরুত্বপুর্ন সম্পর্কের তৈরির জন্য। আপনি কি তাকে সারাজীবন আপনার সাথে রাখতে পারবেন? আপ্নারা কি পরস্পর কতাবার্তা বলতে সাচ্ছদবোধ করেন? আপনাদের মধ্যে কি পারস্পিরিক সন্মানের উপস্থিতি আছে? আপনাদের সম্পর্কটা কি দীর্ঘস্থায়ী হবে?
যদি উত্তরগুলো হ্যাঁ হয় তবেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যান।
আর না হলে এখানেই স্টপ হয়ে যান।
৪) ধীরে ধীরে সম্পর্কের মাঝে শারীরিক প্রভাবকে প্রবেশ করানঃ-
সম্পর্ককে গভীর পর্যায়ে নিয়ে যেতে সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে শারীরিক প্রভাব।
শারিরিক প্রভাব সম্পর্কে আনে দীর্ঘস্থায়ীত্ব
পারস্পরিক মানসিক মনস্থাত্বিক চিন্তা ভাবনাকে উন্নত করে।
আপনার সংগীকে গভীর আবেশে জড়িয়ে ধরুন, প্রয়োজনে আলতো করে কিস করুন।
ভুলেও তাকে ভোগের পন্য ভাববেন না। তাকে যৌনাতায় বাধ্য করবেন না।
যদি সে রকম কিছু চিন্তা করে থাকেন তবে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব কমে যাবে।
উপরের কথা গুলো মেনে সম্পর্কের পথে এগিয়ে যান ভালবাসার মানুষটিকে সারাজীবনের জন্য পেয়ে যাবেন।
আপনাদের জীবন ভালাবাসাময় হয়ে উঠুক এই কামনায়
উদাসপথিক।
তথ্যসুত্রঃ গুগল
আমার আগের পোস্টটিঃ ভার্চুয়াল জগতের সকল আপুদের জন্য সতর্কবার্তা। No 18+
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫