কিন্তু কী এই ভাইরাস, কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে এই ভাইরাসের জাল থেকে?
ভাইরাসের নাম- ডিএনএস চেঞ্জার বা ডোমেন মেইন সিস্টেম চেঞ্জার
বিশ্বের অন্তত ৩ লক্ষ কম্পিউটার ডিএনএস চেঞ্জার আক্রান্ত
ভারতের প্রায় ২০ হাজার কম্পিউটার ডিএনএস চেঞ্জার আক্রান্ত
রাশিয়ার কয়েকজন সাইবার হ্যাকার এই ভাইরাস তৈরি করেন
মার্কিন সংস্থা এফবিআই বা ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ডিএনএস চেঞ্জার এই ভাইরাসকে নষ্ট করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করলেও সক্ষম হয়নি
৯ জুলাই এফবিআই সমস্ত ভাইরাস আক্রান্ত সার্ভার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে
সার্ভার বন্ধ করায় কী হবে?
সার্ভার বন্ধ করে দেওয়ার ফলে কোনও ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটার থেকে আর ইন্টারনেট খোলা যাবে না৷
কম্পিউটার থেকে ভাইরাস মুছে দেওয়ার পরই ফের ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে
কী ক্ষতি করে ডিএনএস চেঞ্জার ভাইরাস?
কম্পিউটারে এই ভাইরাস থাকলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনও ওয়েবসাইটে ঢোকার সময় ভাইরাস আইপি অ্যাড্রেস বদলে দেয়৷ ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না৷
কতটা ছড়িয়ে পড়েছে ডিএনএস চেঞ্জার?
বিশ্বের ৩ লক্ষ কম্পিউটার ডিএনএস চেঞ্জার আক্রান্ত
আমেরিকা- ৭০ হাজার কম্পিউটার ডিএনএস চেঞ্জার আক্রান্ত
ইতালি- ২৭ হাজার কম্পিউটার ডিএনএস চেঞ্জার আক্রান্ত
কীভাবে জানা যাবে কম্পিউটারে ডিএনএস চেঞ্জার ভাইরাস আছে কিনা?
কম্পিউটার থেকে 'www.dns-ok.ca/' ওয়েবসাইটে যেতে হবে৷ ওয়েবপেজের একদম নিচে 'I Agree' বলে যে 'option' থাকবে তাতে ক্লিক করতে হবে৷ এরপর যে পাতাটি খুলবে তা সবুজ রঙের হলে কম্পিউটার বিপদমুক্ত৷ কিন্ত পাতার রঙ যদি লাল হয় তাহলে বুঝতে হবে কম্পিউটারটি ভাইরাস আক্রান্ত৷
কীভাবে কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত করা যাবে ?
যে কোনও ভাল অ্যান্টি ভাইরাসের সাহায্যে ভাইরাস মুছে দেওয়া সম্ভব৷ ইন্টারনেট থেকে ফ্রি অ্যান্টি ভাইরাস টুল ডাউনলোড করে তা কম্পিউটারে রান করালে ভাইরাস মুছে যাবে৷
ফ্রি ভাইরাস স্ক্যান করেও ভাইরাস মোছা যাবে৷
ডিএনএস চেঞ্জার ওয়ার্কিং গ্রুপের ওয়েবসাইট 'www.dcwg.org/fix/' -এও ভাইরাস মোছার জন্য ফ্রি টুল পাওয়া যাচ্ছে৷