(ওর ব্লগের Total Pageviews টা লক্ষ করুন "থ" হয়ে যাবেন)
অবাক করার মতো হলেও সত্যি, স্কটিশ ব্লগার মার্থা পেইন-এর ব্লগ এখন ৩০ লাখ পাঠক পড়েন এবং তার বয়স মাত্রই নয় বছর! আর ঘটনার সূত্রপাত মার্থার স্কুলের টিফিন থেকে। খবর বিবিসি’র।
নিজের স্কুল ক্যান্টিনের নিম্নমানের খাবারের ছবি তুলে ব্লগে পোস্ট করতেন মার্থা। বেশ প্রেস কাভারেজও পাচ্ছিলো মার্থার নেভারসেকেন্ড ব্লগ। কিন্তু মাঝে বাধ সাধে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মার্থার ব্লগে বাজে খাবার নিয়ে লেখালেখির কারণে স্কুল ক্যান্টিনের রাঁধুনীরা চাকরি হারাবার ভয়ে আছেন- এই অজুহাতে ক্যান্টিনের খাবারের ছবি তুলে তা ব্লগে পোস্ট করতে মার্থাকে নিষেধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মার্থাও বাধ্য হয়েছিল ওই নিষেধাজ্ঞা মানতে। কিন্তু এতে মার্থার পক্ষে এগিয়ে আসে ভার্চুয়াল দুনিয়ার পাঠকরা।
স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের কারণ, সংবাদপত্রে মার্থা ও শেফ নিক নেয়ার্নকে নিয়ে লেখা একটি আর্টিকল, যার হেডলাইন ছিল, ‘টাইম টু ফায়ার দি ডিনার লেডিস’। এরপরই মার্থার ফুড ব্লগিং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে লখগিলফেড প্রাইমারি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মার্থার ব্লগার বন্ধুরা। ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যায় মার্থার ব্লগ অনুসারী। সাইবার স্পেসে একের পর এক প্রতিবাদ আর সংবাদ মাধ্যমে স্কুলের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের লেখালেখির কারণে শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে মার্থার ব্লগিং-এর মূল উদ্দেশ্যই ছিলো আফ্রিকার মালাউয়ির স্কুলের শিশুদের খাবারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা। স্কুল কর্তৃপক্ষ মার্থার ব্লগিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আগ পর্যন্ত মার্থার সংগ্রহ ছিলো ২ হাজার পাউন্ড। কিন্তু মার্থার নেভারসেকেন্ড ব্লগের জনপ্রিয়তা এখন এতোটাই বেড়ে গেছে যে মালাউয়ির শিশুদের জন্যে মার্থার সংগ্রহ ৭৩ হাজার পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মার্থা বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। মালাউয়িতে বাচ্চাদের জন্য খাবারের জোগান দেবে এমন একটা কিচেন তৈরিতে খরচ হবে ৭ হাজার পাউন্ড। কিন্তু আমাদের সংগ্রহ এতো বেশি যে, কয়েক হাজার শিশুকে টানা এক বছর খাবার জোগান দিতে পারবে তা।’
মার্থার ব্লগের ঠিকানা- http://neverseconds.blogspot.co.uk/
সর্বশেষ খবর হলো, হ্যা, মার্থা আবার তার টিফিনের খাবারের ছবি তুলতে পারছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:১২