এই ছবিটা ঐশীর ।
যে তার বাবা মাকে খুন করেছে বা করিয়েছে নিজে দাড়িয়ে থেকে । যেকোন বাবা মা অথবা অনুগত সন্তানের কাছেই এই খবর দুনিয়ার সব থেকে খারাপ খবর গুলোর একটা । এখন মিডিয়ার কল্যাণে অনেক খবরই আমরা জেনে যাই খুব সহজে,তারপর ব্লগ,ফেইসবুক এর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে যায় দেশময় । সুতরাং এসবি কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ড এখন টক অফ দা নেশন । শুরুতেই অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে কেন এই খুন ? তাও আবার নিজের বাবা মা কে !!!
এবার আসুন সাম্প্রতিক কিছু কথা যা হয়ত অনেকেই জেনে গেছেন ফেইসবুকের কল্যাণে । হয়ত এর কোন সোর্স নেই তবু কেন যেন আমার মনে হয়েছে কথা গুলো সত্য ঐশীর নির্দেশে বাবা-মাকে খুন করে বন্ধুরা
মেয়ে ঐশী রহমানের (১৭) বন্ধুদের হাতেই খুন হয়েছেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান (৪৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান (৪২)। আর হত্যার নির্দেশ দেন ঐশী নিজেই। হত্যাকাণ্ডে চার থেকে পাঁচজন বন্ধু অংশ নেয় বলেও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ঐশী। ঘটনার সময় সে পাশেই ছিল বলেও জানায়।
মা-বাবা খুন হওয়ার পর রহস্যজনকভাবে পালিয়েছিল ঐশী। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে পল্টন থানায় এসে সে নিজের পরিচয় দিয়ে স্বেচ্ছায় ধরা দেয়। পরে পুলিশকে সে এ তথ্য জানায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ঐশী মাদকাসক্ত। সে নিয়মিত ইয়াবা সেবন করে। বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটায়। এমনকি অনেক রাতে বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ফিরতো ঐশী। বেশ কয়েকজনের সঙ্গেই তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে সে স্বীকার করেছে। আর এ কারণে তার বাবা বিভিন্ন সময় তাকে মারধোর করতেন, তার বখাটেপনায় বাধা দিতেন। বেশ কয়েকদিন ধরে তাকে বাসা থেকেও বের হতে দেয়া হয়নি।
তিনি আরো জানান, এসব কারণে বন্ধুদের নিয়ে ঐশী তার বাবা-মাকে খুন করে। হত্যাকাণ্ডে তার চার থেকে পাঁচ বন্ধু অংশ নেয়। ছুরিকাঘাতে মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যা করা হয়। এ সময় সে পাশেই অবস্থান করছিল।
আপনার কি মনে হয় এর জন্য শুধু ঐশী দায়ী ?
না , আমি অন্তত শুধু ঐশী কে দোষ দিবনা । এর জন্য তার বাবা মাও অনেকাংশে দায়ী । জনাব মাহফুজুর রহমান একজন পুলিশের পরিদর্শক বা ইন্সপেক্টর শ্রেণীর কর্মকর্তা । খুব বেশি হলে ১৫ হাজার টাকা তার বেতন , এই টাকায় ঢাকার চামেলিবাগে বাসা ভাড়া দিয়ে মেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়িয়ে সংসার চালাতে তার হাতে যে কয়টা টাকা থাকত তা জানলেও আন্দাজ করে বলে দেয়া যায় । পুলিশ আমার শত্রু না আর সব পুলিশ খারাপ এটা আমি বলছিনা । কিন্তু মাহফুজ সাহেব কি করে সংসার চালাতেন সেটা আমরা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি । আপনার আমার টাকায়,ধান্দাবাজির টাকায়,ঘোষের টাকায়,পাব্লিক পুন্দানো টাকায় । হলফ করে বলতে পারি এটা তার কুকর্মের ফসল । আমার দেখা খুব কম পুলিশ অফিসার আছে যাদের ছেলে মায়ে মানুষ হয়েছে আর তাদের পারিবারিক জীবনে সুখ কি জিনিস তা এরা জানেনা যত রাগ এদের নিরীহ মানুষের উপর । পাবলিক পুলিশের পুন্দানিতে অস্থির বাকি পুলিশ গুলা এইবার একটু শিক্ষা নিলে হয় । বলতে গেলে আরো অনেক কিছুই বলা যায় । রাস্তা ঘাটে পুলিশ কি করে সেসব নিয়ে লেখা যায় শতশত পৃষ্ঠা । একটা জিডি করতে গেলে একজন এ এস আই এর ভাব দেখলে মইরা যাইতে মঞ্চায় । মিডিয়া যা বলছে
তাই বলি কি ভাই সন্তান যদি মানুষ না হয় এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু নাই । সারা জীবন ভোগবেন এই যন্ত্রনায় যদি দেখেন আপনার সন্তান আপনার অবাধ্য হয়ে গেছে । নৈতিক শিক্ষাটাই বড় শিক্ষা । দুনিয়ার আর কোন বাবা মা কে যেন এমন মৃত্যুর মুখোমুখি না হতে হয় । আর দুনিয়ার কোন সন্তান যেন তার পিতা-মাতার হারাম টাকায় মানুষ না হয় ।