জানি জানি অনেকেই হয়তো ক্ষেপে যাবেন লেখার শিরোনাম পড়ে, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশে আছেন এই মুহুর্তে। দেশে এখন কাঠফাটা গরম, মাথার তালুতে চায়ের পানি ফোটানো যাবে এমন অবস্থা। কিন্তু কি বলুন তো, কেউ যদি প্রবাসে থাকে আর মাসের পর মাস কাটায় কনকনে ঠান্ডায়, তার কাছে গ্রীষ্মের আগমন গরমকালে বরফ মেশানো এক গ্লাস লেবুর শরবতের মতনই। বিশ্বাস করুন, বরফ শুধু লেবুর শরবতেই দারুণ, সেটি যদি দিনের পর দিন আকাশ থেকে মাটিতে পড়ে তাহলে একটা সময় গলা ফাটিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে।
লম্বা শীতকাল শেষে গ্রীষ্ম এলো আমেরিকাতে। আমি আমেরিকার পূর্বতীরে (ইস্ট কোস্ট) থাকি। এখানে শীতকালে আমেরিকার মধ্যভাগের স্টেটগুলো থেকে ঠান্ডা কম হলেও, যথেষ্ট ঠান্ডা পড়ে। তুষারপাতের হাত থেকেও মুক্তি নেই। তাই যখন গরমকাল তার আগমনি বার্তা দেয় আকাশে, বাতাসে, প্রকৃতিতে তখন মনে হয় ফুসফুস ভর্তি করে খোলা আকাশের নিচে পরিশেষে নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ এলো! শীতকালে খোলা আকাশের নিচে এই কাজ করতে গেলে নিউমোনিয়া বেঁধে যেতে পারে বলাই বাহুল্য! তাই গ্রীষ্মের জন্য অপেক্ষা করতেই হয়।
আজ যেমন পার্কে হেঁটে আসলাম সকালে। ঘাস, গাছপালা সব কি সুন্দর সবুজ রং ধারন করেছে। চারিদিকে নানা বর্ণের নাম না জানা ফুল। মোবাইল ফোনে ছবি তুলবার লোভ সংবরন করতে পারবে না বেশিরভাগ মানুষই।
আমি নালিশ করছি কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আসা চেনাজানা প্রচুর মানুষ কিন্তু গ্রীষ্ম থেকে শীতকালটাকেই বেশি ভালবাসে প্রবাসে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩১