>তোমাকে না বলেছি, সানগ্লাস পড়া মেয়েদের দিকে তাকাবে না? তবুও তুমি কেন তাকালে?
>বিশ্বাস কর আমি তাকায় নি। ওরাই বরং বারবার সানগ্লাস পড়ে আমার দিকে ছুটে আসে।
>ও তোমার মাঝে এমন কি গুণ আছে শুনি, যার কারণে ওরা তোমার কাছে ছুটে আসবে?
>আমার কি গুণ আছে সেটা বড় কথা নয়। তুমি কেন আমার উপর রাগ করছ, সেটাই বড় কথা।
>কি বললে? আমি রাগ করছি, তাই না? এখন সব দোষ আমার। আর তুমি ধুয়া তুলসি পাতা।
>না, আমি কি তা বলেছি। তবে আমার জানা মতে আমি কোন অন্যায় করিনি।
>ওওওও...তুমি কোন অন্যায় করি নি।তুমি অন্যায় করবে কেন। তুমি তো ভাজা মাছটা উল্টিয়ে খেতে পার না।
>দেখ বৃষ্টি, আমি যদি কোন অন্যায় করে থাকি তবে তুমি সেটা আমাকে দেখাও। আর না হয় আমাকে কোন blame দিবা না।
>কি বললে তুমি? আমি তোমাকে blame দিচ্ছি। রুদ্র তুমি আমাকে এই কথা বলতে পারলে?
>হ্যাঁ বলেছি।
>ঠিক আছে। তোমার যদি কোন ভুল না থাকে, তবে কেন তুমি সানগ্লাস পড়া মেয়ের সাথে ঘুরতে যাও? কেনই বা কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলা কৃষকের মনে কষ্ট দাও? কেনই বা গাছে গাছে ঘুরে বেড়ানো পাখির পানি কেড়ে নাও? তোমার কি কোন দয়া মায়া নেই, যে তুমি সবুজ মাঠ ফেটে চৌচির করে ফেল? এরপরও বলবে তুমি অন্যায় কর নি? যে শিশু গুলো দিনে-দুপুরে ভারী ভারী ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যায় তাদের তুমি তৃষ্ণার্থ করনি?
>ও-এই কথা। তুমি এগুলোকে অন্যায় বলছ? তাহলে ওদের বল, ওরাকেন গাছ লাগায় না? ওরা কেন একে অপরের সাথে মারামারি করে রাস্তার পাশের বৃক্ষ নিধন করে? কেন ওরা কল-কারখানার কালো ধোঁয়ায় জলবায়ু উষ্ণ করে? তুমি যে ওদের পক্ষে এতই সাফাই গাইছ, ওরা কি তোমার আবাসস্থল মেঘের দেশ ধ্বংস করেনি? ওরা কি নির্মম ভাবে তোমার প্রিয় বন উজাড় করে আমার প্রিয় ধরণীর ক্ষতি করেনি?
>ভুল তো মানুষেই করে। তাতে তোমার কি তুমি ভুল করবে কেন?
>ভুল কে প্রশ্রয় দেয়া ঠিক না।
>তবুও সুযোগ দেয়া উচিত।
>দেখ বৃষ্টি তুমি যদি তাদের পক্ষে থাক তবে আমি আর তোমার সাথে সম্পর্ক রাখতে পারব না।
>কি বললে তুমি? তুমি আমাকে এতটুকু বিশ্বাস কর না!
>এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কথা আসছে কেন?
>ঠিক আছে রুদ্র, তোমার ভালবাসার গভীরতা আমি বুঝতে পেরেছি। আসলে তুমি একটা চিটার। তুমি আমাকে নয়, ধরণীকে বেশি ভালবাস। তোমার সাথে কোন কথা নাই। চললাম আমি। থাক তুমি তোমার ধরণী নিয়ে।
>শোন বৃষ্টি, এই শোন, যেওনা। প্লিজ আমার কথাটা শোনে যাও।
বৃষ্টি চলে যাচ্ছে।রুদ্র তাকে অনেক ডেকেছে। কিন্তু সে ফেরে তাকায় নি।
বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর থেকে রুদ্র একা হয়ে পড়েছে। তার মন ও মেজাজ দুটাই খারাপ হয়ে গেছে। ধরণী ও এই ধরণীর মানুষের প্রতি রাগ বেড়েছে কয়েক গুণ। ছাড়বে না সে এই মানুষ গুলোকে যার কারণে সে তার ভালবাসাকে হারিয়েছে। প্রিয় মানুষ হারানোর বেদনায় সবাইকে পুড়িয়ে মারবে সে।