আদি বাংলার ইতিহাস
(প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৫০
তামার আবিষ্কার
নবোপলীয় যুগের শেষ দিকে তামার আবিষ্কার হয়। পাথরের মতো ভঙ্গুর নয় বলে তামার হাতিয়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। পৃথিবীতে তামার ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।১২৪ বাংলাদেশে তামার ব্যবহার আরও অনেক পরে আরম্ভ হয়েছে বলে অনুমান করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ সালের আগে বাংলাদেশে তামা, সীসা বা ব্রোঞ্জ ব্যবহারের কোনো প্রমাণ এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এভাবে নবোপলীয় যুগ নানা মৌলিক আবিষ্কারে সমৃদ্ধ। কৃষি, পশুপালন, ঘরবাড়ি তৈরি, মৃৎশিল্প, চামড়া, বয়নশিল্প এবং নানা ধরনের যন্ত্রপাতির একটানা আবিষ্কার নবোপলীয় যুগের তৎপরতাকে এক অভূতপূর্ব বৈশিষ্ট্য দিয়েছে। এ যুগে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও ধর্মসহ সকল ক্ষেত্রে চালিকাশক্তির সূচনা হয়েছে।১২৫ এ যুগেই তামার আবিষ্কার হয়েছে যা পাথর যুগ থেকে নতুন একটি যুগ, ধাতুযুগের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। এককথায়, সভ্যতা রচনার সকল বিদ্যা, সকল উপকরণ, সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে নবোপলীয় মানুষ। আজ থেকে ৫০০০ বছর পূর্বেও এদেশে জনবসতি ছিল এবং প্রায় ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তাদের নবোপলীয় যুগ অতিক্রম করার চিহ্ন দেখা যায়। কারণ, তারা
১. কৃষিকাজ জানত
২. পশুপালন করত
৩. প্রস্তরযুগের হলেও তাদের হাতিয়ার মসৃণ ছিল
৪. উন্নতমানের মৃৎপাত্র ব্যবহার করত
৫. আগুনের ব্যবহার জানত
৬. কাপড় বুনতে জানত
৭. দলবদ্ধ হয়ে গ্রামে বাস করত
৮. পরিবারতন্ত্র তখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে
৯. শ্রেণীভেদ ছিল
১০. অর্থনীতি ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ
১১. বিনিময় প্রথা চালু ছিল
১২. নৌযান ব্যবহার করত
১৩. নিজস্ব ধর্ম ছিল
১৪. ভয়ের উপাদান ছিল
১৫. অশুভ শক্তির হাত থেকে বাঁচার জন্য আচার-অনুষ্ঠান করত
১৬. কুসংস্কার ও জাদুবিদ্যা বিশ্বাস করত
১৭. ধর্মযাজক শ্রেণীর সৃষ্টি হয়েছিল
১৮. মৃতদেহ সৎকার করত।
বাংলাদেশে নব্যপ্রস্তরযুগের মানুষ চাকার ব্যবহার জানতো কি না জানা যায় না। তাদের রাষ্টশক্তি সম্পর্কে ধারণা হয়েছে বোধহয় অনেক পরে। খুব সম্ভবত তারা স্থানীয় নেতৃত্বের অধীন ছিল এবং রাষ্ট্রের উদ্ভব তখনও হয়নি। আমরা অনুমান করতে পারি, তারা নৌযানের ব্যবহার জানত,১২৬ কিন্তু পালের ব্যবহার জানত কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না। নব্যপ্রস্তরযুগের ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য আমরা এযাবত প্রাপ্ত প্রমাণাদির ভিত্তিতে জেনেছি। বলা যায়, নব্যপ্রস্তরযুগে এদেশে মানুষ বাস করত এবং পৃথিবীর অন্যান্য নব্যপ্রস্তরযুগের মানুষের প্রায় সমসাময়িক কালেই এদেশেও নব্যপ্রস্তরযুগের সূচনা হয়। তবে ঐতিহাসিক কাল আরম্ভ হতে বোধহয় কিছুটা বেশি সময় নিয়েছিল।১২৭
বাংলাদেশে প্রাগৈতিহাসিক অনুসন্ধান:
এযাবত বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রস্তরযুগের প্রত্নবতাত্বিক নিদর্শনগুলি সংখ্যায় পর্যাপ্ত নয় যা দিয়ে একটি জাতির সভ্যতার স্তর বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করা যায়। তবে আশেপাশে বিশেষ করে আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা, বিহার, উড়িষ্যা, পশ্চিম বাংলা এবং মায়ানমারে পাওয়া গেছে প্রচুর প্রতড়বতত্ত্বিক সামগ্রী যার নিরিখে সেসব অঞ্চলে শুধু নব্যপ্রস্তরযুগের নয়, পুরাতন প্রস্তরযুগের আদিবাসিরাও সেখানে ছিল বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। চারিপার্শ্বের দেশে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুগুলির নিরিখে বলা যায় যে, সেদেশগুলোতে বিরাজমান সভ্যতা ও সংস্কৃতি স্তরের ধারাবাহিকতা বাংলাদেশেও ছিল। বাংলাদেশে এযাবৎ প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুগুলোর বিবরণ নিন্মরূপ:-
১৯১৭ সালে জে. কগিন ব্রাউন তাঁর Prehistoric Antiquities of India Preserved in Indian Museum গ্রন্থে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রাপ্ত এক প্রাগৈতিহাসিক সেল্ট-এর কথা উলেখ করেন। আর. ডি. ব্যানার্জী ১৮৮৬ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পাহাড়ে এক প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম কাঠে নির্মিত সোল্ডারড সেল্ট আবিষ্কারের কথা জানান। ১৯৫৮ সালে, নিতান্ত ঘটনাচক্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ডাইসন চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলায় ভূমির উপরে একটি প্রাগৈতিহাসিক হাতিয়ার পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু হাতিয়ারটি সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি।
বর্তমানে ঢাকাস্থ জাতীয় জাদুঘরে একটি প্রাগৈতিহাসিক হাতিয়ার হাতকুঠার হিসেবে প্রদর্শিত হচ্ছে। এই প্রাগৈতিহাসিক হাতিয়ারটি ১৯৬৩ সালে ছাগলনাইয়া থানার আমজাদহাটা ইউনিয়ন থেকে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সংগ্রহ করেন।১৯৭৯ সালে নাজিমউদ্দিন আহমেদ জানান যে, ১৯৭৬-৭৮ সালে ময়নামতির আনন্দ বিহার উৎখননকালে কিছু নবোপলীয় কুঠারের সাথে অষ্টম-দশম শতকের কিছু অসম্পূর্ণ নিদর্শন ও কাঁচামাল আবিষ্কৃত হয়েছে। এদের মধ্যে নয়টি নিদর্শন বর্তমানে ময়নামতি মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হচ্ছে। মোঃ হাবিবুল্লাহ পাঠান নরসিংদী জেলার ওয়ারী-বটেশ্বর এলাকায় আটটি নবোপলীয় সেল্ট সংগ্রহ করেন। ১৯৯২ সালে কুমিলা জেলার লালমাই-ময়নামতি অঞ্চলে ডি. কে. চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল অনুসন্ধান কার্য পরিচালনা করেন। এ সময় লালমাই পাহাড়ের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশের বিভিন্ন অবস্থান থেকে প্রস্তুরীভূত জীবাশ্ম কাঠ দ্বারা নির্মিত বিভিন্ন প্রকারের ২৩৪টি প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নবস্তু উদ্ধার করেন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর লালমাই পাহাড়ে আরেকটি অনুসন্ধানকার্য সম্পন্ন করে। এর ফলে এলাকার চারটি অবস্থান থেকে প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম কাঠের ২৪০টি প্রাগৈতিহাসিক হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়। ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দু’জন ছাত্র লালমাই অঞ্চলের মধ্যের মুড়া ও মেন্বারের খিল মধ্যবর্তী এলাকা থেকে প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম কাঠের তৈরি একটি আদর্শ অ্যাশুলিয়ান হাতকুঠার এবং লালমাই পাহাড়ের ধনমুড়া থেকে কিছু সংখ্যক ব্লেড, ব্লেডলেট এবং ফ্লেক উদ্ধার করেন।
১৯৯৭ সালে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটস্থ চাকলাপুঞ্জি চা বাগানে প্রাগৈতিহাসিক দ্রব্যসমেত একটি অবস্থান চিহ্নিত করে। দলটি প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম কাঠের নির্মিত কিছু প্রত্নবস্তুও উদ্ধার করে। বাংলাদেশের কুমিল্লার লালমাই পাহাড়, সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাটস্থ চাকলাপুঞ্জি চা বাগান, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, ও রাঙ্গামাটি এবং নরসিংদী জেলার ওয়ারীবটেশ্বর অঞ্চলে প্রাগৈাতিহাসিক প্রত্নবস্ত পাওয়া গেছে। এসব অঞ্চলে রয়েছে প্লাইওস্টোসিন ডিপোজিট এবং পর্যাপ্ত/মানানসই কাঁচামাল। সীতাকুণ্ডে নুড়িশিলার বেশ বড় অবস্থান রয়েছে: কিন্তু এ সব নুড়িশিলাই যে এতদঞ্চলের প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নবস্তু তৈরির মূল উপাদান সে সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পক্ষান্তরে, ওয়ারী-বটেশ্বরে যেসব নবোপলীয় অস্ত্র, যেমন সেল্ট, সোল্ডার্ড এক্স প্রভূতি পাওয়া গেছে, সেগুলিতে বেলেপাথর, সিল্ট পাথর ও প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম কাঠের ব্যবহারই এ পর্যন্ত রিপোর্টকৃত প্রত্নস্থলগুলিতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তাই লালমাই পাহাড় ও চাকলাপুঞ্জি চা বাগানের প্রাগৈতিহাসিক শিল্প এবং অন্যান্য অঞ্চলের প্রাগৈতিহাসিক হাতিয়ার মূলত প্রস্তরীভুত জীবাশ্ম কাঠনির্ভর। এসব প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম কাঠ প্যাটারিফিকেশান প্রক্রিয়ায় জীবাশ্মে পরিণত হয়েছে; লালমাই শিল্পে প্রত্নবস্ত নির্মাণে মোট তিন ধরনের প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম কাঠ ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথম প্রকারটি কালচে রঙের, কাঠিন্য মোহ স্কেলে ৮ এবং ৯ এর মাঝামাঝি। আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.৭ এবং ২.৫ এর মাঝামাঝি। দ্বিতীয় প্রকারের রং হালকা কালচে থেকে হালকা বাদামি। কাঠিন্য মোহ স্কেলে ৭ ও ৮ এর মাঝে এবং আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.৫ এবং ২.৬ এর মাঝামাঝি, তৃতীয় প্রকারটি বাদামি থেকে হলুদাভ রঙের হয়। কাঠিন্য ৪ ও ৫ এর মাঝামাঝি এবং আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.৪ এবং ২.৩ এর মধ্যে। লালমাই পাহাড়ে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুর অধিকাংশই দ্বিতীয় প্রকার প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম কাঠে নির্মিত।
বাংলাদেশে প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নস্থলগুলি প্লাইস্টোসিন যুগস্থ প্রাচীন পলল ভূমির উপর অবস্থিত। প্লাইস্টোসিন অঞ্চল, বিশেষ করে লালমাই পাহাড়ে দৃশ্যমান পললস্তরকে তাদের পাথুরে বৈশিষ্ট্য ও ডিপোজিশনাল এনভায়রনমেন্ট বিচারে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি হলো:
(ক) প্লাইওসিন ইপোকের ঢুপিটিলা সংঘ (কিছু শেল স্তরসমেত হলদে অসংবদ্ধ বালুস্তর যার গভীরে রয়েছে নুড়িপাথর), (খ) প্লায়োস্টোসিন যুগের মধুপুর কর্দম (ঢুপিটিলা সংঘের উপরিভাগে বিদ্যমান মূলত লালচে বাদামি এবং হলদে বাদামি কাদামাটি ও বালুময় কাদামাটি, মাঝে মাঝে ক্ষুদ্র লৌহপিণ্ড) এবং (গ) বর্তমান সমকালীন পলল সংঘ (ধূসর পলিমাটি);লালমাই ময়নামতি পাহাড় কমপ্লেক্স ৮ কিমি লম্বা এবং সবচেয়ে চওড়া স্থানে ৪.৮ কিমি প্রশস্ত। কমপ্লেক্সটি উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত এক ক্রমোন্নত ব্লক, যার চারিদিকে রয়েছে কিছু স্থানীয় চ্যুতি সম্বলিত লালমাই সোপান। এই পাহাড়গুলির গড় উচ্চতা ২০ মি.; তবে কোনো কোনোটি ৩০ মি বা তারও চেয়ে বেশি উচ্চ হতে দেখা যায়। এলাকাটির স্থলভাগ মূলত রোলিং উচ্চভূমি, মাঝে মাঝে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত পাহাড়শিরার মধ্যখানে অগভীর খাদ। লালমাই পাহাড়ের অধিকাংশ এলাকাই মধুপুর কর্দম সংঘ দ্বারা আবৃত বলে ধরে নেয়া যায়, যদিও এর কিছু অংশ অপসারিত হয়েছে। তবে এলাকার গাছগাছালি পরিবেশ আধুনিকায়ন ও অন্যান্য কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও এর প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শনস্বরূপ এখনও দাঁড়িয়ে আছে শাল গাছ, বাঁশঝাড়, আম-কাঁঠালের গাছ ইত্যাদি। সম্ভবত কোনো এক সময় আদিবাসীরা বিশেষ করে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী এই এলাকায় জুম চাষ করত। এখন এলাকার কৃষকরা চূড়ায় ও ঢালে বিভিন্ন শাকসবজির চাষ করে, পক্ষান্তরে মধ্যবর্তী খাদগুলিতে করা হয় ধানচাষ।
এ এলাকার প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নবস্তুগুলির অবস্থান পাহাড়ের চূড়ায়, ঢালে, সোপানে এবং পাহাড়ের চূড়ায় বা নিন্মভূমিতে অবক্ষেপিত পললে। চুনারুঘাটের চণ্ডীর মাজারস্থ চাকলাপুঞ্জি চা বাগান প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নস্থলে পাওয়া গেছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাগৈতিহাসিক হাতিয়ার। মূলত মধুপুর সংঘ দ্বারা আবৃত ক্ষয়িষ্ণু ভাঁজকৃত পাহাড়মালা দিয়ে প্রবাহিত বালু নদীর খাতে এগুলি পাওয়া যায় (বৃষ্টি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পানি শুকিয়ে যায় বলে নদীর নাম বালু নদী হয়েছে); প্রস্তরীভূত জীবাশ্ম কাঠে প্রত্নস্তুগুলির সুঠাম কৌণিক বিন্যাস ও তরতাজা ভাব দেখে অনুমান করা যায় যে, এরা ধারে কাছে সংলগ্ন কোন পাহাড়ের চূড়ায় বা ঢালে নির্মিত বা সংরক্ষিত হয়েছিল। গঠন বিচারে, প্রযুক্তি ও কলাকৌশলে এবং সংস্থান গত পরিমাপন অনুসারে এতদঞ্চলের প্রত্নবস্তুর সঙ্গে লালমাই অঞ্চলের প্রত্নবস্তুর উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া যায়। লালমাই ও চাকলাপুঞ্জিতে প্রাপ্ত হাতিয়ারসমূহকে দুভাগে ভাগ করা যায়: (১) মসৃণ হাতিয়ারবিহীন প্রাকনবোপলীয় হাতিয়ারসমূহ (হাতকুঠার, ক্লিভার,স্ক্রেপার, চপিং টুল, পয়েন্ট, ইত্যাদি), (২) নবোপলীয় হাতিয়ারসমূহ (হেন্ডএজ, মসৃণ সেল্ট, অল, ইত্যাদি); প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উৎখননে শেষোক্ত ধরনের হাতিয়ারের সাথে মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশ পেয়েছেন বলে শফিকুল আলম দাবি করেন।
১২৪ নবেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য: গ্রাগৈতিহাসিক ভারতবর্ষ।
125 P.C Das Gupta: Excavation at Pandu Rajar Dhibi.
126 P.C Das Gupta: Excavation at Pandu Rajar Dhibi.
১২৭ ড: আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও মোঃ আব্দুল কুদ্দুস শিকদার- সভ্যতার ইতিহাস (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)।
পৃষ্ঠা ৯১।
আগামী পর্বেঃ ত্রিপুরা মায়ানমার, আসামে প্রাপ্ত প্রত্নতত্ত্বের সংক্ষিপ্ত সার, সেলবাগিরি ও থেব্রোংগিরি, চিত্রা আব্রি, বিহারে প্রাপ্ত প্রত্নতত্ত্ব,
আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৪৯