নাস্তিকদের কমন প্রশ্ন- 'তোমার আল্লাহ কি এমন কিছু বানাতে পারবেন যা তোমার আল্লাহ ধ্বংস করতে পারবেন না?'
জবাবঃ
ধরেন মানুষ পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করলো কিন্তু আর মৃত্যু বরণ করলো না। অথবা কোন কিছুই একবার সৃজন হলে ধ্বংস বা নিঃশ্বেষ হয় না। তখন কি ধ্বংস শব্দটা আসতো? কখনোই না। তখন ধ্বংস শব্দটা থাকতো না। ধ্বংস শব্দের আবির্ভাব তখনই ঘটেছে যখন প্রথম ধ্বংস হয়েছে। তথাপি সৃজন শব্দটাও সেম। একক অস্তিত্ব যখন ছিলো তখন সৃষ্টি বা ধ্বংস কিছুই ছিল না। কিন্তু যখন যখন প্রথম সৃজন করা হলো তখনই সৃজন শব্দের উৎপত্তি। অনুরূপ প্রথম ধ্বংসের পরেই ধ্বংস শব্দের উৎপত্তি।
আসুন আমরা এবার সৃষ্টি ও ধ্বংসের বর্ণনা দেইঃ
সম্প্রতি পরিবর্তনশীল বিজ্ঞান বলছে “এই সমগ্র সৃষ্টি জগত সৃষ্টি হয়েছে একটি মাত্র সেল থেকে”। সেই সেলটা হতে পারে বৃহৎ বা ক্ষুদ্রতম। এখন আপনাকে যদি বলি এক মূষ্ঠি বালি হাতে নেন। এবং বলেন এখানে কতটা বালি কনা আছে??? অথবা যদি বলি প্রতি এক ঘনফুট মহাশূণ্যে কতটি ধুলি কণা আছে?? পারবেন উত্তর দিতে?
পারবেন না কয়েকটি কারনে, কারণ গুলো হলোঃ প্রথমত একটা বালিকণাকে বিভক্ত করা সম্ভব। এমনি কি একটি ধুলিকণাকেও বিভক্ত করার সম্ভব। একপর্যায়ে বিভাজ্য কণাটি ফোটন অথবা হিগস বোসন কনায় পরিণত হবে। যাকে ইংরেজিতে বলা হয়- “GOD Particale “ অর্থাৎ ইশ্বর কণা।
আসুন জানি ইশ্বর কণা কি?
ইশ্বর কণা হলো একটা অনুকে পরমানু থেকে ভাগ করে সর্বশেষ ক্ষুদ্র কণায় পরিনত করা। যাকে আর ভাগ করা সম্ভব না। অর্থাৎ প্রাইম সেল। যা সলিড ঘনত্বের অধিকারি। অর্থাৎ বাহ্যিক দৃষ্টিতে এটাকে আর ধ্বংস করা সম্ভব না। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী লিওন ল্যাডারম্যান তার লেখা বিখ্যাত বই “দ্যা গড পার্টিকেল” এর বর্ণনা দিয়েছেন- ইশ্বর কণা রূপে। যার থেকে তার বইয়ের নামই দিয়েছেন “গড পার্টিকেল”। অর্থাৎ এতেই প্রমাণ হয় যে ইশ্বর সেই যাকে ধ্বংস করা সম্ভব না। এখন সর্ব শেষ অর্ধ দাড়ায় অভঙ্গুর ইশ্বর কণাই হলো ইশ্বর (নাউজবিল্লাহ)। মেনে নিলাম তর্কের খাতিরে।
এবার মনে করুন এই আর্টিকেলের প্রথকের অংশকে। যা হলো- “এই সমগ্র সৃষ্টি জগত সৃষ্টি হয়েছে একটি মাত্র সেল থেকে”। এখন যদি বলা হয় সহস্র গ্যালাক্সি আর কোটি কোটি গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্রকে একত্রিত করা হয় তবে একটি সেলে পরিনত হবে। আর সেই সেলটি কে কি বিভাজন করা সম্ভব নয়??? অবশ্যই সম্ভব। কারণ আমরা জানি যে পৃথিবীতেই কি পরিমান ধুলিকণা রয়েছে যেগুলোকে বিভাজন করা যায়।
তাহলে একটি সেল থেকে সৃষ্টির থিউরি কি?
আসলে এটাই প্রকৃত থিউরী যে বিশ্বজগত একটি মাত্র সেল থেকে তৈরী। সেটা বিভাজন হয়ে দুইয়ে পরিণত হয়, দুই থেকে চারে । সিস্টেমটা হলো 2>4>16>256>65536>4294967296 এভাবেই ঘঠিত হয় বিশ্ব জগত। আর এই সেল ডিভাইডিং পদ্ধতি তখনই সংঘটিত হওয়া সম্ভব যখন প্রথম সেলটি সলিড তথা কঠিন বা নিরেট হবে। এবং বিজ্ঞান বলছে সেটি সলিড ছিলো।
যুক্তিঃ ১
যে কোন বস্তু যখন সলিড হয় তখনই একটি সেলে পরিনত হয় । যেম একটা মেটাল খন্ড একটি সেল হলেও একটি ইট বা পাথর খন্ড একটি সেল না। কারণ তা সলিড নয়।
যুক্তিঃ ২
যেহেতু “ইশ্বর কণা” তথা “GOD Particale” সলিড হওয়ায় অভঙ্গুর তাহলে “ইশ্বর কণা” অর্থৎ “The First Cell” সলিড হওয়া সত্বেও কিভাবে বিভাজিত হলো। আমরা জানি “GOD Particale” কখনো ধ্বংস হয় না বা তাকে ধ্বংস করা সম্ভব না (যদি ধ্বংস করা সম্ভব হতো তবে সেটির খন্ডংশটি ইশ্বর কণায় পরিণত হতো) তাহলে Solid অবস্থায় থাকা “The First Cell” কিভাবে ধ্বংস হলো???
যুক্তিঃ ৩
পানি অবস্থায় Liquid (লিকুইড) হলেও তার ধরণ Solid অর্থাৎ যার ঘনত্বে কোন স্পেস নাই। কিন্তু তা আপনি চাইলেই খন্ডন করতে পারেন। কারণ আপনি পানির চেয়ে শক্তিমান। অথবা গোল্ড, মেটাল জাতীয় থিংস্ যার ঘনত্ব দৃঢ় ও সলিড তবে খন্ডন করা সম্ভব হলো আপনার পক্ষে। এর একটাই কারণ আপনি ঐ বস্তু সমূহ থেকে শক্তিমান ও ঐ বস্তু সমূহ জর পদার্থ আর আপনি প্রাণবন্ত।
মূল কথাঃ ইশ্বর চিরঞ্জীব, সর্বময় প্রাণবন্ত। আর তার তৈরী সকল কিছুই হবে প্রাণ হীন বা ক্ষীণ জীবি। যার ফলে কেউ কখনো অমরত্ব পায় না। ঐ ফার্স্ট সেল তথা ইশ্বর কণাকে সেই বিভাজিত করেছিলো যিনি তৈরী করেছিলেন ঐ ফার্স্ট সেল। তা নিজে নিজে তৈরী হয় নাই । এটা তৈরীর মধ্য দিয়ে সৃষ্টি শব্দের উৎপত্তি, আর এই সেল বিভাজনের মধ্য দিয়ে ধ্বংস শব্দের উৎপত্তি। সুতরাং ইশ্বর ধ্বংস হওয়া বা ধ্বংস করতে অক্ষম হওয়ার কোন আবশ্যকতা নেই। তিনি তো সর্ব প্রথম ধ্বংস করেই দেখিয়েছেন। সৃজনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন না তোলাই ভাল কেননা প্রথম সেলটি তিনিই সৃষ্টি করেছিলেন।
পবিত্র কোরআন আম্বিয়া ২১:৩০ -
أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاء كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
Do not the Unbelievers see that the heavens and the earth were joined together (as one unit of creation), before we clove them asunder? We made from water every living thing. Will they not then believe
#পবিত্র কোরআনের আয়াতটিকে বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তা মনে করছি না।
#আশা_করি_সাধারণ_ভূল_গুলো_মার্জনীয়