এমন ট্র্যাজেডিই ঘটেছে গতকাল লাক্কাতুড়া চা বাগানে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের পাশের বসতিতে ।
লোকালয়ের মাঝে হুট করে গড়ে ওঠা স্টেডিয়ামের ব্যপারটা আমার শুরু থেকেই পছন্দ হচ্ছিল না । এভাবে হয় না, একটা স্টেডিয়ামের মতো বিশাল স্থাপনা গড়তে হলে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনার দরকার, তাড়াহুড়ো করে মাটি দিয়ে খাদ ভরাট করে বাউন্ডারি দেয়ার কারণেই এই ট্র্যাজেডি । পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিতে মাটি সরে যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা ।
বাবা-মা আহত হয়েছে, সন্তানদের কেউ বেঁচে নেই । আজ যারা সন্তানদের হারিয়েছে তাদের কাছে একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সেখানে বিশ্বকাপ ক্রিকেট - এসবের কোনও অর্থ নেই । তাদের কাছে সন্তানরাই তাদের পৃথিবী ।
আজকাল মানুষের আবেগ-অনুভূতি মৃতের সংখ্যা নির্ভর হয়ে গেছে । রানা প্লাজা ধসে পড়লে সবার ভিতরে তোলপাড় হয়ে যায়, স্টেডিয়ামের দেয়াল ধসে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা হয়তো খুব বেশি দিন কেউ মনে রাখবে না । অথচ মৃত্যু মৃত্যুই, মৃতের সংখ্যা যতজনই হোক । এমন অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে, আমরাও হাত গুটিয়ে বসে অনিয়মকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি ।