মানুষ যদি পড়ালেখা না করে, তাহলে সে আসল সত্যটা উপলব্ধি করতে পারে না । তাই কুরান নাযেলের সময় প্রথম শব্দ ছিল "ইকরা" - পাঠ করো।
মানুষ যদি জ্ঞান অর্জন না করে , তাহলে তাকে বিভ্রান্ত করা সবচেয়ে সহজ। তাই প্রত্যেক মুসলমান (নর এবং নারী) এর উপর কুরান পাঠ করা ফরয।
খেয়াল করুন, প্রতিটা মানুষের উপরে ফরয করা হয়েছে । ওয়াজিব নয় যে অন্য কেউ পড়লেই আপনারটা হয়ে যাবে। অথবা ৫০% পড়লেই চলবে , বাকি ৫০% এর পড়ার দরকার নেই। তাহলে, ঘুরিয়ে বললে এইটাই কি সত্য নয় যে পড়ালেখা করাটা ফরয?
আপনি জানেন, এই দুনিয়ার অনেকে দেশেরও অনেক আগে মদীনা নামক একটা রাষ্ট্র হয়েছিল? সেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হযরত মুহম্মদ (সাঃ) নিজে? সেই রাষ্ট্রের যে সংবিধান রচিত হয়েছিল, সেই সংবিধান হইলো মুসলিম শাসক দ্বারা শাসিত কোন রাষ্ট্রের প্রথম সংবিধান? সেই সংবিধান যা কিনা মদীনার সনদ বা মদীনার চুক্তি নামে পরিচিত, হলো পরবর্তীতে মুসলমান শাসকরা পৃথিবীর যত এলাকা তখন শাসন করেছেন, সেই সকল এলাকায় রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি?
যারা ইসলামী সংবিধান, ইসলামী রাষ্ট্র, ইসলামী শরিয়ত বলে চিল্লা চিল্লি করেন তারা কি মদীনার সনদ পড়ে দেখেছেন?
যারা ধর্ম নিরপেক্ষতা কথাটা শুনলেই নাস্তিক নাস্তিক করে চিল্লান, তারা কি জানেন যে তারা নিজেদের অজান্তেই মুহম্মদ (সাঃ) কে নাস্তিক বলছেন? (আস্তাগফিরুল্লাহ)
কারণ হযরত মুহম্মদ (সাঃ) হলেন বিশ্বের সর্বপ্রথম মুসলিম ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র মদীনার প্রতিষ্ঠাতা এবং উনি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ধর্ম নিরপেক্ষতারও প্রতিষ্ঠাতা ।
কারণ মদীনার সনদেই স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে , মদীনা রাষ্ট্রে মুসলমানের পাশাপাশি অন্যান্য সকল ধর্ম পালনে কোন প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না। একজন নাগরিক সে যত নগন্যই হোক, রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সুবিধা, নিরাপত্তা ও সুযোগ পাবে। এমন কি সে যদি ইহুদী হয়, তাও। অর্থাৎ , যে ধর্মেরই হোক না কেন, তার ধর্ম পালনসহ সর্ব প্রকার নাগরিক ক্রিয়া কলাপের নিরাপত্তা দেবে ওই মুসলমানরাই।
এখন বুঝতে পারছেন তো যারা বাংলাদেশে হিন্দু আক্রমণ করছে , তারা আসলে আল্লাহ রাসূলের প্রদর্শিত পথের সরাসরি বিরোধিতা করছে?