
ভালোবাসতে না চাইলে বেসোনা ভালো, মরণের পর জ্বেলে দিও আলো। না,আমি চাইনা না পাওয়ার বেদনায় কেউ বুকে কষ্ট নিয়ে এমন কথাটি বলে উঠুক। তবে ভালোবাসলে মনের মানুষটিকে পেতেই হবে এমন নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। আমি বিশ্বাস করি ছেড়ে দেবার মাঝেই আনন্দ লুকিয়ে আছে। যদি সে চলে যেতে চায়! আমি বিশ্বাস করি ভালোবাসার সঙ্গে মিলনের কোন সম্পর্ক নেই। মিলন আর ভালোবাসা এই দুটো জিনিস সম্পূরক না পরিপূরক সেই তত্ত্ব বা দর্শনে আমি যেতে চাচ্ছিনা। তার চেয়ে আসুন একটি গল্প শুনি। এই গল্প আমি মনের মাধুরী মিশিয়ে কল্পনার রঙ মেখে মানুষ কে ফানুস বানিয়ে লিখতে চাইনি। গল্প আমি লিখতে জানিওনা। আমি যেটি বলছি সেটি কারো জীবন থেকে নেওয়া। সত্য ঘটনা টি তুলে ধরছি। শুধু নাম দুটি পরিবর্তন করে দিলাম। আমি দুটো চরিত্র দাড় করালাম। একটি জয়, অন্যটি জয়া। ধরে নিন জয় একটি ছেলে আর জয়া একটি মেয়ে। ওরা দুজন দুজনাকে চরম ভাবে ভালোবাসে। তবে কে কাকে বেশি ভালোবাসে এমন বিচার করতে হলে আমি নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে বলবো জয়া ই জয় কে বেশি ভালোবাসে। আমি দেখেছি খুব কাছ থেকে মেয়েদের ভালোবাসার মাঝে খুব একটি ফাঁক থাকেনা। যদি কোন মেয়ে সত্যিকারে কোন ছেলেকে ভালোবাসে তবে সেই মেয়ে নিজেকে উৎসর্গ করে দেয় চরম ভাবে। তেমনি জয়া ও নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিল জয়ের মাঝে। কিন্তু জয় ছিল একটু ভিতু এবং তুলনামূলক ভাবে একটি অসচ্ছল পরিবারের সন্তান। জয় জানতো ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে পুরা পরিবার। ওর উপার্জনের উপর চলে ওর সংসার টি। আমি বলছি সেই ইন্টারমিডিয়েটের গল্প। জয় থাকতো হোস্টেলে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউশনি করে নিজের পড়ার খরচ যোগানো এবং সংসারে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ না পাঠালে চুলা জ্বলেনা তিন বেলা। কাজেই জন্মই যার অভাব আর কষ্টের মাঝে সে কি করে ভালোবাসার লাল নীল সেই ছক বাঁধা চিরাচরিত নিয়মে নিজেকে আবদ্ধ করবে?
জয়া দেখতে রবির হৈমন্তী না হলেও চোখ দুটি ছিল সেই নাটোরের বনলতার মতন। ওর চোখের গভীরতায় কত ছেলে যে ডুবে মরেছে সেটি জয়াই বলতে পারবে। তবে জয় ডুবে মরেনি। আবার ভাসেওনি। আগেই বলেছি চরম পিছুটানে ভুগতো জয়। কিন্তু ধনীর দুলালী জয়ার তো তেমন কোন সমস্যাই ছিলনা। জয় যে অর্থ কষ্টে ভুগতো এটি জয়া জানতো। তাই সে নানা ভাবে তাকে হেল্প করতে চাইতো। কিন্তু চরম পার্সোনালিটি সম্পন্ন একটি ছেলে ছিল জয়। কাজেই ওকে হেল্প করা জয়ার পক্ষে সম্ভব হয়নি কোনদিন। যাই হোক এই ভাবে চলছিল ওদের সম্পর্ক। কলেজে জয়া এসেই জয় কে এক নজর দেখবার জন্য ছট ফট করতো। জয় যেহেতু টিউশনি করতো সেহেতু সময় মত কলেজে আসতে পারতোনা। আর এখনকার মতন সেল ফোন ও তখন ছিলনা যে ফোনেই কন্টাক্ট করে নেওয়া যায়। জয়া কলেজে এসেই অপেক্ষা করতো জয় আসবে কখন? চাতক পাখির মতন পথের পানে চেয়ে চেয়ে চোখ এক সময় ঝাপসা হয়ে উঠতো। একসময় রোদে পুড়ে পুরা শরীর ভিজিয়ে ভাঙ্গা একটি বাই সাইকেল চালিয়ে দূর থেকে যখন আসতে দেখতো জয় কে তখন জয়ার হাঁসি আর দেখে কে? আসমানের চাঁদ নেমে এলো বুঝি জয়ার বুকের জমিনে। এর পর শুরু হত সেই আলাপন। বড়ই মধুর সেই ক্ষণ। এভাবেই চলতে থাকে ওদের জীবন। একদিন খুব গভীর রাতে গোটা কয়েক গোলাপের তোড়া নিয়ে জয়া চলে আসে জয়ের হোস্টেলে! রাত তখন প্রায় এক টা। ছাত্র হলে ছাত্রীর প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ থাকায় জয়ার পক্ষে সম্ভব হয়নি ছাত্র হলের ফটক ডিঙ্গানো। দারোয়ানের কাছে সেই ফুলের তোড়া আর একটি কার্ড রেখে জয়া আবারো চলে গেল তার নিবাসে। মফস্বল একটি শহরে এতো গভীর রাতে একটি রিক্সা নিয়ে একটি মেয়ের এমন আচরণ সত্যি গা শিউরে ওঠার মতন। যদি ওই রাতে জয়া কোন পুরুষের লালসার শিকারে পরিণত হয়ে যেত সেই দায় কে নিত? জয় কি মেনে নিত? আর হোস্টেলের পরিবেশ টি খুব ভালো ছিলনা। তার পর আবার ছাত্রাবাস। মানুষ ভালবাসলে বোধ হয় এমন পাগলামি করে। পরের দিন কলেজে গিয়ে জানতে পারলাম জয়ার এমন পাগলামির কথা। জয় আমাকে সব জানালো। দিন টি ছিল ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ। যেটিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস নামে পালন করা হয়। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জয়া তার হৃদয়ের সব টুকু ভালোবাসা উজাড় করে দিতে নিজের উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেনি সেইদিন। আর তাই রাত বারোটার পরে জয়ার এমন কাণ্ডর কথা শুনে আমি হেসেছিলাম। যে কাজ টি জয় করতে পারতো সেটি করে দেখিয়ে দিল জয়া! মেয়েদের ভালোবাসা সত্যি এমন হয় জানা ছিলনা।
আজ ১৪ তারিখ। আহ্নিক আর বার্ষিক গতির কারণে ঘুরে ফিরে আসে সেই ১৪ ফেব্রুয়ারি। আজ মিলনের শুভ মাহেন্দ্রক্ষণে অনেক আত্মা হয়ে যাবে এক ও অভিন্ন। তবে আজ কেন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস? ভালোবাসার জন্য আবার দিবস কেন? যাকে ভালোবাসি, ভালবাসবো,তাকে তো সারাজীবনের জন্য ভালো বাসবো। বিশেষ দিনে বিশেষ ভালোবাসার পক্ষে আমি নই। কাজেই ভ্যালেন্টাইন ডে নামক বিষয়টির সঙ্গে আমি নিজেকে মানাতে পারিনি কোনদিন। আর পারবোনা। সঙ্গত কারণে ভ্যালেন্টাইন ডে এর বিপক্ষে আমার অবস্থান। যদি ইতিহাস ঘাটতে চাই তবে এই দিবসের কাহিনী নিয়ে নানান রূপকথা প্রচলিত। যার সঠিক কোন ভিত্তি আছে বলে আমার কাছে মনে হয়না। আর যেই কারণ দিয়ে এই ভালোবাসা দিবসের শুরু এমন হাজার টি কারণ এই পৃথিবীতে ঘটে চলছে প্রতিনিয়ত। কাজেই সেই ভ্যালেন্টাইন এর কল্প কাহিনী বা সেটি যদি সত্য ও হয়ে থাকে তার সঙ্গে আমি বিশ্ব ভালোবাসার কোন মিল খুঁজে পাইনা। আসুন না একটু পুরাতন কাসুন্দি আবারও ঘেঁটে নেই।
২৭০ খৃষ্টাব্দের রোমের দ্বিতীয় রাজা ক্লাডিয়াস ছিলেন চরম এক বেরসিক মানুষ। তিনি মনে করতেন পুরুষ নারীতে মগ্ন থাকলে এক সময় কোন সৈনিক পদে পুরুষ কে আর পাওয়া যাবেনা। তিনি বিশ্বাস করতেন নারী হচ্ছেন সব চাইতে পিছুটান নামক এক মানবী। কাজেই সেই নারীদ্বারা পুরুষকে যাতে আকৃষ্ট করা না যায় সেই কারণে তিনি নারী পুরুষ বিবাহ নিষিদ্ধ করলেন তার রাজ্যে। কিন্তু ধর্ম যাজক ভ্যালেন্টাইন রাজার এমন আচরণ মানতে পারেন নি। তিনি গোপনে একের পর এক নর নারীদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সেটি যখন প্রকাশ হয়ে যায় রাজা ক্লাডিয়াস তখন ভ্যালেন্টাইন কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন। এবং রাজার আদেশ অমান্য করার জন্য তাকে জেল খানায় পাঠানো হয়। এর পূর্বে ভ্যালেন্টাইন রাজাকে বলেন খৃস্ট ধর্মের অনুসারী হয়ে তিনি কাউকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাঁধা দিতে পারেন না। ভ্যালেন্টাইন যখন জেলখানায় তখন রাজা তাকে প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার প্রস্তাব দেন। এবং বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন রাজার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে রাজা ক্ষিপ্ত হন। এবং ভ্যালেন্টাইন এর মৃত্যু দণ্ড ঘোষণা করেন। কথিত আছে ভ্যালেন্টাইন যখন জেলে তখন জেলারের অন্ধ মেয়ের প্রেমে তিনি আসক্ত হয়ে পড়েন। এবং তার অকৃত্রিম ভালোবাসায় সেই মেয়েটি দৃষ্টি ফিরে পান। তিনি মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে লিখেন- “ ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন”। যাই হোক শেষ পর্যন্ত রাজার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে ফেব্রুয়ারিতেই মৃত্যু দণ্ড কার্যকর করা হয়। রোমের যে স্থানে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যু দণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল সেই স্থানে ৩৫০ সালে একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। এবং খৃস্ট ধর্মের প্রাধান্য সৃষ্টি হলে তাকে সেইন্ট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান ধর্মের ধর্ম গুরু পোপ গ্লসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে হিসাবে ঘোষণা দেন। এখানে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পোপ কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি কে ভালোবাসা দিবস হিসাবে ঘোষণা দেননি। ভালোবাসা দিবস আর সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে কে এক করে ফেলার কোন সুযোগ নেই। কারণ খ্রিস্ট ধর্ম অনুযায়ী পুরোহিতদের প্রেমে পড়া কিংবা বিয়ে করা এটি সম্পূর্ণ অনৈতিক একটি কাজ। কাজেই সেই অনৈতিক কাজ কে পোপ সমর্থন দেননি। অন্যদিকে ভালোবাসার জন্য সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন কে জেলে যেতে হয়নি। ভ্যালেন্টাইন যেই মেয়ের প্রেমে পড়েন সেটি জেলে যাবার পর। অন্যদিকে পুরোহিত হয়ে তিনি আরও একটি অনৈতিক কাজ করেছিলেন প্রেমে পড়ে। কাজেই তার মৃত্যু দণ্ড প্রদানের সঙ্গে ভালোবাসার কোন সম্পর্ক ছিলনা। বরং তার মৃত্যুর জন্য খ্রিস্ট ধর্মের প্রতি কঠিন এক ভালোবাসা, ধর্ম ত্যাগ না করা সেই সাথে রাজার আদেশ অমান্য করাও ছিল মৃত্যুর প্রধান কারণ।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় উৎসব কিভাবে প্রেমিক প্রেমিকাদের উৎসবে পরিণত হল সেটি জানার জন্য আসুন প্রাচীন রোমান পৌত্তলিক উৎসব “ লুপারকেলিয়া” সম্পর্কে উইকিপিডিয়া কি বিশ্লেষণ করে সেটি জানি। উইকিতে স্পষ্ট করে বলা আছে ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টান সম্প্রদায় কর্তিক সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে পালনের পূর্বে এই দিন টি পৌত্তলিক ধর্মীয় উৎসব হিসাবে পালন করা হত। সেই সময় ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লুপারকেলিয়া উৎসব পালন করা হত। প্রেমের দেবী জুনুর আশীর্বাদ কামনায় রোমান রা যুবকদের মাঝে যুবতীদের বণ্টনের জন্য লটারির আয়োজন করতেন। একটি বাক্সে কিছু যুবতী মেয়ের নাম লেখা থাকতো। এবং যুবক ছেলে গুলো এসে সেখান থেকে একটি নাম তুলে নিতেন। যার নামটি লটারির মাধ্যমে হাতে আসতো সেই যুবতী কে নিয়ে যুবক ছেলেটি একত্রে বসবাস করতেন। এই ধরনের ভ্রান্ত ও কুসংস্কার নীতি ফন্সান্স সরকার ১৭৭৬ সালে নিষিদ্ধ করেন। এবং পর্যায়ক্রমে এটি ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, জার্মান থেকে এই নীতি উঠে যায়। এবং নিষিদ্ধ করা হয়।
আধুনিক সমাজে কেন তাহলে ভ্রান্ত ও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ২৫০০ বছরের পুরানো সেই নির্লজ্জ লটারি প্রথার ( যুবক দের মাঝে যুবতীদের বিতরণ) মাধ্যম হিসাবে আমাদের তরুণ তরুণীদের মাথা নষ্ট করা হচ্ছে ভালোবাসা দিবস নামক এমন একটি ভ্রান্ত দিবস পালন করার মধ্য দিয়ে? ইস্টার এ হল্যান্ড নামক একটি কৌশলী, সু চতুর কার্ড বিক্রেতা কোম্পানি সর্বপ্রথম “ What Else Valentine” নামক একটি কার্ড বানান। এবং প্রথম বছরেই তারা পাঁচ হাজার ডলারের কার্ড বিক্রি করেন। পরবর্তীতে অনেক সুযোগ সন্ধানী কোম্পানি সেটিকে ব্যবসার চরম এক নীতি হীন পণ্য হিসাবে বেছে নেন। সেই সাথে পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়ার ব্যাপক প্রচারণা চলতে থাকে। এবং সেই কল্যাণে একটি অনৈতিক, নীতি বিবর্জিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন একটি বিষয় কে আমরা ভালোবাসা দিবস হিসাবে পালন করি। প্রেমের জন্য সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন জীবন দিয়েছেন এমন প্রমাণ কোথাও নেই। আমাদের দেশে এই অপ সংস্কৃতি ঢুকেছে বছর ২০ এর মতন হয়ে গেল।এবং এই নিয়ামক টি যিনি আমাদের এই সমাজে ঢুকিয়ে দিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি বয়সে প্রবীণ কিন্তু চেতনায় নবীন লাল গোলাপ খ্যাত মিঃ শফিক রেহমান।আজ যারা আধুনিক এই সমাজে, ইন্টারনেটের ইন্দ্রজালে গোটা দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় পুরছেন তারা একটু গুগলে সার্চ দিয়ে দেখুন তো ভ্যালেন্টাইন ডে এলো কিভাবে? আর এর সঙ্গে ভালোবাসা দিবসের কি সম্পর্ক? আমরা বাঙালি স্বভাবতই অকেশনে বিশ্বাসী। তবে যেই সব সংস্কৃতি আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে ঠিক মানায় সেটি পালন করতে আপত্তি নেই। তবে কোন ভ্রান্ত, কুসংস্কারে আচ্ছন্ন নীতি আমি জেনে শুনে সুস্থ মস্তিষ্কে কিভাবে পালন করতে চাইবো? যেই মানুষ কে ভালবাসবো তাকে সেটি জানান দেবার জন্য বিশেষ দিনের প্রয়োজন টা আবার কেন? ভালোবাসা অম্লান। অবিনশ্বর। ভালোবাসার জন্য কোন ভালোবাসা দিবসের প্রয়োজন নেই। আর বর্তমান প্রচলিত ভালোবাসা দিবস নামে ভ্যালেন্টাইন ডে নামে যেটি হচ্ছে সেটি বরং ভালোবাসাকে কৃত্রিম ও বাণিজ্যিক একটি পণ্য বানানোর হাস্যকর এক প্রচেষ্টা! আমি আমার বিশ্লেষণ করলাম আমার মত। এবার আপনি বিশ্লেষণ করুন আপনার মতন করে। তবুও যারা ভালোবাসা দিবস নামে আজকের দিনটি পালন করছেন বা করবেন তারা কি ভুল করছেন? না, ভুল করছেন না। আপনি চাইলে যা খুশি তাই করতে পারেন। এমন কি আজ চাইলে ধর্ম দিবস ও পালন করতে পারেন। সেই স্বাধীনতা সম্পূর্ণ আপনার রয়েছে। তবে প্রচলিত ভ্যালেন্টাইন ডে এর সঙ্গে নিষ্পাপ, পবিত্র ভালোবাসা নামক শব্দটিকে মিলিয়ে ফেলবেন না প্লিজ। প্রেমিক প্রেমিকাদের প্রেম উৎসব পালনের জন্য ভ্যালেন্টাইন জীবন উৎসর্গ করেন নি। জোর গলাতেই বলছি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন এর মৃত্যুর সঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসার কোন সম্পর্ক নেই!
****
শুরুতে জয় এবং জয়া কে দিয়ে শুরু করেছিলাম। কিন্তু ওদের দিয়ে শেষ করতে পারিনি। আগামীতে ওই বিষয় আর একটি লেখা দেওয়া যাবে। এবং জানা যাবে জয় এবং জয়া কেমন আছেন? কোথায় আছেন? ভালো আছেন তো?