তিন মাসের বেশী হয়ে গেল নতুন তত্ত্বাবধায়ক চলছে৷ প্রথম দু-মাস চমক দিলেও গত কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে৷ বলা বাহুল্য জনসমর্থনও হয়তো কমে যাচ্ছে৷ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযানে সবার মধ্যে যেমন একটা আশার সঞ্চার হয়েছিল, এখন আবার নানা কারনে সেটা নিরাশা হয়ে দুরাশায় পরিনত হচ্ছে৷ আসলে দর্শকদের তুষ্ট করা এত সহজ না, একই জোকস দ্বিতীয়বার শুনলে যেমন কেউ হাসে না, সেরকম এখন আর নেতা ধরে জেলে পুরলেও পাবলিক সন্তষ্ট হতে পারছে না৷ পত্র-পত্রিকায়, ব্লগে ধীরে ধীরে সমালোচনার ধারাটাই জোরালো হচ্ছে প্রশংসার চেয়ে, হয়তো ঠিকই আছে, কারন নীতি নির্ধারকরা ঠিক কি করতে চাইছেন পরিস্কার না, আমরা কয়েকবারের ঘর পোড়া গরু, মেঘ দেখতে হয় না, অন্য কেউ দেখছে শুনলেও ভয় পাই৷
ঐদিন সাধক, আর মুখফোড় MSN-এ আসছিল৷ কথা হচ্ছিল সরকার আসলে এরকম অবস্থায় কি করতে পারে৷ কারন বাঙালী আমরা সহজেই সমালোচনা করি, কোনটা ভুল তা ধরিয়ে দিতে লোকের অভাব নেই, কিন্তু কোনটা সঠিক, বা কি করলে সঠিক হবে সেই পরামর্শ দেয়ার মতো লোক কম৷ আসলে হয়তো দর্শকের ভুমিকায় থাকতে থাকতে হাততালি আর দুয়ো ধ্বনি দিতেই আমরা অভ্যস্ত, স্টেজে উঠে অভ্যস্ত নই৷ তো মুখফোড় আর শঙ্কুকে বল্লাম, যদি আপনাদেরকে দ্বায়িত্ব দেয়ার হতো বাংলাদেশের ঠিক এই মুহুর্তে তাহলে কি করতেন৷
সাধক আর মুখফোড় দুইজনের জানাশোনা যেমন বেশী, আবার ওরা মেধাবীও৷ ওদের লেখা থেকেই বোঝা যায়৷ তো আমার প্রশ্ন একটু হঠাত্ করেই ছিল, ওরা বিভিন্ন সমাধানের কথা বললো, আমিও বললাম কি করা যেতে পারে৷ ইন্টারেস্টিং হচ্ছে প্রাথমিক যে সমাধান গুলো বলতে লাগলাম সেগুলো ঘুরে ফিরে পরিচিত একনায়কদের কাজের মতো মনে হতে লাগলো৷ একজন আরেকজনের প্রস্তাবে সহসাই অনেক দুর্বলতা খুজে পেলাম, যেমন ঠিক কি ভাবে রাজনীতিতে শুদ্ধিকরন অভিযান চালানো যায়, দেখা গেল আমরা যেসব সমাধান দিচ্ছি এগুলো স্টালিন, বা হিটলারের মতো লোকেরা আরও ৫০ বছর আগে করে গেছে, এবং আমরা সবাই এখন জানি তার ফলাফল কতটা ভয়াবহ হয়েছিল৷
আসলে ঘটনা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার কোন সহজ সমাধান নেই৷ যত সহজে আমরা সমালোচনা করি, তত সহজে এর সমাধান বের করা সম্ভব না৷ তো এখন ব্লগারদের কাছে প্রশ্ন, আপনি যদি ফখরুদ্দিন বা জে মঈনের জায়গায় থাকতেন তাহলে কি করতেন? চলুন বিতর্ক করি৷ একজন আরেকজনের প্ল্যানের দুর্বল দিকগুলো বের করি৷ হয়তো কোন সমাধান বের হয়েও আসতে পারে৷