সোনা অন্যতম দামী একটি ধাতু। অনেকে বলে থাকে সোনার দাম নাকি সবসময় বাড়ে কখনও কমে না। কথাটি আপেক্ষিকভাবে সত্য।
সোনার ইতিহাস যে খুব মসৃণ তা বলা যাবে না।
দীর্ঘ ২০ বছরের খরা কাটিয়ে ২০০০ সাল থেকে সোনার দাম খুব বাড়তে থাকে। ২০১১ সালের আগস্ট মাসে তা ১৯২৩ ডলার পার আউন্সএ দাঁড়ায়। কিন্তু সোনা তার সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারে নি। ১৫২৩-১৬৪০ এর মধ্যেই এখন উঠানামা করছে।
সোনার ব্যবহার বহুল। এক সময় মুদ্রায় সোনা ব্যবহার করা হত। কিন্তু সেই প্রচলন এখন চলে গেছে কাগজের নোট আসার পর। অলঙ্কার, ইনভেস্টমেন্ট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে সোনার ব্যবহার যথাক্রমে ৫০%, ৪০% এবং ১০% ; আমাদের পাশের দেশ ভারত সোনার সবচেয়ে বড় কনসিউমার এবং ইমপোর্টার। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১০ সালে ভারতে সোনার ব্যবহার ৬৯% বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সোনার উচ্চমূল্য এবং ভারত সরকারের ট্যাক্স আরোপের পর ভারতে সোনার চাহিদা কমে যায়।
সাউথ আফ্রিকাকে সোনার খনি বলা হয়। কারন ৫০% সোনার উৎসই সাউথ আফ্রিকা। খনি থেকে প্রাপ্ত সোনা বিশুদ্ধ হয় না। একে নানাভাবে রিফাইন করে বিশুদ্ধ করা হয়। ২৪ ক্যারটের সোনা সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও দামী হয়। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, পেরু ও অন্যতম সোনা উৎপাদনকারী দেশ
মেডিকেল সামগ্রী, খাবার ও পানীয়তেও সোনার ব্যবহার আছে। জার্মানিতে এক ঐতিহ্যবাহী পানীয়তে সোনা দেয়া হয় যদিও এর কোন পুস্টিগুন নেই কারন সোনা রাসায়নিকভাবে সম্পূর্ণ নিস্ক্রিয়।
সামনে আমেরিকার নির্বাচন এবং শক্তিশালী ডলার সোনার দর কমিয়ে দিতে পারে। আবার এটাও সত্য যে অর্থনৈতিক মন্দার সময় সোনার দাম বেড়ে যায়। তবে যাই হোক, অদূর ভবিস্যতে সোনার দাম ৩০০০ ডলার পার আউন্স ছাড়িয়ে যাবে এতটুকু শিউর।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৩