বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সফলভাবে তাদের আন্দোলন শেষ করেছে, তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায্য কর বাতিল হয়েছে।
তাদের অনেক অভিনন্দন।
আপনারা পত্র-পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে দেখে থাকবেন সম্প্রতি বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে বেশ কিছু আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে যার মধ্যে মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের "ক্যারি-অন" ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন, ইন্টার্নিদের ভাতা বৃদ্ধির আন্দোলন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের পে-স্কেলের অসামঞ্জস্যতার কারণে আন্দোলন ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু আমরা যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হিসেবে আছি, তাদের আবারও এক হওয়া প্রয়োজন আরেকটি জোরালো দাবি নিয়ে।
আর তা হলো, "কোটাপ্রথা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন"।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিসিএস পরীক্ষায় নানারকম কোটা (মুক্তিযোদ্ধা, লিংগ, উপজাতি, অউপজাতীয় বাঙালি, জেলা কোটা ইত্যাদি) দিয়েই প্রায় ৯০% পূর্ণ করা হয়। বাকি ১০% আসে মেধা থেকে।
এখন বিসিএস পরীক্ষা এমন একটি পরীক্ষা যেখানে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে সরাসরি অংশ নিচ্ছে, আর সেখানে যদি মেধার চেয়ে কোটাকেই প্রাধান্য বেশি দেয়া হয় তবে সেই দেশের ভিত্তিমূল অচিরেই নড়বড়ে হয়ে পড়বে - তুলনামূলক বেশি চৌকস ও মেধাবীরা সুযোগের অভাবে হারিয়ে যাবে।
এখন আমার মতে, এদেশের "ঐতিহ্য" অনুসারে কোটাপ্রথা এক নিমেষেই বিলুপ্ত করাটা অসম্ভব। তাই মেধাতালিকা থেকে অন্তত ৮০% ও অন্যান্য কোটা থেকে ২০% এভাবে প্রথমে শুরু করা হোক। পর্যায়ক্রমে কোটার পরিমাণ কমিয়ে আনা যাবে।
বিসিএস ও অন্যান্য চাকরিতে মেধাবীদের অংশগ্রহণ ও অযোগ্যদের দূরে রাখতে কোটাপ্রথার বিলোপের কোন বিকল্প নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১