প্যারাসিটামল ওষুধটির সাথে পরিচিত নন, এমন বোধ করি কেউ নেই। জ্বর, গা ব্যাথা, মাথাব্যাথা, দাঁত ব্যাথা সহ অনেক ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার সেই অনেক আগে থেকেই। তবে কথা হলো বহুল প্রচারের কারণেই এর অপব্যবহার বহুলাংশে বেড়ে গেছে। প্যারাসিটামল যেহেতু আমাদের হাতের কাছেই থাকে, সুতরাং এ সম্পর্কে জানাটা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রে একে অ্যাসিটামিনোফেন নামেও বলা হয়ে থাকে।
ওষুধের শ্রেনিঃ
এটি একপ্রকার Non-Steroidal Anti Inflammatory Drug বা, সংক্ষেপে NSAID
ব্যাবহারঃ
১) জ্বর।
২) বিবিধ ব্যাথাঃ মাথা, পেশী, দাঁত, হাড়, কোমর ইত্যাদি।
৩) আর্থাইটিস ( অস্থিসন্ধির প্রদাহ ): শুধু ব্যাথা কমানোর জন্য।
ডোজঃ
একটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সাধারণত ৫০০মিগ্রা আকারে পাওয়া যায়। এছাড়াও সিরাপ, সাপোজিটরি ও ইঞ্জেকশন আকারে পাওয়া যায়।
প্রত্যেক সেবনে অনধিক ১ গ্রাম (২টি ট্যাবলেট) ও দিনে অনধিক ৪গ্রাম (৮টি ট্যাবলেট)।
সুবিধাঃ
১) সহজলভ্য।
২) ক্ষতিকর দিক কম।
৩) গর্ভাবস্থায় ও বাচ্চাকে দুগ্ধ পানরত মা'কে দেয়া যাবে।
৪) লিভারে সহজেই পরিপাক হয়।
অসুবিধাঃ
১) বিষক্রিয়াঃ ১০-১২ গ্রাম প্যারাসিটামল সেবন করলে বিষক্রিয়া ঘটে। এরকম হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে পাকস্থলী ওয়াশ করাতে হবে।
২) লিভার ও কিডনিতে রোগ থাকলে এটা দেয়া যাবে না।
৩) মদে আসক্ত ব্যক্তিদের প্যারাসিটামল সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বাজারে ইদানীং অনেক কোম্পানির প্যারাসিটামল পাওয়া যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার প্যারাসিটামল+মিথিওনিন এর মিক্সচারটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে [ যেমনঃ প্যারাডট, নাপা সফট ]। তবে সাধারণ প্যারাসিটামল ও প্যারাসিটামল+ক্যাফেইন এর মিক্সচার নিরাপদ।
সকলে সুস্থ থাকুন। আজ এ পর্যন্তই
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪