সাপোর্ট দেওয়ার একটা সীমা আছে। গত দুই ম্যাচ এর কথা বাদ দিলাম কিন্তু আজকের ম্যাচ এর হার কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না।
আজকে বোলার রা কি সুন্দর একটা সূচনা করল। ৬৫ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কা র আট উইকেট নেই।
সাঙ্গাকারা , দিলশান এর মত ঝানু ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ বোলারদের এর কাছে অসহায়।
আরাফাত সানি কি দুর্দান্ত বোলিং না করল। সাকিব , মুশফিক কি দুর্দান্ত দুইটা রান আউট করল
৬৫/৮ , মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ কোন পুচকে টিম এর সাথে খেলছে।
এরপরি শুরু হল ছন্দপতন। সানির বলে পেরেরা ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিল। ক্যাচ টা কঠিন ছিল কিন্তু কন আন্তর্জাতিক লেভেল এর কোন প্লেয়ার এর ক্যাচ টা অবশ্যই ধরা উচিত ছিল। সোহাগ গাজি ক্যাচ টা ফেলে দিল, হয়ে গেল ছক্কা।তারপর থেকে বাংলাদেশের কপাল পোড়া শুরু হল।
সানির পর পর দুবলে পেরেরার ছক্কা । পেরেরা আর সেনেনায়াকে দ্রুত গতিতে রান তোলা শ শুরু করল।
এরপরে বাংলাদেশ আরও দুটো সুযোগ পেল। পেরার ক্যাচ ফেলল নাসির আর সেনেনায়াকের ক্যাচ রিয়াদ। তিন বার লাইফ পেয়ে পেরেরা অপরজিতই রইল।
৬৫/৮ থেকে শ্রীলঙ্কা র সংগ্রহ ১৮
৪৩ ওভার এ ১৮০ রান তেমন কোন কঠিন টার্গেট না। শুরুতেই বিজয় কে হারালেও মমিনুল আর শামসুর উড়ন্ত সূচনা করল। সহজেই রান আসতে লাগল। মমিনুল ৪৪ রানে আউট হওয়ার পর শামসুর খোলস ছেঁড়ে বের হলেন।
পেরেরার এক ওভারে দুই ছক্কা মেরে ছক্কা পূরণ করলেন। শামসুর এর হাঁকানো তিন ছক্কাই ছিল চোখ ধাঁধানো । আশরাফুল এর পর এই প্রথম কাওকে দেখলাম এত সুন্দর ছকা হাঁকাতে। জয় তখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল।
কিন্তু কপাল খারাপ শামসুর এর । দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হলেন রান আউট। বোকাচো** আম্পায়ার আনিসুর রহমান মনে হয় জানেনা বেনেফিট অফ ডাওট সবসময় ব্যাটসম্যান এর পক্ষে যায়। প্রথম টি টোয়েণ্টি ম্যাচ টা হারছিলাম এই বললদের কারণে। ওরে তো কেও দেশ প্রেমিক হতে বলে নাই বাংলাদেশের প্রাপ্য টুকু দিলেই হত।
১১৪/৩ তারপর থেকে শুর আবার ছন্দপতন। সাকিব বিনা প্রয়োজনে রান নিতে গিয়ে আউট হলেন। নাসির, রিয়াদ এলেন আর গেলেন।
চোখের পলকে বাংলাদেশ এর ছয় উইকেট নেই। গাজীর মনে হয় সাজঘরে ফেরার খুব তাড়া ছিল।
বাংলদেশ এর শেষ আশা টুকু বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মুশফিক। কিন্তু তাকেও চাপের কাছে হার মানতে হল। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হলেন প্রথা বিরুদ্ধ স্কুপ শট খেলে। মুশফিক এর কাছ থেকে এমন শট কখনো আশা করিনি
আস্কিং রান রেট মেচ এর বেশির ভাগ সময় ৩ এর ঘরে ছিল। তারপরও বাংলাদেশ হারল তালগোল পাকিয়ে। এরকম হার মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়।
তবে শ্রীলঙ্কা দলের প্রশংসা করতেই হবেই। তাঁরা অসাধারণ ফিল্ডিং করেছে। মেথুস এর নেতৃত্ব ছিল অসাধরন।
এখন ভয়ে আছি, এভাবে হারতে থাকলে কবে না আবার বাংলাদেশ দলের গায়ে সাউথ আফ্রিকার মত চোকারস অপবাদ লেগে যায়
।
আজকে ক্লাস, টিউশন কিছু ছিল না ।বল বাই বল পুরো ম্যাচ দেখলাম। এখন রাগে নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে।
কি আর করার পরবর্তী ম্যাচ এর দিকে তাকিয় আছি। আশা করি পরের দু ম্যাচ এ বাংলাদেশ টিম আবার ঘুরে দাঁড়াবে। সেই প্রত্যাশায় রইলাম।