কিছুক্ষন আগে বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার ফুটবল খেলার হাইলাইটস দেখলাম। শতভাগ বাংলাদেশের জেতার ম্যাচ ড্র করে ফিরলো, সেইম! তবে একজন সাধারন দর্শক হিসাবে কয়েকটা পয়েন্ট চোখে পড়লো।
১। বাংলাদেশের প্লেয়ারেরা একসাথে প্যাক্ট্রিস করেছে এমন মনে হল না, অন্তত এমন ম্যাচ খেলার আগে ১৫দিন একসাথে সবার মাঠে খেলা দরকার ছিলো, এতে প্লেয়ারদের বন্ডিং ভাল হত, এই বন্ডিং মাঠে দেখা যায় নাই।
২। মি হামজা একা গোল করে দিবে, আমরা জিতে যাব এই চিন্তা বাদ দেয়া দরকার। মি হামজা বেষ্ট প্লেয়ার নিঃসন্দেহে, তবে বাকীদেরও ভাল করতেই হবে, মি হামজার সাথে তাল না মিলাতে পারলে গোল হবে কি করে। তার কর্নার কিক গুলো অসাধারন, ফিজিক্যাল ফিটনেস ভারতীয়দের তুলনায় ভাল।
৩। আমাদের পরীক্ষিত প্লেয়ার মি জামাল ভূইয়াকে কেন খেলানো হল না, তার ব্যাখ্যা কোথায়ও খুঁজে পেলাম না। মি জামালকে যে কোন মুল্যে মাঠে খেলানো দরকার ছিলো। মি জামাল ভূইয়া আমাদের রিয়েল হিরো এবং যে কোন দলের জন্য তিনি ভীতিকর, তাকে মাঠে রাখলে প্রতিপক্ষ মানসিকভাবে হলেও কিছুটা কাইত হত।
৪। আমাদের বেশির ভাগ প্লেয়ারের বল রিসিভিং এবং পাসিং ক্যাপাবেলিটি খুব দূর্বল, এদের প্যাক্টিস তেমন একটা করানো হয় বলে মনে হল না!
৫। ভারতের দল সার্বিকভাবে আমাদের থেকে দূর্বল এবং চাপে ছিল বলে মনে হল, আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলাম না।
(সামনের ম্যাচ গুলোতে আশা করছি, ভাল প্যাক্ট্রিস করে মাঠে নামবে। বর্তমান ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচিত সভাপতি মি তাবিথ আউয়াল বলে অনেকেই দেখি তার নাম নিতে লজ্জা পায় বা তাকে দেখায় না। তবে তিনিও যে খুব একটা এক্টিভ তা বুঝা যাচ্ছে না, আমি কিছুক্ষন আগে বাফুফের ওয়েব সাইট দেখলাম, তিনি নিজে এই সাইট কখনো দেখেছেন বলে মনে হল না। ইন্ডিয়ার সাথে খেলা শেষের ২৪ ঘন্টা পার হবার পরেও সাইটে এই বিষয়ে কোন খবর বা ছবি নেই। আশা করি তিনি তার নাম উজ্জ্বল করবেন কর্মে এবং আরো কর্মমঠ হবেন, যাতে উনাকে সাংবাদিকেরা সব জায়গাতে প্রকাশ করেন।)