মুলত আজ অফিসে তেমন কাজ নেই, তবুও এসে বসেছি, সময় কাটে নিরবে ও নিরালায়, অনেক চিন্তা মাথায় থাকে না! আমি সব সময়েই ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকদের রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল থেকে বাদ দেয়ার পক্ষে, কারনে এতে সামাজিক পারিবারিক বিরাট ক্ষতি হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রীরা ২২/২৩ বছরে মাষ্টার্স পাশ দিয়ে বের হয়ে যাবে, শিক্ষকেরা একাডেমিক রিচার্স নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করবে, পরিবার গুলো সুন্দর দিন কাটাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। সন্তানের শিক্ষার সময় যত বাড়ে পরিবারের প্রধান তত অসহায় হতে থাকে, তার যোগানে অভিবাবকের ইহকাল পরকাল দুইদিকই যায়! এই নিয়েও বিরাট অনুসন্ধান্মুলক লেখা যায়, আগেও লিখেছি।
আজ ছাত্র রাজনীতির বলি দুইটা উদাহরণ দিবো, দেখুন কিভাবে এমন সুন্দর প্রাণ গুলো হারিয়ে যেতে বসেছে, এমন হাজারো কাহিনী তৈরী হয়েছে, ছাত্রলীগ করা ছেলেদের দেখলেই বুঝবেন বা আশেপাশে দেখলেই পাবেন। প্রথম কাহিনীটা আমার বড় ছেলে থেকে শুনা।
সংক্ষেপে লিখি। ওদের নটরডেম ব্যাচমেট, ছেলেটা নানান চেষ্টার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্দু বিভাগে ভর্তি হয়, ভর্তি হয়েই সে ছাত্রলীগে যোগ দেয়্ পরের ঘটনা এই ছাত্রছাত্রী আন্দোলনে সে ছাত্রলীগের হয়ে ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়, লাঠি দিয়ে পিটায়, আর এই ভিডিও ভাইরাল হয়, তার বিভাগের সবাই যেনে যায়। ফলে তাকে বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত করা হয়, মানে তার পড়া লেখা শেষ! এখন সে কোথায় আছে কে জানে। আমার ছেলে আফসোস করে বলল, দেখো, কিভাবে ছেলেটা তার জীবন শেষ করলো, এখন চাইলেও আর এই দেশে কোথায় পড়া সম্ভব নয়। এই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সব শেষ করলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির এক বছরের মধ্যেই।
পরের ঘটনা এলাকার, ছবি যোগ করলাম, ছবিতে ক্লিক করে পড়ে দেখুন। কিভাবে একটা পরিবারের ছেলে এখন ঘরছাড়া হয়ে গেল, এলাকাতে গেলেই মাইর খাবে বা জীবন যাবে। ছাত্রাবস্থায় রাজনীতির কোন স্থান দরকারই নেই! একবার চিন্তা করে দেখুন।
শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪১