রাত আর কতই বা হবে !
সেদিন ঘুমোতে পারছিলাম না বলে বাইরে বারান্দায় গিয়ে বসলাম ।
পূবালী শীতল হাওয়ায় গা টা জুড়িয়ে গেল!
সামনেই নিম গাছের মাথার উপর ঘোলাটে মেঘের আড়ালে থাকা চাঁদ টাকে অপূর্ব লাগছিলো ।
আর তখনই তীক্ষ নিষ্ঠুর স্মৃতী গুলো ঝাপটে ধরলো ।
হাতে একটা মাউথ ওর্য়াগান ছিলো । চেষ্টা করছিলাম তাতে বেদনার সুর দিতে , তুলতে চাইছিলাম ভেতরের চাপা আর্তনাদ !
হৃদয়ের গভীর থেকে কিছু অভীমান মাউথ ওর্য়াগানের সুর হয়েই ধরা দিলো সবার কাছে ।
কতখন বাজিয়েছি মনে নেই ।
একসময় বুঝতে পারলাম চোখে নোনা বৃষ্টির বর্ষন ।
ভেতরটাকে খুবলে খাচ্ছিলো একদল কষ্ট নামক হায়না ।
চাঁদ টা কাল মেঘের আড়ালে ঢেকে গেল !
চারিদিকে ফজরের আজানের সুর ।
উঠে এলাম
আমি ক্লান্ত । বড্ড ক্লান্ত রাতের বুকে বিচরন আর কষ্ট গুলো সামাল দিতে!
এখন ঘুমোবো ।
খুব শান্তি হতো , যদি এটাই হতো অনন্ত ঘুম . . . . .