somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শহীদ জননী তোমায় সালাম

০২ রা জুলাই, ২০০৭ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লম্বা সময় পর হপ্তাখানেকের একটা ছুটি নিয়েছিলাম সমস্ত কাজ থেকে। সত্যিকারের বিরতি। ছুটির মাঝে একবারের জন্যে, কাজ নিয়ে গবেষণা নিয়ে ভাবিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভরপেট খাওয়া, এক কাপ চা, একটা সিগারেট। এরপর আড্ডা কিছুক্ষণ। অবশ্য ছুটিতে সিগারেট খাওয়া কিছুটা কমে গিয়েছিলো। এটার কারণ হতে পারে, কাছের মানুষদের সাথে সময় কাটানো। সিগারেট সম্ভবত সঙ্গ দেয়। দুপুরে কড়া রোদে ঘন্টা খানেক পানিতে ভেসে থাকা, সব মিলিয়ে আদর্শ ছুটি।

এই ছুটিতে হঠাৎ করে ''একাত্তরের দিনগুলি'' আবার পড়লাম। ভালো লাগা বই, পছন্দের বই বার বার পড়া উচিত বলে আমি মনে করি। এক বসায় অনেকবার পড়বার কথা বলছিনা, দুবছর কিম্বা তিনবছর বাদে পড়বার কথা বলছি। সময়ের সাথে সাথে আমাদের মনোজগতের মাঝে অনেক পরিবর্তন হয়। সে পরিবর্তনগুলো আমরা সচরাচর সনাক্ত করতে পারি না। নিজের মাঝে পরিবর্তন সনাক্ত করবার জন্য পরিচিত, ভালো লাগা বই একটা চমৎকার পদ্ধতি। একই শব্দ, একই লাইন আমরা নতুন আঙ্গিকে দেখি প্রতি পঠনে।

শহীদ জননী যখন ''একাত্তরের দিনগুলি'' বইটা লিখেছিলেন তখন নিশ্চয়ই প্রতিদিন নিজের জীবনের ঘটনাগুলো, কষ্টগুলো, আনন্দগুলো তুলে ধরছিলেন। তিনি নিশ্চয়ই ভাবেননি, তিনি ইতিহাস লিপিবদ্ধ করছেন। বইটা যখন প্রথম পড়েছিলাম, ভেবেছিলাম যুদ্ধের দিনগুলোর ইতিহাস পড়ছি। এখন পড়তে গিয়ে (কতবার পড়েছি ?) আবিষ্কার করলাম বইটা নিজেই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। একজন মায়ের রোজনামচা নেই বইটা আর, একটা দেশের রোজনামচা, একটা মুক্তিকামী মিছিলের কণ্ঠস্বর হয়ে গেছে, ''একাত্তরের দিনগুলি''।

আমাদের এক জীবনে, আমরা কয়টা জীবন্ত বই পড়বার সুযোগ পাই। আমি একটা পড়বার সুযোগ পেয়েছি। আমি নিজেকে ভাগ্যবান ভাবি এই কারণে।

(সচলায়তনের জন্মদিনে সবার জন্য নিজের ভাললাগাটুকু উপহার দিচ্ছি। সচলায়তনে প্রথম প্রকাশিত)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০০৭ রাত ১২:০২
১৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গিলে খাবো

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯




যারা ফেনি এলাকা নিয়ে শংকিত তাদের জন্য এই পোস্ট। ইনশাআল্লাহ্‌ সেই ভুল করার মত সাহসও উনাদের হবে না। কেউ শিকার করতে গিয়ে নিজে শিকার হতে চায় না। আর সেনাবাহিনী এত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামে শ্রমিকের অধিকার: কুরআন ও হাদীসের আলোকে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

লিখেছেন নতুন নকিব, ০১ লা মে, ২০২৫ দুপুর ১:১৬

ইসলামে শ্রমিকের অধিকার: কুরআন ও হাদীসের আলোকে একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ভূমিকা

আজ ১ মে, মহান মে দিবস—শ্রমিক দিবস। এটি শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার, মর্যাদা ও সংগ্রামের প্রতীকী দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবিক করিডোর: অযথাই ভয় পাচ্ছি সম্ভবত

লিখেছেন হাবিব ইমরান, ০১ লা মে, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

ড.ইউনূসের ভালো কাজগুলোর সমর্থন করি। কিন্তু রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এমন কাজ সমর্থন করি না।

আমার চিন্তাভাবনায় ভুল থাকতে পারে। কিন্তু ভয় কাটানোর কোন বাস্তবিক উপায় আছে?

রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ শুনতে চায়না, সবাই শোনাতে চায়....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০১ লা মে, ২০২৫ রাত ৯:০৯

কেউ শুনতে চায়না, সবাই শোনাতে চায়....

আত্মকেন্দ্রীক দুনিয়ায় এখন আনন্দ বা দুঃখ হলে ভাগ করে নেবার মানুষের খুব অভাব। ধরুন আপনি একটি আনন্দ সংবাদ ভাগ করে নিতে চান। যাকে বলছেন সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফারুকীর সংবাদ সম্মেলন, সিদ্দিকুর রহমানকে গণধোলাই এবং ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০২ রা মে, ২০২৫ রাত ২:০৮


সারাদেশ যখন ভারত পাকিস্তানের ফেকু যুদ্ধ নিয়ে প্রেডিকশন করছে তখন কতিপয় লোক ব্যস্ত সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীকে বিতর্কিত প্রশ্ন করতে, কেউ ব্যস্ত অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান কে গণধোলাই দিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×