ছোট বেলায় যদি কখনো প্লেনের আওয়াজ পেতাম হত হোক সেটা প্যাসেঞ্জার অথবা ফাইটার প্লেন সব কিছু ফেলে দৌড় দিতাম প্লেনটাকে দেখার জন্য । আর রাতের বেলায় যখন প্লেন গুলো উড়ে যেত তখন সবচেয়ে বেশি ভাল লাগত, কারন তখন প্লেনে অনেক রঙের বাতি একসাথে জ্বলত । ছোট বেলায় একবার আব্বু আম্মুর সাথে শিশুপার্কে গিয়েছিলাম । সেখানে গিয়ে দেখি একটা জায়গায় একটা অচল ফাইটার প্লেন দাড় করিয়ে রেখেছে, আর টিকেট কেটে বাচ্চা পুলাপাইনরা তার ক্যানপিতে কিছুক্ষণ বসে থাকে । আমি আব্বুরে বলার সাথে সাথেই আব্বু আমারে লাইনে দাড় করায়া দিল । কিছুক্ষন পর আমি উঠলাম সেই প্লেনে । উঠেই কন্ট্রোল স্টিক নিয়ে টানাটানি, এইটা সেইটা টিপা টিপি পুরাই অস্থির । কিছুক্ষন পর সময় শেষ হয়ে এলে ওখানকার লোক আমাকে নেমে আসতে বললেও আমি নামি নাই । পরে আব্বু এসে জোড় করে নিয়ে গেসিল । যাই হোক, বহুত কইয়া ফেললাম । এইবার চলেন গিয়া দেখি সেই বিমান নিয়া আমার কিছু ব্যার্থ প্রচেস্টা ।
10. J-10(China):
J-10 কে বলা হয় ভিগোরাস ড্রাগন যে বিভিন্ন পরিবেশে একের বেশি কাজ করতে পারে । চেংদু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনে তৈরি করা হয় এই প্লেন গুলো । এই প্লেনের রাডার একসাথে সর্বোচ্চ ১০ টি টার্গেট ট্র্যাকিং করতে পারে যার মধ্যে ২-৪ টি টার্গেটকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছুড়তে পারে । ২০০৭ সালে অফিসিয়ালি এটির সার্ভিসে যোগদান হয় । J-10 কে তৈরি করা হয় JAS 39 Gripen(সুইডেন), Eurofighter Typhoon(ইউরো জোন) ও IAI Lavi(ইসরায়েল) এর সংমিশ্রণে । এই পর্যন্ত ২২০ টি প্লেন তৈরি করা হয়েছে ।
9.Mig-35(Russia):
Mig-35 কে বলা হয় ফোর প্লাস জেনারেশন ফাইটার প্লেন । Mig-29 এর নেক্সট ভার্শন হচ্ছে এই Mig-35 । মিকোয়ান কর্পোরেশনের তৈরি এই প্লেনটির প্রথম দেখা পাওয়া যায় ২০০৭ সালে এরো ইন্ডিয়া নামক এক এয়ার শোতে । যে কারণে Mig-35 বিখ্যাত সেটি হল এর লেটেস্ট রাডার ও অপ্টিকাল লোকেটর সিস্টেম যেটার কারণে এটার ডিটেকশন রেঞ্জ ১৬০ কিমি (এয়ার টার্গেট) ও ৩০০ কিমি (জাহাজ) পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে । এটার উইং টিপে বসানো লেজার এমিশন ডিটেক্টর যার সাহায্যে সম্ভাব্য সকল আক্রমণকে প্রতিরোধ করতে পারে ।
8.T-50 Golden Eagle (South Korea):
T-50 হল সাউথ কোরিয়ার সর্ব প্রথম সুপার সনিক ট্রেইনার ও ফাইটার প্লেন । কোরিয়া এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ও লকহিড মার্টিন এর যৌথ চেষ্টায় তৈরি এই প্লেন পৃথিবীর অন্যতম কয়েকটি সুপারসনিক ট্রেইনার প্লেনের মধ্যে একটি । ২০০৫ সালে এয়ার ফোর্সে এর অফিশিয়াল যোগদান হয় । আমেরিকান এয়ার ফোর্সের ট্রেইনিং প্রোগ্রামে এই প্লেনটি ব্যাবহার করা হয় ।
7.F-16 Fighting Falcon (USA):
F-16 Fighting Falcon হচ্ছে একটি মাল্টিরোল ফাইটার প্লেন যেটা তৈরি করেছিল জেনারেল ডাইনামিক্স । প্রথম দিকে এটাকে দিনের বেলার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হলেও পরে এটাকে সকল আবহাওয়ার জন্য তৈরি করা হয় । ১৯৯৩ সালে জেনারেল ডাইনামিক্স F-16 এর মালিকানা লকহিড মার্টিন এর কাছে বিক্রি করে দেয় । F-16 এর অফিশিয়াল নাম Fighting Falcon হলেও পাইলটদের কাছে এটি ভাইপার নামেই পরিচিত । যে কারণে এটি খুব পরিচিত সেগুলো হচ্ছে এই প্লেনের পাইলটের সিট গুলো প্রয়োজনে ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত বাঁক নিতে পারে, এর স্বচ্ছ ক্যানপি পাইলটের দৃষ্টি ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আর কন্ট্রোল স্টিকটা এক সাইডে অবস্থিত যেটা পাইলটদের মিসাইল ফায়ারিং অথবা বম্বিং এর জন্য খুব হেল্প ফুল ।
6. Dassault Rafale (France):
Dassault Rafale হল ফ্রান্সের টুইন ইঞ্জিন ডেল্টা উইং ফাইটার প্লেন । এটার ডিজাইন থেকে শুরু করে নির্মান পর্যন্ত সব কিছুই ফ্রান্সের ডেসাউল্ট,থেলাস ও সারফান এভিয়েশন এর যৌথ উদ্যোগে হয়েছে । এটি বিখ্যাত আকাশে তার চরম ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার জন্য । এই প্লেনটা স্পেক্ট্রা নামের একটি ইলেক্ট্রনিক কমব্যাট সিস্টেম এর সাথে কাজ করে যার কারণে প্লেনটি ভূমি ও আকাশের সকল আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে । রাফালেতে আছে রিয়েল টাইম থ্রিডি ম্যাপ যেটা পাইলটকে দীর্ঘ দুরুত্বের অবজেক্টকে সনাক্ত করতে সাহায্য করে । বর্তমানে ১১৫ টি রাফালের বহর রয়েছে ফ্রান্সে ।
শেষ দেইখা চিন্তা কইরেন না, আগামী পর্বে বাকিটুক দিয়া দিমু