তিন ছাত্রকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গভীর রাতে উত্তাল হয়ে ওঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট। বিক্ষুব্ধ প্রায় ৫শ’ ছাত্র-ছাত্রী প্রোভিসি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমানসহ ৫০ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ৩ ছাত্রলীগ কর্মীর বহিষ্কারের দাবিতে তারা অবস্থান নেন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে।
গতকাল বিকেলে ছাত্রলীগকর্মী সুজিত, দ্বীপ ও মিঠুন ০৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ঈশানকে বেধড়ক পেটায়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৮শে ডিসেম্বর। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ০৬ ব্যাচের রক কনসার্ট হচ্ছিল। সেখানে ছাত্রলীগকর্মী সুজিত, দ্বীপ ও মিঠুন প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা জুনিয়র হওয়ায় ওই কনসার্টে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তারপরও ওই ৩ জন ছাত্রলীগ করে বলে জোর করে সেখানে প্রবেশ করে। এ নিয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
গতকাল বিকেলে ওই ৩ জনসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ০৬ ব্যাচের ঈশানকে সামনে পেয়ে বেদম পেটায়। এতে গুরুতর আহত হয় ঈশান। তাকে প্রহারের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তারা ছাত্রলীগকর্মী সুজিত, দ্বীপ ও মিঠুনকে বহিষ্কারের দাবিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। বুয়েটের ১২০০ ছাত্র-ছাত্রী স্বাক্ষর করা এক আবেদন প্রোভিসি হাবিবুর রহমানের কাছে তুলে দেন। তারা ওই তিন ছাত্রের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করেন।
কিন্তু প্রোভিসি তাদের জানান, বুয়েটে স্থায়ী বহিষ্কারের কোন নিয়ম নেই। তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু ছাত্ররা তা প্রত্যাখ্যান করে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে নেন। তারা প্রোভিসিসহ কমপক্ষে ৫০ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। রাত ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে প্রোভিসি ড. হাবিবুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমরা ৫০ জন শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে আছি। তিনি বলেন, ভিসি ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুয়েটের ছাত্র শাওন বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মানা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অবস্থান করবো।
সর্বশেষ আপডেটঃ Click This Link