somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

থ্রীজি নিয়ে আমাদের কিছু ভাবনা ও নরসিংদী'র ছাগলের হাতে ডিজিবিডি -২

১৯ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকাঃ থ্রীজি হলো তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক।এর দুটি বড় গুন হলো, মোবাইল ফোনে আমরা যে ভয়েসের শেয়ার করতে পারি, ৩ জি'তে চাইলে ভয়েসের সাথে দুইজন বা অধিক জনে দূরে ভিন্ন ভিন্ন লোকেশনে থেকেও ভয়েসের সাথে সাথে লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং শেয়ার করতে পারবে অর্থাৎ সর্বত্র বিরাজমানের গুন/ক্ষমতা লাভ করবে।দ্বিতীয় গুনটি হলো এর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি।গব্রডব্যান্ড ইন্টার্নেট পরিবহনের এই সুবিধা বাংলাদেশের জন্য অমূল্য অপরিহার্য একটি বিষয়।বাংলাদেশে আমরা মূলত আজ ২০১২ সালেও যে ধরনের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছি, একে অন্তত ১৫ বছর আগের ২.৫জি/(জিপিআরএস-GPRS) বা ২.৭৫জি/(এজ-EDGE) নেটওয়ার্ক দাবি করা হয়।একে থ্রীজিতে আপগ্রেড করতে হলে মোবাইল অপারেটরগুলি কে সরকারের অনুমোদন নিতে লাগবে।কারন থ্রীজির জন্য যেই তরঙ্গ ব্যবহার করতে হবে তার মালিক রাষ্ট্র, যার জন্য সরকারকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে, সেই নির্দিষ্ট তরঙ্গ ট্রান্সমিশন ও নেটওয়ার্ক তৈরীর করতে লাগবে।মোবাইল যদি গণতন্ত্রের প্রতীক হয়, তাহলে থ্রীজি সেই প্রতীকের স্বাধীনতা।আর তরঙ্গ ব্যবহার করে সৃষ্টি গণমাধ্যম বা টেলিযোগাযোগকে তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতিবিদরা সবসময় ভয় পেছে।তাই রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল সহ গণতন্ত্রের সমার্থক, নাগরীক স্বাধীনতার মাধ্যমকে এরা সবসময় জনগণের নাগালের বাইরে রেখেছে - দেশকে অবরুদ্ধ রেখে শোষনের উদ্দেশ্যে।ভূমির মত মানুষের জন্মগত অধিকার জনগণের মাথার উপর আকাশকে নিরাপত্তা রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্যের অজুহাত দেখিয়ে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষনা করে রেখেছে।লোকাল নদীতে নাউ বাইলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়না অথচ লোকাল আকাশে কথা উড়ালেও আপনার পেছনে এনএসআই ডিজিএফআই ছুটবে।সব মাথামোটা গন্ডারের দল দেড় শতক আগের উদ্ভাবিত তরঙ্গের ব্যবহার নিয়ে তালটিংবালটিং করে শুধু উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকেই ১৫০ মিলিয়ন মূর্খ বানিয়ে রাখেনি বরং দেশের গণতন্ত্র, শিক্ষা, উন্নয়ন, যোগাযোগ সব বনসাই বানিয়ে রেখেছে।এই মানসিকতার রাষ্টে, ২১ শতকের প্রথম আবিষ্কার থ্রীজি টেলিকম - অতীতের সকল মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালি ও নাগরীকের স্বাধীনতার চুড়ান্ত রুপ - এর প্রশ্নে কি কি হতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমান আজকের ২০১২ সালের বাংলাদেশ।যদিও অনেক দেশে থ্রীজি নিয়ে ধর্মীয় বাঁধাও এসেছে, তবে বাংলাদেশের অবস্থা আর কোথাও হয়নি।কারন ২০০৯ সালের পর আজ বিশ্বের আর কোন দেশে থ্রীজি রোলআউট বাকি নেই।অথচ এই থ্রীজি নিয়ে গত সাড়ে তিন বছর যাবৎ, ডিজিটাল বাংলাদের হেডকোয়ার্টার তথা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়, দেই দিচ্ছি করে, দিচ্ছে না।একদিন যখন যা দিবে - আমি বলে গেলাম - পুলিশে যেমন ছাত্রছাত্রীদের বলে লেখাপড়া তর *** দিয়া ভইরা দিমু, তেমনি ৩-জি তেমনি জনগণের *** ভইরা দিব নে।

থ্রীজি'র ইতিহাসঃ বিশ্ব সর্বপ্রথম ১-জি প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন হয়েছিল জাপানে, ১৯৭৯ সালে।এটি ছিল এ্যানালগ মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন।১৯৯১ সালে ২-জি বা প্রথম ডিজিটাল মোবাইল নেটওয়ার্ক ফিনল্যান্ডে শুরু হয়।বাংলাদেশে আমরা মূলত ১৯৯৭ সালে প্রথম ২-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছিলাম।বিশ্বের প্রথম কমার্শিয়াল থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু হয়ছিল, ১ অক্টবর, ২০০১ জাপানে।পরবর্তী দুই তিন বছরের মধ্যেই বিশ্বের ধনী দেশগুলো তাদের মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ৩-জিতে আপগ্রেড করার জন্য চাপ দেয়-কোথাও কোথাও বিনামূল্যে, নেটওয়ার্ক সম্পন্ন করার জন্য সময় বেঁধে দেয়।কেননা তারা জানতো, যেই ব্রডব্যান্ডের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে অপটিক ক্যবলে স্থির লোকেশনে সংযোগ নিতে হয়, তা মোবাইলে, বাতাসের ভেতর দিয়ে পাওয়ার দরজা ছিল এই শতকের অন্যতম আবিষ্কার। যা জনগণ ও রাষ্ট্রকে অলটাইম এক সূত্রে গেথে সর্বোচ্চ স্বচ্ছ নিরাপত্তা, প্রশাসন, বিনোদন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ সহ অসংখ্য আশির্বাদ ঘরে ঘরে নাগরীকের পকেটে পকেটে পৌছে দিতে পারবে।উল্লেখ্য ২০০৩ সালে থ্রীজি ওপেন করার পর ডেনমার্কে হিসেব করে দেখা হয়েছে, থ্রীজি আসার পর রাজধানীতেই তাদের রোড ট্রাফিক ২৫% কমে গেছে, কারন মানুষের কাজের জন্যই মোবিলাইজেশন, ব্রডব্যান্ড ও নেটে টাকা লেনদেনের সুবিধা মানুষকে তার প্রয়জনীয় অসংখ্য কাজে মোলিকিউল মোবিলাইজেশন বাদ দিয়ে বিট মোবিলাইজেশনে আরও সহজে ও স্বল্প ব্যায়ে করতে দিয়েছে।এদিকে ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালের দিকে এসে এই সব ৩জি নেটওয়ার্ক আরও আপগ্রেড করে আরও বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন ৩.৫-জি বা ইউনিভার্সাল মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম - UMTS, হাই স্পীড ডাউনলিংক প্যাকেট এ্যাক্সেস' HSDPA তে আপগ্রেড করেছে।বহু দেশ এরই মধ্যে ফোরজি-4G নেটওয়ার্ক স্থাপন করে ফেলছে।এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৫-জি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা আছে।শুধু যে ধনী দেশেগুলিতেই মোবাইল নেটওয়ার্কের এই আাপগ্রেডেশন হয়েছে তাই নয়, থ্রীজি'তে আপগ্রেডেশনের এই অনুমোদন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো সহ তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ২০০৮ সালের মধ্যে দিয়ে দিয়েছে।যেমন ৯ জুলাই ২০০৮ বার্মায়, ৬ মে ২০০৮ ভুটান, মে ২০০৭ নেপালে, জানুয়ারী ২০০৮ পাকিস্তান, ফেব্রুয়ারী ২০০৮ মালদ্বীপ, ৭ মার্চ ২০০৮ উগান্ডা, জুন ২০০৬ শ্রীলংকা, ২৮ এপ্রিল, ২০০৯ মঙ্গোলীয়া, অক্টবর, সর্বশেষ ভারত ২০০৯ সালে।

বাংলাদেশের জন্য থ্রীজি কেন সর্বশেষ সুযোগঃ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ছারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া দূরে থাক বরং ডিজিটাল বাংলাদেশের কাজ আরাম্ভ করারই অসম্ভব।এই সত্য মাথায় রেখে, বর্তমান সরকারের প্রথম বছরের ব্রডব্যান্ডের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তগুলো নেয়া উচিত ছিল।তেমনই কথা ছিল, ২০০৯ সালে সজিব ওয়াজেদ জয় এর ডিজিটাল বাংলাদেশ ভাষনে বলেছিল, (ইউটিউবে পাবেন) বাংলাদেশের আইনে ব্রডব্যান্ডের সংঙ্গা "Any connection that gives 256 Kbps or more Bandwidth is Broadband." যা এ্যাবসার্ড, সর্বনিম্ন ১ এমবিপিএসকে বলা হবে ব্রডব্যান্ড।এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ব্যান্ডউইথ সমস্যা থাকবে না।আরও বলেছিলে আমাদের লাস্টমাইল ব্রডব্যান্ডে ৯০ ভাগ হবে তাড়বিহীন।তিনি সঠিক কথাই বলেছিলেন।কিন্তু সেদিন থেকে ক্ষতি ছারা এক ইঞ্চিও আগায়নি আমাদের অবকাঠামো, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, আমলাদের কূটনীতি, অদক্ষতা, অযোগ্যতার প্যাচে পরে।মূলত গণব্রডব্যন্ড ছাড়া কেউ যদি ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা, তবে বুঝতে হবে সে মিথ্যা কথা বলছে, আপনাদের সাথে প্রতারনা করছে।সত্যি কথা বলতে কি, বিশ্বের কোন দেশের ইন্টারনেট ইউজেরকে বাধ্য হয়েই আজও ন্যারোব্যন্ড নেট ইউজ করতে হয়, জনবসতি আছে তেমন অঞ্চল পাওয়া দূরুহ হবে। আর এদিকে ২০০৯ সালে এসে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনা দিলেও গাধার রাজ্যে এর প্রথম বাক্যটিই উপলব্ধিতে আসেনি যে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের পরে ব্রডব্যন্ডই হবে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বের জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার।ব্রডব্যন্ড নেটওয়ার্কের জন্য পৃথিবীতে সাধারনত দুইটি মৌলিক পথ আছে।এক ফাইবার অপটিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক, দুই ব্রডব্যান্ড তরঙ্গ ব্যবহার করে তাড়বিহীন ব্রডব্যান্ড, যার মধ্যে- থ্রীজি, ওয়াইম্যাক্স অন্যতম।কেলিফোনিয়া শহরের টেলিফোন সিস্টেমের ৬ এমবিপিএস অপটিক ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে ওয়ার্ড ব্রডব্যান্ডের যাত্রা শুরু হলেও, সেদিন দেখলাম কানাডায় ৩০০ জিবিপিএস অপটিক ক্যাবল স্থাপন হচ্ছে।৬০ এর দশকে এশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ দক্ষিন কোরিয়া তাদের প্রথম ন্যাশনাল অপটিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করেছিল ১৯৮৬ সালে।নব্বুইয়ের দশকে দুই বার ও গত দশকে একবার আপগ্রেড করে ৫ কোটি জনগণের দেশটিতে ২০০০ সালের মধ্যেই প্রতিটি হোল্ডিং, বাসাবাড়ি, অফিস অপটিক ক্যাবলে তাদের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযুক্ত করে ফেলেছিল।আর এখানে আমরা এখনও সেই আদিকালের টিএ্যান্ডটির, যার সারাদেশে সর্বোচ্চ ১০% গ্রাউন্ডও কভারেজ নেই, কপার তাড়ের টেলিফোনি সিস্টেম।এর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আমাদের হাতের উল্টো পিঠের মত স্পষ্ট।এই রকম একটা সিসটেমকে আমরা আগামী ১০০ বছরেও ফাইবার অপটিক ক্যাবলে রিপ্লেইস করে জেলা, উপজেলা হাওড়, বাওড় ও পাহাড়ে জালের মত নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেব, সেরকম স্বপ্ন দেখা ঘুমের মধ্যেও উচিত হবে না, দোষ হয়ে যাবে।দেখুন না, গত সাড়ে তিন বছর ধরে বিটিসিএল যে ১৯৯৪ সালের এডিএসএল প্রযুক্তির কথা বলছে, তা দিয়ে এই মুহুর্তে সারা দেশে শুধু জেলায় সর্বোচ্চ ৩০০০ সংযোগ দিতে পারবে।২০০৮ সালে গত কেয়ারটেকার সরকার আমলে, অপটিক হোম নামক একটি মাত্র কোম্পানীকে সারাদেশে অপটিক ফাইবার স্থাপনের লাইসেন্স দেয় হয়, পরবর্তীতে বর্তমান সরকার আরও একটি লাইসেন্স দেয় কিন্তু এই অপটিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক জনগণ সংযোগ পাবে না, যা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার সংযোগের নেটওয়ার্ক হবে ও জনগণকে ডিজিটাল শাসন, শোষন করতে সারাদেশের ৫০০০ ইউআইসি ও ৬৪ জেলা প্রশাসনকে সংযুক্ত করবে।এই ডেডিকেটেড কয়েক এমবিপিএসের লাইন গত সাড়ে তিন বছরে ঢাকায় ৬০ কিলোমিটার ও ৩০ টি ইউআইসি'র কাছাকাছি পৌছেছে, এখন বুঝুন কোথায় আছি আমরা আমাদের ন্যাশনাল অকটিক ক্যাবল বেকবোন তৈরীতে ?

ওয়াইম্যাক্সের কথা বলতে গেলে আরেক করুন কাহিনী।২০০৮ সালে আমরা যেই ওয়াইম্যাক্স রোল আউট করলাম শুধু সঠিক নীতিমালার কারনে তা আজও পুরো ঢাকার ৩০% কভার করতে পারেনি।এই ব্রডব্যেন্ড সুনামগঞ্জের শাল্লায় পৌছাতে পুরো একবিংশ শতাব্দী লেগে যাবে ! ২০০০ সালে জাপানে, প্রথম চালু হয় তাড়বিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিবহনে ওয়াইম্যাক্স-Wimax প্রযুক্তি ৮ বছর পর পরীক্ষা ও অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশে, আমরা ওয়াইম্যাক্স-Wimax লাইসেন্স দেয়ার সময়ই সেই সোনার ডিম দেয়া হাঁসের মত একবারেই জবাই করে সব খেয়ে ফেলতে চেয়েছিলাম।পৃথিবীর সর্বোচ্চ মূল্যে ওয়াইম্যাক্স লাইসেন্স বিক্রি করে সেদিন বিটিআরসির চ্যায়ারম্যান আইএমএফ সরকার অনেক লাফঝাপ দিলেও ওয়াইম্যাক্স অবকাঠামো যে গড়ে ওঠার অংকুরেই ধ্বংস করেছি তা সেদিন বুঝতে না পারলেও আজ বোঝা উচিত।অপটিক ক্যাবলহীন একটা দেশে ওয়াইম্যাক্স যেখানে আশির্বাদ হতে পারতো তা বোঝা হয়ে গেছে। আমরা বরং এখন লাইসেন্স ফ্রি ওয়াইম্যাক্স ঘোষনার কথা চিন্তা ভাবনা করছি, তাতে এই প্রযুক্তি আমাদের কিছুটা কাজে লাগবে।

এবার আসা যাক থ্রীজিতে, যার আবির্ভাব মোবাইল কমিউনিকেশনে যতনা প্রভাব ফেলেছে তারচেয়ে বহুগুন বেশি প্রভাব ফেলে ইন্টারনেটে জগতে।এ্যন্ড ইউজারের হাতে মোবাইল ব্রডব্যন্ড বা ইউনিভার্সাল ব্রডব্যন্ড পেয়ে ইন্টারনেট জগতে তোলপার হয়ে গেছে গত এক দশকে।ওয়েব জগতে একের পর এক ঢুকে যাচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন কর্মকান্ডের অসংখ্য বিষয়।বাংলাদেশের মত একটা দেশেও যখন মাত্র পনের বছরে মোবাইলফোন ব্যবহারকারী ৬০% ছারিয়ে গেছে সেখানে সেই মোবাইলে ব্রডব্যান্ড চলে আসায় উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রতিযোগীতা করে নাগরীককে মোবিলাইজেশন ফ্রিডম দিয়ে দিয়েছে।অথচ বাংলাদেশের এক্সজিসটিং টেলিকমে ব্রডব্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার বলে যেখানে কিছু নেই ওয়ার্লেস কানেক্টিভিটি যেখানে নিয়তি।এত অল্প গ্রাউন্ড টাওয়ারিং করে বিশ্বে আর কোথাও যেখানে এত বেশি মানুষ পাবে না (ভাবুন অষ্ট্রেলিয়ার আড়াই কোটি জনগণের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্কিং করতে কত বর্গকিলোমিটার টাওয়ারিং করতে লাগে, আরা বাংলাদেশের ১৬ কোটিকে কয় হাজার টাওয়ার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা করতে হয়?)এদেশে ওয়ালেস কানেক্টিভিটি শুধু অপরিহার্যই না, বাস্তবতাও বটে, মোবাইল নেটওয়ার্ক ছাড়া অন্য কোন নেওয়ার্কে যে কোন লোকেশনে ব্রডব্যান্ড দেয়া আগামী প্রায় ১০০ বছরেও অবাস্তব।অন্যান্য দেশ যেখানে থ্রীজি, ওয়াইম্যাক্স, অপটিক ক্যাবল সবগুলো পথেই তাদের ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড বেকবোন গড়ে তুলেছে সেখানে আমাদের ইউজার এন্ডে ব্রডব্যান্ডের এই এক মাত্র মাধ্যম কে এত বছর উন্মুক্ত না করে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রদ্রোহীতা মূলক অপরাধ করেছে।যেকোন বিশুদ্ধ রাষ্ট্রে এর সাজা প্রকাশ্য মৃত্যু দন্ড হতে বাধ্য।কারন ১৫০ মিলিয়ন নাগরীকের মুক্তির সবেধন নীলমনি দশ বছর আগের টেকনোলজী থ্রজি নেটওয়ার্ক গত পাঁচ বছর যাবৎ আমরা দেই দিচ্ছি করছি।প্রথমে সারাদেশ তাড় দিয়ে কানেক্টিভিটির কথা আপনার সামনে যদি কেউ বলে, নির্দিধায় তাকে একটা থাপ্পর মেরে বলতে পারেন /মোবাইল/ওয়ারলেস ব্রডব্যন্ড'ই হবে বাংলাদেশের ডমেস্টিক ব্রডব্যন্ড বেকবোন।ইমিডিয়েট ও প্রথম উপায় একটাই, থ্রীজি।

কখন বাংলাদেশ থ্রীজির জন্য ম্যাচিউর হয়েছিলঃ সে হিসাব করলে দেখা যাবে ২০০৬ সালের মে মাসে বাংলাদেশ যখন ৩০০ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রথমবারের মত সিমিউই-৪ সাবমেরিন ক্যবলে, ৮ জিবিপিএস সংযোগে, যুক্ত হয় - সেই সময়টাই ছিল বাংলাদেশে থ্রীজি রোল আউটের উপযুক্ত ও অবশ্যই করনীয়।এর আগে আসলে, যেকথা না আসলেও একই কথা ছিল -কেননা আগে ব্যন্ডউইথই ছিল।আবার তখন সংঙ্গে সংঙ্গে আমরা থ্রিজি দিয়ে দিলে ১৯৯৩ সালে সাবমেরিন ক্যবলে সংযুক্ত না হয়ে দেশের যে ক্ষতি হয়েছিল তা সর্বোচ্চ তিন বছরে কভার করে নিতে পারতাম।আপনাদের মনে থাকবে ওয়ারীদ বাংলাদেশে ৩-জি'র আওয়াজ তুলেছিল ২০০৪ সালেই।ওয়ারিদকে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের লাইসেন্সের সাথে থ্রী-জি অনুমোদনের ফাইল গেলে সেদিন কেবিনেট মিটিংয়ে সকল বৃদ্ধরা এর বিপক্ষে জোর দাবী তুলেছিল।যার শানেনজুল ছিল, "এটা দিলে আমাদের ইয়ং জেনারেশন নষ্ট হয়ে যাবে, ওরা ভিষন পাপ করবে, ফ্রি সেক্স হইয়ে যাবে, ঘরে বসে ওরা একে অন্যের নিজেদের ব্লুফিল্ম দেখবে।কোরান, হাদিস সব ঘেটে ঐ মিটিংয়েই ইসলামে ৩জি'র অনুমোদনের কোন সুযোগ নেই তা প্রমান হয়ে থাকতে পারে।এখনও এই নীতিই চলমান, সেই সাথে যুক্ত হয়েছে মহা দুর্নীতির পনের সালা পরিকল্পনা।

থ্রীজি নামে আমরা কি পেতে চলেছিঃ শুনা যাচ্ছে এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে সীমিত পর্যায়ে ডিশিওর আসছে থ্রীজি।আমারা একটা ভবিষ্যৎবানী করে দিলাম, পুলিশে যেমন বলে লেখাপড়া তর *** দিয়া ভইরা দিমু, ৩জি তেমনি জনগণের *** ভইরা দিব নে।বাংলাদেশে থ্রীজি আসলেও নেটের গতি আসবে না কারন তরঙ্গ দিবে না।১৯৯৩ সালের সাবমেরিন ক্যবলে সংযুক্ত না হয়ে আমরা পারকেপটা যেরকম মোটা বাশ খেয়েছিলাম তোমাদের যাবে মোটা বাঁশ ঝাড় পার নাগরীক।কারন রেডি নীতিমালাটা সরকারের চার বছর খেটেখুটে যে থ্রীজি নীতিমালা প্রস্তাব করেছে তা চালাতে ওয়াইম্যাক্স এর দশাই হবে।নীতিমালায় থ্রীজি এর এক মেগাহার্স তরঙ্গের নিলামের সর্বনিম্ন দর ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।সর্বোচ্চ ডাকে ৪টি অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়া হবে -যা ৩ টি হওয়া সর্বত্তম ছিল।প্রাথমিক নেটওয়ার্কের প্রত্যেককে ১০ মেগাহার্স করে তরঙ্গ নিতে হবে।এত বছর পরে আমাদের থ্রীজি পলিসিতে, প্রতিটি অপারেটরকে নূন্যতম ১৫০০ কোটি টাকার শুধু তরঙ্গই যদি কিন্তে হয়, তাহলে সেই তরঙ্গে আমাদের কাছে তারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কত দামে বেঁচবে ?গরীবের ইন্টারনেট এ্যাক্সেস নিষিদ্ধ!অথচ আমাদের দরকার সবার জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট।আমরা যদি শুরুতে প্রস্তাবিত থ্রীজি নীতিমালায় আর সব ঠিক রেখে, শুধু প্রতি মেগাহার্স স্পেক্ট্রামের ফি ১৫০ কোটির বদলে ১ টাকা ৫০ পয়সা করে দেই এবং পরবর্তীতে নীতিমালায় ধরা ৫% প্রফিট শেয়ারিং এর পরিবর্তে ১৫% প্রফিট শেয়ার করি তাহলে একদিকে যেমন দ্রুত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারবো, ইউজার লেভেলে সর্বনিম্ন দামে থ্রীজি ইন্টারনেট দিতে পারবো আবার তিন বছরেই আরও বেশি রাজস্ব পাব।সরকার যদি ২০০৯ সালে থ্রীজি ফ্রি ওপেন করেদিত তাহলে এত দিনে এরচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় করতে পারতো।এবং এর ফলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম রিক্সাওয়ালার হাই ইস্কুলে পড়া ছেলেটিরও নাগালে চলে আসবে।

এখন করনীয়ঃ গণব্রডব্যন্ডের আগে কেউ যদি ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায় তবে বুঝতে হবে সে মিথ্যা কথা বলছে।গণশুনানী ছাড়া থ্রীজি পলিসি হয়ে গেলে অসম্ভব ক্ষতি হয়ে যাবে, জাতি কে আগেই সতর্ক করছি রেডি থাকতে, কারন এবারের বাঁশ সাবমেরিন ক্যাবলের চেয়ে অনেক মোটা।এবং অন্তত দশ বছর ভুগতে হবে - কারন আগামী পনের বছরেও বাংলাদেশে থ্রীজি ছাড়া অন্যকোন টেকনোলজি দিয়ে দেশের প্রথম ও একমাত্র ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড ব্যাকবোন গড়া অসম্ভব ও অবাস্তব, সে ক্যাবলই বলুন আর ওয়ার্লেস ওয়াইম্যাক্সই বলুন।আর ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড ব্যাকবোন ছাড়া আধুনিক বিশ্বে বাংলাদেশ একটি বিচ্ছিন্ন ব্লাকহোলে পরিনত হবে, আপনারা হবেন তার দুর্গত নাগরীক।

কোন মন্ত্রীর কাজ ছিল এসবঃ সড়ক যোগাযোগের জন্য সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়, নদী পথের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়, কৃষির জন্য কৃষিমন্ত্রনালয়, ভূমি বললে ভূমিমন্ত্রনালয় আছে।তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বললে সড়ক, নদী, কৃষি, ভূমির চেয়ে হাজার গুন আধুনিক, সর্বশেষ জ্ঞান চর্চার তীর্থ ভূমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়।কিন্তু সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনা দিয়েও আবুল, শাজাহন, মতিয়ার মত আধুনিক জ্ঞানে ব-কলম জনাব রাজি উদ্দিন রাজুকে বসালেন এই মন্ত্রনালয়ে।মোবাইলের নম্বরটাও সেইভ করতে পারে না, ফোনবুক থেকে নাম বের করে কল দিতে জানে না এরকম একটা জংলি ছাগলকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ে বসিয়ে সরকার জনগণের সাথে শুধু প্রতারনাই করেনি।দেশের ১৬ কোটি মানুষের অপুরনীয় ক্ষতিও করেছে যার ফল জনগণই ভোগ করছে ও করবে।এই অপদার্থ দুষ্টু লোকের হাতে পরে এটুআই থেকে শুরু করে প্রতিটি মন্ত্রনালয়, দপ্তরের সকল ডিজিটাল ইনিশিয়েটিভ আজ ব্যার্থতা এবং সময় ও অর্থের অপচয় ছারা কিছু না।এর জন্য শত ভাগ দায়ি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়।এর মত বাই ফেইস একটা ডিজিটাল অপদার্থকে যারা ডিজিটাল বাংলাদেশের মেরুদন্ড গড়ার কাজ দেয় তাদের নিয়তে আমাদের সন্দেহ ঢুকে গেছে।একে ডিজিটাল বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বানানোর ভেতর দিয়ে শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মানের কু-কমিটম্যান্ট স্পষ্ট ফুটে উঠেছে এবং জনাবও দেশকে বাঁশ দিয়ে যাচ্ছে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত, পুরো বাঁশ ঝাড় তুলে।

মন্ত্রী ও তার এলাকা পরিচিতিঃ নাম জনাব রাজি উদ্দিন রাজু, জগন্নাথ কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে বিএ(পাস) পাশ, আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশে কর্ণধার।নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নে মন্ত্রীর বাড়ি।জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে মেঘনার বিস্তৃন চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত নরসিংদীর সবচেয়ে দূরবর্তী এই উপজেলাটি এক সময়কার সব্জীর পাইকার বর্তমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন রাজুর নির্বাচনী এলাকা।বৃটিশ আমলে রায়ট নামে পরিচিত থানাটি পরবর্তীতে রায়পুরা নামকরন হয়। উপজেলাটি অত্র অঞ্চলের একটি কুখ্যাত জনপদ হিসাবে ঐতিহাসিক ভাবেই পরিচিত।এখানকার নেতানেত্রী ও আমলারা এই বিশাল উপজেলাটির অধিকাংশ এলাকা ও মানুষকে আজও দুর্গম জঙ্গল করে রেখেছে।ঢাকার ও আশেপাশের ব্যাপক এলাকা সহ ঢাকা সিলেট মহাসড়কের আন্তজেলা চোর ডাকাতের অভয়আরন্য হিসাবে রায়পুরের পরিচিতি বহু বছরের।স্বাধীনতার পর এ অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল সর্বহারা নেটওয়ার্কের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাটি।রাজনৈতিক হানাহানি, দখলবাজি, দাঙ্গা রায়পুরায় নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।আর রাজি উদ্দিনের মত নেতারা এখানে বছরের পর বছর ধরে চরের দরিদ্র সাধারন মানুষকে খুনাখুনি, রাহাজানি, চুরি ডাকাতি জুয়া ইত্যাদীতে লাগিয়েই রেখে নিজেদের জীবিকানির্বাহ করেছে।এখনও নরসিংদীর কোর্টে রায়পুরার মামলায় আসামী সাক্ষিরা বাস ভরে ভরে রিজার্ভ নায়ে আসে।এখানকার অধিকাংশ অপরাধের খবর সহসা বাইরে আসে।জাতীয় মাধ্যম দূরে থাক নরসিংদীর স্থানীয় পত্রিকাতেও রায়পুরার খবর কমই আসে।সেই রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়ন নিবাসী দুষ্টু উকিল ও সমাজপতি মরহুম আফসার উদ্দীনের ছেলে সত্তুর উর্ধ্ব বিশাল দেহি রাজী উদ্দীন রাজুর চারিত্রীক সমস্যাও আছে সেই শৈশব কৈশর থেকেই।যানা যায় চরিত্রহীন পিতা আফসর উদ্দীনেরও একাধীক পত্নি উপপত্নি ছিল।মন্ত্রীর ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় সুন্দরী নারী ও মদের প্রতি তার ছিল আজন্ম দুর্বলতা।অনেকে ঠাট্টা করে বলেন মদ আর মেয়ে মানুষই নাকি কেন্দ্রীয় এই নেতার চালিকা শক্তি।এ দুটো আছে বলেই নাকি তিনি বেঁচে থাকেন।স্কুলের শিক্ষিকা, আমলা, জনপ্রতিনিধি, গ্রাম্য বধু হতে শুরু করে কাজের বুয়া পর্যন্ত হাত বাড়াতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন না এই ব্যক্তিত্ব।মন্ত্রনালয়ের পিয়ন চাপরাসি পর্যন্ত জানে মন্ত্রীর এই নারী দুর্বল্যের কথা।মন্ত্রীর তার কক্ষে গত তিন বছরে কত নারীর সাথে কত নাটক করতে দেখেছে তার সংখ্যা এরা বলতে পারবে না।মন্ত্রীর বিবাহিত স্ত্রী কয়জন তারও সঠিক তথ্য জানা যায় না।স্থানীয়দের দাবী তিন চার জনের কম না।এলাকায় তারা যে পত্নিকে চেনে তারও চলচিত্র জগতে বিশেষ ক্ষ্যাতি আছে যা রায়পুরার লোক মুখে শোনা যায়।মন্ত্রী চারিত্রিক সনদ পত্র দিতে যে দু একটি ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয় - নরসিংদীর রাঙামাটি এলাকায় সিরাজ ফকিরের বাড়ির উল্টোদিকে এক বাড়িতে প্রায়শই ফ্লাগ ছাড়া গাড়ি নিয়ে আসতেন তিনি।সেখানে বেশ সময় অতিবাহিত করতেন।সেখানে মণি (২৮) ও সুপ্তি (৩২) নামে দুই বোনের সঙ্গে তার কয়েক বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়।এমনও তথ্য লোকমুখে শোনা গেছে, মণিকে তিনি তিন মাসের গর্ভবতী অবস্থায় একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন।কিন্তু স্বামী যখন বুঝতে পারেন তার স্ত্রী বিয়ের আগে থেকেই গর্ভবতী তখন তিনি মণিকে তালাক দেন।২০০৯ সালের জানুয়ারিতে উপজেলা নির্বাচনের আগের দিন তিনি রায়পুরা এসে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেন।তিনি তার পছন্দের প্রার্থীর জন্য এলাকায় আসেন।রাতে চলে যাওয়ার সময় তার গাড়িতে একজন সুন্দরী মেয়ে ওঠেন (নাম জানা যায়নি) তাকে নিয়ে তিনি অন্য কোথাও সময় কাটান বলেন জানা যায়।বিগত আওয়ামী লীগ শাসন আমলে রাজিউদ্দিন রাজু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন সে সময় ২০০০ সালে তিনি রায়পুরার মরজাল ইউনিয়নের বাসিন্দা ফুটবলার সন্তোষ সাহার সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে এক ঘরে একত্রে ছিলেন।স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ওই বাড়ি ঘেরাও করে।পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতায় বিষয়টি বেশি দূর গড়ায়নি।তিনি নিয়মিত মদ্যপান করেন বলে জানা যায়।প্রকাশ্য মদ্যপান করার ঘটনা তার জীবনে অনেক।মন্ত্রী জীবনে কখনও নামাজ পড়েছে কিনা তা স্থানীয়রা বলতে পারে না।লোকমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে নরসিংদীতে প্রতিবাদের উত্তাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সরকারের উচ্চমহল থেকেও রাজুর বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হয়।এতে রাষ্ট্রীয় উচ্চক্ষমতার একটি গোয়েন্দা সংস্থা ব্যাপক অনুসন্ধান শেষে মন্ত্রী রাজুর বিরুদ্ধে মদ, নারীসহ বহুবিধ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি জরুরি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে।উপরের তথ্যগুলো তারই অতি সংক্ষেপে বা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন রাজুর সহি চারিত্রীক সনদপত্র।

আর রাজনীতি ?চার হাজার বছরের সভ্যতার নরসংদী নগরীর রাজনীতিতে দুষ্টু যা এই রাজুর এলাকা থেকেই।গত চল্লিশ বছরে নরসিংদীতে ৫০০০ খুন হয়েছে যার একটিরও বিচার হয়নি, এটি হতে পারে নরসিংদীর শ্বাশত কালের আইন শৃংখলা এক কথায়।ঐতিয্যবাহী ভাবেই নরসিংদীতে ভালো ও জনপ্রীয় নেতাদের মেরে ফেলা হয়।এটা নরসিংদী তথা দেশেরই বড় দুর্ভাগ্য।এই জেলায় একদিকে যেমন অনেক ভালো নেতার জন্ম হয়েছে তেমনি প্রতিটি জনমানুষের নেতাকে এখানকার নোংরা রাজনীতি হত্যা করেছে।নরসিংদী জেলা শহরের কথা বললে বলতে হবে, ৬০% হিন্দু ভোটারের শহর নরসিংদী খুবই স্বাভাবিক ভাবেই সবসময় আওয়ামী লীগের শক্তিশালি ঘাটি।গত বিশ বছরে নরসিংদী পৌরকর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের বাইরে কেউ মেয়র বা চেয়ারম্যান ছিল কিনা জানি না।দলটিতে এই দূর্গের আধিপত্য নিয়ে সবসময়ই বেশ কয়েকটি বিবদমান গ্রুপ বিদ্যমান ছিল।নরসিংদী শহরের মাঝখান দিয়ে চলে যাওয়া রেল লাইনটি শুধু শহরকেই দুই ভাগ করেনি রাজনীতি কেউ উত্তর দক্ষিন দুই অঞ্চলে বিভক্ত করেছে।রেল লাইনের এই পার আর ঐ পার দুই পারেই আরও কয়েকটি উপগ্রুপ সহ আওয়ামী রাজনীতির তান্ডবে নরসিংদীর সাধারন মানুষ আজীবন অতিষ্ট।গত ৪০ বছরে ৫০টির বেশি রাজনৈতিক বড় হত্যাকান্ডের উপর আলোকপাত করলেই পরিষ্কার দেখা যাবে এই ব্যক্তিত্ব সত্য সুন্দর ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য সুইটএ্যাবল।লোকমান হত্যাকান্ড- নরসিংদী পৌর সভার সাবেক ও বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ লোকমান হোসেন ১ নভেম্বর ২০১১, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৫টি গুলি লেগেছে।মুখোশধারী ৭/৮ জনের দুর্বৃত্তদল তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

কমেন্টঃ নিশি কথক বলেছেন: নরসিংদীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মেয়র ছিল লোকমান। নরসিংদীর মানুষ হিসেবে বলবো আমরা আর কখন ও হয়তবা তার মতো এরকম একজন মেয়র আর পাবোনা। সহজ পৃথিবী বলেছেন: যতদূর দেখেছি তিনি একজন খুব ভালো মানুষ ছিলেন।তিনি তারুন্যের প্রতীক ও একজন দেশে প্রমিক নেতা ছিলেন।আল্লাহ তঁকে বেহেস্ত নসিব করুন।এই হত্যার পেছনের প্রতিটি কারন ও ব্যাক্তি চিহ্নিত ও জনগণের সামনে তুলে আনতে হবে। মানবিক ৩০ বলেছেন: আমি তাকে চিনি...........সে স্পষ্ট বাদী ছিল .........খুবই ই স্পষ্ট বাদী নেতা।

ঘটনার পর নরসিংদী শহরের পরিস্থিতি- লোকমান হত্যার খবর মুহুর্তে শহরে ছড়িয়ে পরে।শহরের প্রতিটি মহল্লায় খবর পৌছানোর সাথে সাথে শত শত হাজার হাজার সাধারন জনতা দলীয় নেতা কর্মী শ্রমিক জনতা রাস্তায় বের হয়ে আসে।সাধারন লোকজন বিলাপ করে চিৎকার করে চারপাশে ভাংচুর করে মহাসড়কে অবোরোধ করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে।শহরের লোকজন আতংকিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দিকবেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।শহরের গলি মহল্লা থেকে ঝাকে ঝাকে তরুন যুবক ও জনগণ অস্ত্রসস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে সারা শহর জুরে ছুটাছুটি করতে থাকে।মোটর সাইকেলে অস্ত্র নিয়ে আতংক তৈরী করে।দু একটি দোকান পাটে লুটতরাজ ও ভাংচুর হয়।সদর উপজেলার সামনে একটি এটিএম মেশিন ভাংতে ব্যার্থ হয়ে একটি দল চলে যায়।হাজার হাজার জনগণ নরসিংদীর উপর দিয়ে যাওয়া ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে অসখ্য গাড়ী ভাংচুর করতে থাকে।ঢাকার দিকে পাঁচদোনা ও ভৈরবের দিকে ইটখলা নামক স্থান পর্যন্ত মহাসড়কের প্রায় বিশ কিলোমিটার বন্ধ করে দেয়া হয়।মাঝখানের এই রাস্তায় গাড়ি ফেলে টায়ারে আগুন জ্বেলে জনগণ বিক্ষোভ করতে থাকে।হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে শহরে অসংখ্য বিক্ষোভ মিছিল হতে থাকে। ঐ দিকে নরসিংদী শহরের উপর দিয়ে যাওয়া রেল লাইনে গাড়ি গাছ ইত্যাদী ফেলে রেলযোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনগণ নরসিংদী সার্কিট হাউজে ভাঙচুর চালায়। দোতলার ভিআইপি রুম দুইটি তছনছ করে আগুন জ্বেলে দেয়।সার্কিট হউজের নীচ তলা ও লনে রাখা একটি সড়কারী গাড়ি ভাঙচুর করে।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজী উদ্দিন রাজুর ঘনিষ্ঠ সাত্তার হাজির শহরে অবস্থিত একটি তিনতলা বাড়ি বিক্ষুব্ধ জনগণ ভাংচুর করে আগুন জ্বালীয়ে দেয়।নিরিহ লোকজন সারারাত ঘরে বসে থেকে থেকে গুলির শব্দ পেয়েছে।কেউ কেউ রাতটিকে পঁচিশে মার্চের রাতের সাথে তুলনা করছে।পরিস্থিতি এমন ছিল যে খোদ ডিসি এসপি পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগারে কঠোর নিরাপত্তায় রাত কাটায়।রাস্তায় থাকা পুলিশ রেব দূরে মোড়ের কোথাও লুকিয়ে অসহায়ের মত এই দৃশ্য দেখা ছারা অন্য কোন উপায় ছিল না।পরদিন ভোর সকাল থেকেই মহাসড়কে তান্ডবের মাত্রা আবার বাড়তে শুরু করে।নরসিংদী শহরে বসবাসকারী আশেপাশের জেলা উপজেলার অফিসগামীদের দশ কিলোমিটার হেঁটে রিক্সায় চড়ে কর্মস্থলে যাওয়ার বাসে টেম্পুতে উঠতে হয়েছে।এইদিন প্রতিবাদে আহূত ছাত্রলীগের হরতাল চলাকালে শহরের মাঝে অবস্থিত রেল স্টেশনে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনে দশটার দিকে বিক্ষুব্ধ জনগণ অগ্নী সংযোগ করে।তখন স্বংয় পুলিশ সুপার পাশে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে দাড়িয়ে ছিল ভয়ে সামান্য বাঁধা দেয়ারও সাহস পায়নি।আগুনে ট্রেনের ১৩টি বগির মধ্যে ১১টি ভস্মীভূত হয়েছে।অতপর সেদিন বাদ আছর লাখো মানুষের বুক ফাটা কান্না আর আহাজারিতে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননন্দিত নেতা লোকমান হোসেন।সন্ধ্যায় তাঁর লাশ শহরের শালিধার পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

হত্যাকান্ডের কয়দিন পর একটি নিউজ ছিল এরকম, লোকমান হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখন চলছে অন্য খেলা। অভিযোগ উঠেছে হত্যাকাণ্ড থেকে ১ নং আসামি সালাউদ্দীন বাচ্চুকে বাঁচাতে কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে।তাছাড়া যে কোন একজন আসামিকে রাজসাক্ষী করে বাচ্চুকে বাঁচানোর দেনদরবার চলছে।পরিকল্পনা করা হয়েছে যে, কোন আসামি খুনের সব দায়-দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেবে।পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে তাকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবেন মন্ত্রী রাজু।বাচ্চু পলাতক থাকায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন বাচ্চুর স্ত্রী নাসরিন আহমেদ হেনা।নিহত মেয়র লোকমানের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন নাসরিন আহমেদ হেনা এরই মধ্যে বোরকা পরে এসে একাধিকবার নরসিংদী পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও চিত্র সিডি আকারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে।তদন্ত সূত্র জানিয়েছে, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও চিত্রে মন্ত্রী রাজু ও তার ভাই বাচ্চুর হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।লোকমানের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, নরসিংদী জেলা প্রশাসনের একাধিক পদস্থ কর্মকর্তা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেপথ্যে থেকে কাজ করছে।এর মধ্যেই প্রায় প্রকাশ্যেই মন্ত্রীর পক্ষে মঠে কাজ করছেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম।তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে মন্ত্রী রাজুর বিরুদ্ধে লিখতে নিষেধ করেছেন।নিষেধ অমান্য করা হলে দেখে নেয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।ওদিকে নরসিংদী পুলিশ সুপার মহিদ উদ্দীনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রিমান্ডের আসামিদের তিনি একাই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। দরজা বন্ধ করে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা আসামিদের সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানে কাউকে উপস্থিত থাকতে দেয়া হচ্ছে না। খোদ তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর মামুনুর রশিদকেও জিজ্ঞাসাবাদের সময় থাকতে দেয়া হচ্ছে না। যোগাযোগ করা হলে মামুনুর রশিদ বলেন, স্যার কৌশলগত কারণে কাউকে থাকতে দিচ্ছে না। এটি তদন্তের স্বার্থেই করা হচ্ছে।তবে জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নরসিংদী জেলা প্রশাসনে এখন অবিশ্বাস দেখা দিয়েছে। কে কোন তথ্য মন্ত্রীকে জানিয়ে দেন এ ভয় পেয়ে বসেছে তাদের।যোগাযোগ করা হলে নিহত পৌর মেয়র লোকমানের ছোটভাই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ বলেন, আমার ভাইকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। এ ক্ষেত্রে কয়েক মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা এঁকেছিল ঘাতকরা।গত ১লা নভেম্বর নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা।হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর নানা নাটকীয়তা শেষে মামলা নেয় পুলিশ।মামলার প্রধান আসামি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দীন রাজুর ছোটভাই সালাউদ্দীন বাচ্চু। এছাড়া মামলা এজাহারভুক্ত ১৪ আসামির বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতা।


আজও সেই লোকমান হত্যাকান্ড নিয়ে কি চলছে আরেক বিশাল কাহিনী, এখনও মামলার চার্জশিটই হয়নি।ভয়ংকর থ্রী স্টুজেস সেই নাটকের নাট্যকার, বিনিময়ে পাঁকা ধানে দাওমারি -চেনেন তো ?


এই হলো আমাদের সত্য সুন্দর স্বচ্ছ স্বাধীন মুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান কারিগরের ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রজন্যতিক বায়োডাটার খুব সংক্ষিপ্ত একটি নোট।

নরসিংদীবাসী যেমন লোকমান হত্যার জন্য রাজি উদ্দিন রাজুকে কোন দিন ক্ষমা করবে না তেমনি দেশবাসি তাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন ভংঙ্গের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে কোনদিন ক্ষমা করবে না। মূললেখাঃ সহজ পৃথিবী'র বাংলাব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অদ্ভুতত্ব.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

অদ্ভুতত্ব.....

আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮




অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।

উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দশটা ইচ্ছে

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১



প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারদের রাজনৈতিক জ্ঞান, আমেরিকানরা নারীকে প্রেসিডেন্ট করে না!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬



আমেরিকায় সঠিকভাবে ভোট হওয়ার কারণে আজ অবধি নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়নি; হিলারীকে আমেরিকানরা "সৎ মানুষ" হিসেবে ভাবতো না, সেজন্য তিনি ভোট পাননি; কমলা ভোট পাননি, কারণ তিনি আমেরিকার মুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৮



ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে।যারা এখনো শুনেন নাই তাদের জন্য লিংক দিয়ে দিচ্ছি শুনেন ,কসম খোদার বেপক বিনোদন পাবেন।আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় অফিসে টোকাইরা হাগু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×