স্বপ্নে হাঁটি তাঁর পথে একা! নিরন্তর জ্যোৎস্নাময়ী আলো গুলো মুছে দেয় ক্লান্তি! হঠাৎ দেখা সেই পথে! অব্যক্ত কথা গুলো মনের মাঝে ঝড় তোলে! বলা হবে কি আর কোনদিন ... ... ...
... ... ...শোন, তোমার কালপুরুষের অর্ককে মনে পড়ে? অথবা জ্যোৎস্নায় কাকভেজা কোন হিমুকে? লম্বা বিনুনি দুলিয়ে হেঁটে যাওয়া মেয়েটির অপেক্ষা করে যে? অথবা ময়ূরাক্ষীরপাড়ে রুপাময় ভালবাসাগুলো পুঁতে দিয়ে নিরাসক্ত হবার চেষ্টায় মগ্ন থাকে যে? হুম! আমি তাঁদেরই কথা বলছি! আমার স্বপ্ন থেকে উঠে আসা স্বপ্নপুরুষগুলো! যাদের নির্মোহ স্পর্শে আমি বেড়ে উঠেছি, প্রতিবার ওলটানো বইয়ের পাতায় পাতায় ছিল তাঁদের স্পর্শ! আমার স্বত্বা গুলো জেগে উঠেছে, যতবার সাদা ঝকঝকে পৃষ্ঠায় আঁকা কালো কালি গুলোতে তাঁদের নাম ছুঁয়েছি! যাঁদের ইচ্ছে হলেই ভালবাসা যায়, ইচ্ছে হলেই ভুলে থাকা যায়, চোখের জলে ভাসিয়ে নেয়া যায়! অথবা সেলফ থেকে ছুড়ে ফেলা যায়, ক্রোধে ছিঁড়ে টুকরো করা যায়!
তুমি সেই তাঁদেরই দলে! আমার স্বপ্নপুরুষের মতন, দুঃস্বপ্নপুরুষও হতে পারো! চাইলেই তোমাকে আমি তোলপাড় করতে পারি, নির্দ্বিধায় হতে পারি তোলপাড় তোমাতে! ভেঙ্গে চুরমার করে আবার নিমেষেই গড়ে ফেলি! তুমি সেই!
অধিকার নেই, অনধিকারও নেই! ইচ্ছে নেই, অইচ্ছেও নেই! তুমি থেকেও না থাকার মতন! আবার না থেকেও থেকেই যাও! তোমায় ছাড়া শূন্যতা নেই, তবু তুমি না থাকাও অদ্ভুত শূন্য সব!... ... ...
কি দেখছ? চোখ? নাকি চোখের নির্লিপ্ততা? এতেও মুগ্ধতা থাকতে পারে! কি করে মুগ্ধ হও এত?
‘ভালবাসি তাই!’
বেসোনা, কষ্টই হবে শুধু!... কেন? জানতে না, স্বপ্নপুরুষদের বাস্তবে থাকতে নেই?...
... ... ...
এই,শোন, তুমি আমি মিলে কিন্তু আমরা নই! শুধু আমিই বা শুধুই তুমি!
'!' এটা ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করার সুযোগ পেলাম না! আমি সত্যিই লিখছি এটা আমার জন্য একটা '!' চিহ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়! প্রতিটা লাইনও ঠিক সেরকমই! এবং এজন্য দুঃখিত হব কিনা তাও বোধগম্য নয়!