আমার মনটা আজ কয়দিন খুবই বিমর্ষ। আমার যে গ্রামে বাড়ি সেখানে বি,এন,পি ছাড়া কিছু বলা যায় না। গ্রামের ২৭০০ ভোটারের মধ্যে সবাই প্রায় বি,এন,পির সাপোর্টার। এর কারন আমাদের ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবুল হাসান জহির। যার বাড়ি আমারই গ্রামে। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি আওয়ামী লীগের সাপোর্টার হলেও তার ভক্ত। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি তাকে ভোট দেই। সেই গ্রামের বাসিন্দা হয়েও আমি আওয়ামী লীগের নির্বাচন করেছি অনেক হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে। নির্বাচনের আগে অনেকে আমাকে ২৯ তারিখ রাতে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। গত ২০০২ সালের নির্বাচনের পর আমার বাড়ির মুরগীর খামার লুট হয়েছিল। আমি ৩ মাস লালমনিরহাট যেয়েছিলাম। কিন্তু কারো প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার মত মানসিকতা আমার কখনও হয়নি। কেননা দলের চেয়ে আমি পারষ্পরিক সৌহার্দের প্রতি গুরুত্ব বেশি দেই। আমার বসবাস শার্শা (যশোর-১) আসনে। আমাদের এবারের নির্বাচিত এম,পি জনাব আফিল উদ্দিন। নির্বাচনের রাতেই তিনি বলে দিয়েছেন, "শার্শার প্রত্যকটি ভোটার আমার নিজের, কাজেই এখানে কোন অন্যায়-অবিচার চলবেনা। কেউ কারো কাছে টাকা পাবে, অথবা অত্যাচারিত হয়েছে এই ইস্যু নিয়ে কোন রকম গোলযোগ করা যাবে না। কেউ যদি কারো কাছে টাকা পাই, উপযুক্ত প্রমান দেখাতে পারলে আমি মধ্যস্ততা করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করব, আর যদি সেটা সম্ভব না হয়, আমি নিজে টাকা দিয়ে দেব।" কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি যেন আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে। মাত্র ৫ মিনিট আগে খবর পেলাম, আওয়ামী লীগের সাপোর্টার একজন আমার ঘনিষ্ট একজন বি,এন,পি কর্মী কে মারধর করেছে। যদিও ঐ বি,এন,পি কর্মী দ্বারা পুর্বে সে অত্যাচারিত হয়েছে। কিন্তু ক্ষমা করার মধ্যে যতটুকু গৌরব, প্রতিশোধ নেওয়ার মধ্যে তার ছিটেফোটা ও নেই। এগুলো কবে বুঝবো আমরা। প্রতিনিয়তই খবর পাচ্ছি সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। এগুলো শোনার জন্যই কি এত কষ্ট করে রাত জেগে ভোট চেয়ে বেড়িয়েছি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৫০