এটা খুব বেদনাদায়ক বিষয় যে,যুদ্ধাহত বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা করুনা বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই মাস ধরে ভর্তি থেকেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না।দেশের একজন সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন মর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করুনা বেগম মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাষ্টের চিঠি দেখানর পরেও কেন তাকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ কেন তাকে যথাযথ সুচিকিতসা দিচ্ছেন না-তা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাস্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত হওয়ার পর এবং সরকারি হাষপাতালে মুক্তযোদ্ধাদের সু-চিকিৎসা পাওয়ার কোটা থাকার পরও কেন তিনি সঠিক চিকিৎসা থেকে বন্চিত হবেন?যাদের জন্য দেশ স্বাধীনতার সুফল বহন করে চলেছে,সেই স্বাধীনতার একজন অতন্ত্র প্রহরি যদি সুচিকিৎসা থেকে বন্চিত হয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যর দিকে এগিয়ে যায়-তাহলে এ লজ্জা আমরা কোথায় রাখব?
সম্প্রতি একটি পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,গত দুই মাস ধরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার পরও এখনও পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা করুনা বেগমের রোগই সনাক্ত করতে পারে নি আমাদের যোগ্র্রোতা সম্পন্ন চিকিৎসকরা।নিদারুন যন্ত্রনায় তার দিন কাটে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে।অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কেবিনেও করুনাকে রাখা হয়নি।তাই বাধ্য হয়ে ভাড়া দিয়ে অন্য কেবিনে রেখে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে এবং তা পরিবারের নিজস্ব টাকা পয়ষা দিয়েই করাতে হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে সারাদেশে ছড়ান-ছিটান অসংখ্যা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি মাত্র সংরক্ষিত ছিট আছে।হাইরে সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য আসে সেখানে একটি মাত্র ছিট করুনা বেগমের মতো দেশের পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।
কর্তৃপক্ষের নিকট আমার জিগ্গাসা মাত্র একটা ছিটই জুটল?
আজ এই বরাদ্দ কৃত কেবিনে করুনা বেগমের জায়গা হয়নি বলে কর্তৃপক্ষ তাকে জানেয়ে দিয়েছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসা পাওয়ার যে সুযোগ টা পাওয়া যায় তাও তিনি পাবেন না কেননা তিনি ঐ বরাদ্দ কৃত কেবিনের রুগি না।ঢাকা মেডিকেল কলেজে বরাদ্দকৃত কেবিনের অভাবে করুনা বেগম চিকিৎসা পাচ্ছেন না।গত দুইমাস ধরে তাকে নাকে পাইপ ধরে খাওয়া হচ্ছে।২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকার যে প্রগ্গাপন জারি করে তাতে করুনা বেগমের নাম দুই নাম্বারে ।তারই যদি এই অবস্থা হয়,তাহলে বাকিদের অবস্থা কি?
মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান।তাদের আত্বত্যাগের কারনেই আজ আমরা স্বাধীন ভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি।আজ তারাই দেশে সবচেয়ে অবহেলিত।তাই আমার দাবি কোন সংরক্ষিত আসনের দোহায় দিয়ে নয়,করুনা বেগম সহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সু-চিকিৎসা করতে হবে।
আলোচিত ব্লগ
কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন