সম্প্রতি একটি পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,গত দুই মাস ধরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার পরও এখনও পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা করুনা বেগমের রোগই সনাক্ত করতে পারে নি আমাদের যোগ্র্রোতা সম্পন্ন চিকিৎসকরা।নিদারুন যন্ত্রনায় তার দিন কাটে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে।অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কেবিনেও করুনাকে রাখা হয়নি।তাই বাধ্য হয়ে ভাড়া দিয়ে অন্য কেবিনে রেখে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে এবং তা পরিবারের নিজস্ব টাকা পয়ষা দিয়েই করাতে হচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে সারাদেশে ছড়ান-ছিটান অসংখ্যা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি মাত্র সংরক্ষিত ছিট আছে।হাইরে সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য আসে সেখানে একটি মাত্র ছিট করুনা বেগমের মতো দেশের পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।

আজ এই বরাদ্দ কৃত কেবিনে করুনা বেগমের জায়গা হয়নি বলে কর্তৃপক্ষ তাকে জানেয়ে দিয়েছে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসা পাওয়ার যে সুযোগ টা পাওয়া যায় তাও তিনি পাবেন না কেননা তিনি ঐ বরাদ্দ কৃত কেবিনের রুগি না।ঢাকা মেডিকেল কলেজে বরাদ্দকৃত কেবিনের অভাবে করুনা বেগম চিকিৎসা পাচ্ছেন না।গত দুইমাস ধরে তাকে নাকে পাইপ ধরে খাওয়া হচ্ছে।২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকার যে প্রগ্গাপন জারি করে তাতে করুনা বেগমের নাম দুই নাম্বারে ।তারই যদি এই অবস্থা হয়,তাহলে বাকিদের অবস্থা কি?
