নৌমন্ত্রীকে জুতা মারার ঘটনা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে বিশ্লেষন করার চেষ্টা করা যাক –
১। যারা জুতা মেরেছে তাদের পরিচয়
২। যে বক্তব্যটির জন্য জুতা মারা হয়েছে
৩। এর ফলাফল কি হতে পারে
১। যারা জুতা মেরেছে তাদের পরিচয়ঃ
বেসরকারি সংগঠন আন্তর্জাতিক কোরআন রিসাইটেশন অ্যাসোসিয়েশনের (ইকরা) উদ্যোগে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন বা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ছাড়া মিসর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, ব্রুনাইসহ ৭টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সেখানে উপস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজল। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে এখানে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা নিতান্তই বর্তমান সমাজের দৃষ্টিতে কাঠ মোল্লা। এরা বেশিরভাগ সময় নামাজ, রোযা, হাজ্জ, যাকাত ইত্যাদি বিষয় নিয়েই বেশি ব্যস্ত। সমাজে তারা ধর্মপ্রান মুসল্লি হিসেবেই বেশি পরিচিত।
২। যে বক্তব্যটির জন্য জুতা মারা হয়েছেঃ
"রাসুল (সা.) রাজনীতি করেননি" নৌমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কারনেই তার প্রতি জুতা নিক্ষেপ করেছে উপরে উল্লেখিত অরাজনৈতিক ধর্মপ্রান মুসল্লিরা। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, ইসলাম আর রাজনীতি আলাদা করার বামদের সুকৌশল থেকে মুক্ত হতে চাচ্ছে ধর্মপ্রান মুসল্লিদের নতুন প্রজন্ম। তারমানে নতুন প্রজন্ম বুঝতে শিখেছে রাসুল (সঃ) শুধু ধর্মীয় নেতাই ছিলেন না, তিনি রাজনৈতিক নেতাও ছিলেন।
৩। এর ফলাফল কি হতে পারেঃ
২৮/১২/১২তারিখের ঘটনাটিকে এই মাইল ফলক বলা যেতে পারে। সাধারন মুসল্লিদের নতুন প্রজন্ম যে রাসুল (সঃ) কে রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও ভাবতে শিখেছে সেটা এতদিন সুপ্ত থাকলেও এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সেটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর নেত্রিবৃন্দরাও আগে জানত না যে ভিতরে ভিতরে একটা নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে আর বামদেরকেও তাদের পূর্ববর্তী কৌশল ‘ধর্ম ও রাজনীতি আলাদা’ সেই ধ্যানধারনার সফলতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। এই ঘটনা যে ইসলামপন্থিদের জন্য এক অপার সম্ভাবনার দাঁড় খুলে দিল তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৫