শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিষোদ্গার করে বলেছেন, বাংলাদেশের বন উজাড় করা মন্ত্রী সাজেদা চৌধুরী এবং তার সন্ত্রাসী ছেলে রাজনীতির নামে ফরিদপুরকে সন্ত্রাসের গারদ বানানোর চেষ্টা করছেন। তাদের উদ্দেশ্যে শান্ত ফরিদপুরকে অশান্ত করা। ওই নেত্রী ফরিদপুরে যা করছেন তাতে তার প্রতি কোনো শ্রদ্ধা রাখা যায় না। তাদের অপকর্মের জন্য ফরিদপুরে কোনো অঘটন ঘটলে তার দায় তাদেরই নিতে হবে। শুক্রবার ফরিদপুরের শ্রী অঙ্গনে মহানাম সম্প্রদায় আয়োজিত প্রভু জগবন্ধু সুন্দরের ১৪০তম জন্মদিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সাজেদা চৌধুরীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি আপনার মাস্তান ছেলেকে নিয়ে নিজ এলাকায় যা ইচ্ছা তাই করুন, কিন্তু আমার নির্বাচনী এলাকায় আসবেন না। এলে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। আমি আপনার এলাকায় নাক গলাতে যাই না। আপনি কে যে, আমার নির্বাচনী এলাকায় এসে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেন।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, সাজেদা চৌধুরীর ছেলেরা কি পরিমাণ ভালো তা দেশের মানুষ জানে। তার ছেলের চুরি মামলা মাপ করতে গিয়ে আমাদের একজন ভালো মানুষ রাষ্ট্রপতিকে ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কিছু লোকের অশুভ হস্তক্ষেপের কারণে ফরিদপুর আজ অশান্ত হয়ে উঠেছে। কিছু দিন আগে সাজেদা চৌধুরী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অভ্যন্তরে সেমিনারের নামে ছয়টি মাইক লাগিয়ে যে জনসভা করলেন তা কতটুকু শোভনীয়।
মহানাম সম্প্রদায়ের কান্তিবন্ধু ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন এ এইচ এম ফুয়াদ, মোকারেম মিয়া বাবু, অ্যাডভোকেট শঙ্কর কুমার, অ্যাডভোকেট সুভল চন্দ্র সাহা, ফরিদপুরের মেয়র মাহাতাব আলী মেথু, প্রফেসর ধীরেন্দ্র নাথ সাহা, বন্ধুপ্রতিম ব্রহ্মচারী।
উল্লেখ্য, একই উৎসবে ২৬ মের আলোচনা সভার প্রধান অতিথি উপনেতা সাজেদা চৌধুরী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শেখ হাসিনা রাজাকারের ছেলে নন, নাতির সঙ্গে তার মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। তিনি কোনো ভুল করেননি।