- মাত্র ৩৩.৯% বাংলাদেশী ধর্ষক অনুতপ্তবোধ করেন, যা ইন্দোনেশিয়ায় ৭৫.৫%
- মাত্র ৭.৭% বাংলাদেশী ধর্ষক পরিবার বা সমাজে শাস্তি পায়, যা পাপুয়া নিউগিনিতে ৬৪.৪%
- মাত্র ৮.৪% বাংলাদেশী ধর্ষক গ্রেফতার হয়, যা পাপুয়া নিউগিনিতে ৬১.১%
- মাত্র ৫.৫% বাংলাদেশী ধর্ষক জেল খাটে, যা পাপুয়া নিউগিনিতে ৫২.২%
অপরাধবোধ ও শাস্তির (রাষ্ট্রের ও সমাজের) প্রতিটি ক্ষেত্রেই এশিয়ার অন্য দেশগুলির চেয়ে আমাদের অবস্থা করুন। আসুন এখন 'ধর্ষকের কোন ধর্ম নাই' জিকির তুলি। যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের অনুশাসনে পরিবার আর সমাজ চলে তার কোন দায় নাই। যে ইসলামী মূল্যবোধের টানে আমরা লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ করে ঢাকা ঘেরাও দেই তারও কোন দায় নাই। সমস্ত দায় রাষ্ট্রযন্ত্রের, যেন সেটা খেলাফতের দীক্ষায় বলিয়ান হয়ে সুদূর আরব থেকে ন্যায়বিচার বটিকা নিয়ে আমাদের সমাজ-পরিবার সবকিছু বদলিয়ে দেয় এমন কামনা নিয়েই আমরা ক্ষণে ক্ষণে তার ধর্ম পরীক্ষা লই। যেন রাষ্ট্রের দন্ডমুন্ডির কর্তারা সমাজের অংশ নন, তারা টাইম ট্রাভেল করে আসা কিছু এলিয়েন। তাদের কাছে আমাদের সমস্ত প্রত্যাশা গচ্ছিত রাখা উচিৎ এবং বিনা অপরাধবোধে ধর্ষন করা। সমাজের এক্ষেত্রে নিরবতাই কাম্য।
অহ, বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। উপরের সমস্ত পরিসংখ্যান কেবল স্ত্রী নন এমন মহিলাদের ধর্ষনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। স্ত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধ ধর্ষনের ব্যাপারটি সমাজের আলোচনার সিলেবাসের বাইরে। এক্ষেত্রে 'স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত' টাইপ জালি হাদিস ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এটাকে স্বামীর দেনমোহরে কেনা হক হিসেবে চালান দেয়ার আগে ইসলামিক নিয়মকানুন জেনে নিবেন। ইসলামে নারী অধিকারের প্রতিষ্ঠা শুধু বয়ানে বক্তৃতায় না করে ঘর থেকেই শুরু হোক কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ।
-বাঙ্গাল, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩
পূর্ণ ইংরেজি আর্টিকেল লিঙ্কঃ Click This Link
লেখাটি ফেইসবুকে বাঙ্গাল পেইজে প্রকাশিত