ওয়েব জার্নাল বা ব্লগগুলো মূলত আমরা নিজেদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার পাশাপাশি নতুন নতুন বন্ধু তৈরি করতে ব্যবহার করতাম। তবে ত্রিভুজ ডট কমে আমার ব্লগিং এর মূল উদ্দেশ্য যতটা না ছিল বন্ধু তৈরি তারচাইতে বেশি সাইটকে জনপ্রিয় করা। ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত টানা প্রায় দুই বছর অনেক সময় দেওয়ার ফল পেয়েছি যখন সাইটটি আলেক্সায় ৩০ হাজারের ভেতরে চলে এলো। ঐ সময় গুগল এডসেন্স এর জয়জয়কার, কি মনে করে এডসেন্স যুক্ত করে দিয়েছিলাম সাইটে, ফলাফল কয়েক হাজার ডলারের আগমন প্রতিমাসে। তখন পর্যন্ত আমার ব্যক্তিগত সাইটের সংখ্যা ডজন ছাড়িয়ে গিয়েছে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে পাওয়া সময়টুকু ওগুলোর পেছনেই ব্যয় হতো। তখন পর্যন্ত অনলাইনে বাংলার তেমন প্রচলন হয়নি। আমার একটা আইআরসি নেটওয়ার্ক ছিল, ২০০৫ এর দিকে ওখানে বাংলায় চ্যাট করার জন্য একটা স্ক্রিপ্ট লিখে রুম খুলে দিয়েছিলাম। লোকজন প্রথম প্রথম অনলাইনে বাংলা দেখে খুব আনন্দ পেলেও পরে আর তাদেরকে পাওয়া গেল না, খুব সম্ভবত বাংলা টাইপ কঠিন হওয়ার কারণে সবাই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিল। হতাশায় বাংলা নিয়ে কাজ করা মোটামুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এর কিছুদিন পর শুরু হলো সামহোয়্যারইন, ২০০৬ এর ফেব্রুয়ারিতে প্রচন্ড আনন্দ নিয়ে লিখলাম জীবনের প্রথম বাংলা ব্লগ। কিন্তু এই বাংলা ব্লগ শেষ পর্যন্ত কতটুকু জনপ্রিয় হবে তা নিয়ে তখনো সন্দেহ ছিল। কিন্তু সকল সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে দিনে দিনে জনপ্রিয় হতে লাগলো ব্লগটা। সামহোয়্যারইনের জনপ্রিয়তা দেখে দাঁড়িয়ে গেল আরো কয়েকটা ব্লগ, সামনে হয়তো আরো আসবে। ওয়েবে বাংলা ভাষা এতটা জনপ্রিয় করতে ও এত ব্যপক ভাবে দিতে ব্লগের ভূমিকা কেউ কোনদিন অস্বীকার করতে পারবে না। এখন সময়ের অভাবে আগের মত ব্লগিং করা হয় না ঠিকই কিন্তু ব্লগিং কে মিস করি ঠিক আগের মতই। তাই সময় পেলেই ব্লগগুলোতে ঢু মেরে যাই। ভাল লাগে যখন গুগলে সার্চ দিয়ে লাখ লাখ বাংলা লিঙ্ক পাই এবং সেগুলোর অধিকাংশই বাংলা ব্লগ সাইটগুলো থেকে আসে।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা, সকল বাংলা ব্লগ পরিচালক ও ব্লগারদের জন্য।
ফেসবুক সহ একাধিক ব্লগে একযোগে প্রকাশিত।
--
ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা- এখানে।