তিমির নিশিতে নিঝুম নিরালায় দাড়িয়ে
আনমনে, খোলা চিত্তে, মৃদু নয়নে দৃষ্টি দাও
ঐ দুর অনন্তে যেন তোমারি প্রতিচ্ছবি
সেই মনোহর প্রজ্জ্বলিত সুধাকরে,
মিটিমিটি করে জ্বলছে আমারি অনুপম প্রতিমা।
অথবা ঘরে এসে প্রদীপ জালো
বসো ঐ বাতায়ন পাশে, বেতের চেয়ারে
ভালো করে দেখ আয়নায় নিজেকে
অনুভবের উৎসুক দৃষ্টি দাও কাজল কালো আখিপাতে,
যেন আমারি চোখ দুটো তোমাকে দেখছে অপলকে।
তবুও ভাবো আমায়, ক্ষনিকের জন্য হলেও ঠাই দাও
তোমার ভালোবাসার নিজস্ব ধরার বিশালতায়,
আমি পুরণ করবো যা ভালোবাসার অসীম দীপ্ততায়।
ব্যস্ত কোলাহল ছেড়ে, খানিকটা নির্জনে
একা হাটো মানবহীন গহীন অরণ্যে
মিতালী কর পাখিদের সাথে, কথা বল বৃক্ষমাঝে
নিরবে, নিভৃতে, শ্রবন কর তাদের কিচিরমিচির শব্দ
হাল ছেড়না, তোমার বোধগম্য না হলেও দেখবে
অস্পষ্টভাবে ভেসে আসছে আমারি প্রীতির অমীয় কণ্ঠস্বর।
অথবা উঠে পড় সর্বোচ্চ অন্তশৃঙ্গে
যেখান থেকে নিচের সবকিছু তুচ্ছ।
ধীর বাতাশে চিকুর উড়িয়ে দাড়ালে নিঃশব্দতা।
কান পেতে শোন, সকল স্তব্ধতার মাঝে
বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে আমারি সুমধুর প্রেমাখ্যান।
তবুও ভাবো আমায়, অন্তত কিছুটা প্রহর কাটাও
আমাকে ভেবে, আমি তোমার সকল ভাবনায়,
শোভন করবো আমার ভালোবাসার শোভিত প্রভায়।