জুন ৬ , ১৯৬৭
আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলছে । তৎকালীন পাকিস্তান এয়ারফোর্স থেকে ডেপুটেশনে আসা গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম পশ্চিম ইরাকের এক বিমান ঘাটিতে অবস্থান করছে । অনেকটা ভোজবাজির মতোই আকাশে চারটা ইজ্রায়েলি বিমানের ( যাদের কে এস্কোর্ট করছিলো দুইটা ইস্রায়েলি মিরেজ ফাইটার ) উদয় হয় । আকস্মিক আক্রমণে ইরাকি এয়ারফোর্স বিপর্জস্ত ।ইসারায়েলি ক্যাপ্টেন ড্রোর একের পর এক ইরাকি বিমানের ভবলীলা সাংগ করে চলেছে । তার সাথে সঙ্গী হিসাবে আছে আরেক ইজ্রায়েলি ক্যাপ্টেন গোলান । এই অবস্থায় আকাশে উড়াল দেয় সাইফুল আজম ।উড়াল দেবার কিছুক্ষণের মাঝেই তার উইংম্যান কেও ফেলে দেয় ইজ্রায়েলি ক্যাপ্টেন ড্রোর । কিন্তু সাইফুল আজম অন্য ধাতুতে গড়া ।একে একে গোলান , ড্রোর সবার প্লেন ফেলে দেয় সে । মোটামুটি একা লড়াই করে ইজ্রায়েলি বিমান গুলোকে ইরাকের আকাশ ছাড়তে বাধ্য করে সে । ক্যাপ্টেন ড্রোর এবং গোলান কে পরে যুদ্ধবন্দী হিসাবে আটক রাখা হয় ।
এখন পর্যন্ত আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ সংখ্যক বিমান ঘায়েল করার রেকর্ড ক্যাপ্টেন সাইফুল আজমের । এছাড়া প্রথম বিশবযুদ্ধ থেকে শুরু করে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক শত্রুপক্ষের বিমান ঘায়েল করার রেকর্ড এর তালিকায় ও তিনি উপরের দিকে আছেন। আরব-ইস্রায়েল যুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ জর্দান-ইরাক-পাকিস্তান তাকে বীরত্ব সূচক পদকে ভূষিত করে । তিনটি দেশের সম্মান সূচক সামরিক পদক অর্জনের ঘটনা সামরিক ইতিহাসে বিরল । একই সাথে তিনটি দেশের হয়ে যুদ্ধ করা এবং একই ব্যাক্তির দ্বারা একের অধিক শ্ত্রু রাষ্ট্রের (ভারত এবং ইসরায়েল) বিমান ভূপাতিত করার বিরল রেকর্ডের অধিকারীও এই একই ব্যাক্তি
সাইফুল আজম কে পৃথিবীর "টুয়েন্টি-টু লিভিং ঈগল" এর একজন হিসেবে গণ্য করা হয় । স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন ।
এবং সর্বশেষ ১৯৯১-৯৬ সালে ভদ্র লোক একটি রাজনৈতিক দলের সাংসদ হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন ।দলটার নাম "বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট পার্টি" ! সংক্ষেপে দেশের লোকজন বিএনপি নামেও ডাকে!