ইউরোপীয় শ্রেণীর ৰুদে মাকড়সাই এ ক্ষেত্রে বেশি পরীক্ষিত। কিন্তু চমৎকার এই বহিরাবরনের মধ্যে প্রাণীটির ‘যৌনসঙ্গমে প্রাণ সংহারের’ ভয়ঙ্কর এক রীতি পুরম্নষ মাকড়সাদের যৌনসঙ্গম করার জন্য এক জোড়া অঙ্গ থাকে। ‘পেডিপাল্প’ নামে পরিচিত এই অঙ্গ তারা প্রতিবার মিলনের সময় ব্যবহার করে। অর্থাৎ তাদের সর্বোচ্চ ৰমতা হচ্ছে দুইবার। কিন্তু যৌনমিলন ১০ সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হলে স্ত্রী মাকড়সা অপেৰাকৃত ছোট পুরম্নষ মাকড়সাকে খেয়ে ফেলে। তাই পুরম্নষ মাসড়সাদের যৌনমিলনের ৰেত্রে গুরম্নত্বপূর্ণ সিদ্ধানত্ম নিতে হয়। সবচেয়ে যোগ্য কোন স্ত্রী মাকড়সাকে সে তার বীর্য দান করবে। কেমন হবে এই যৌনসঙ্গী? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জার্মানির হামবুর্গের জুওলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের ক্লাস ওয়েলকে ও জুটা স্কিনাইডার ডিম থেকে একেবারে পরিণত হওয়া পর্যনত্ম মাকড়সাদের লালন-পালন করেন। বড় না হওয়া পর্যনত্ম মাকড়সার বাচ্চাদের খেতে দেয়া হয় একটু সুস্বাদু ফ্রুটফ্লাই বা ফলের মাছি। তবে গবেষণায় কেবল কুমারী মাকড়সাকেই ব্যবহার করা হয়। পুরম্নষ মাকড়সাদের প্রেমাসনে রাখা হয় এক ভগি্ন মাকড়সা বা সম্পর্কহীন বোন মাকড়সার সঙ্গে। বোন সম্পকর্ীয় মেয়ে মাকড়সার সঙ্গে যেসব পুরম্নষ মাকড়সাদের রাখা হয়েছে তাদের যৌনমিলন হয়েছে অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্ত। অর্থাৎ সেই পুরম্নষ মাকড়সা প্রাণে রৰা পেয়েছে। কিন্তু বোন সম্পকর্ীয় নয় এমন মেয়ে মাকড়সার সঙ্গে যেসব পুরম্নষ মাকড়সাকে রাখা হয়েছে তাদের যৌন সঙ্গম হয়েছে দীর্ঘ সময়। পরিণতি যা হবার তাই হয়েছে। যৌনসঙ্গীর খাদ্যে পরিণত হয়। কিন্তু মাকড়সাদের বংশ বিসত্মারে তেমন ঝুঁকির সৃষ্টি হয় না, কেননা বোন সম্পকর্ীয় মেয়ে মাকড়সাদের সঙ্গে যৌনমিলনের ফলে বাচ্চার জন্ম হয়। ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটি প্রকাশিত বায়োলজি লেটাসে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
মানুষের মতো প্রাণীজগতের মধ্যেও রয়েছে আত্মীয়তার বন্ধন।
সূত্র: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০২