আম গাছের শাখে শাখে মুকুলে ভরে গেছে ।মাঝে মাঝেই বয়ে জাচ্ছে ঝাপটা হাওয়া ।তাতে অঝোরে ঝরছে রাশি রাশি পাতা ও মুকুল।হঠাতই চমকে দিচ্ছে কোকিল ।গান গাইছে গলা ছেড়ে ।শীত শেষে বসন্ত কড়া নাড়ছে দরজায় ।চারদিকে ফাগুনের উথাল-পাথাল ঢেউ ।সাথে বইছে তারুন্যের জোয়ার ।যে জোয়ারে ভেসে যাবে সমস্ত অপরাধ ।যার আলোয় নীভে যাবে সকল আঁধার ।তারুন্য এমন এক শক্তি ,যা মানেনা কোন বাঁধা কোন বিপত্তি।সকল অন্যায়কে দুমরে মুচরে দিয়ে সামনে এগিয়ে চলে প্রবলবেগে ।তারুন্য এক স্রোত ।যার তোরে ভেসে যাবে সমস্ত অন্যায় ।সাহবাগে তারুন্যের এই জাগরন একথাই প্রমান করে দিয়েছে বিশ্বকে ।এই জাগরন শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে জাগরন নয় ,সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাগরন ।বাংলায় যুদ্ধাপরাধী দুর্নীতিবাজসহ কোন অপরাধীই আর পার পাবেনা তারুন্যেই এই জনস্রোত একথাই প্রমান করে বার বার ।তাই রাজনিতিবীদদের বিরুদ্ধ এটা এক অশনি সংকেত ।বাংলার তরুন সর্বদাই তেজোদিপ্ত । তাদেয় হাত ধরেই সৃষ্টি ৫২ ৬৯ আর ৭১ এর উপখ্যান ।বাংলার ধামালসেনারা আবার জেগে উঠেছে ।জেগে উঠেছে একাত্তরের চেতনায় ।ফুসে উঠেছে একাত্তরে মানবতাবিরোধিদের ফাঁসির দাবিতে ।রুখবে এবার কে তাদের ? এদেশে অনেক হয়েছে ,অনেক হয়েছে আমাদের স্বপ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ।বস্তাপচা রাজনীতির বেড়াজালে আমাদের আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বহুকাল ধরে ।আমাদের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে কুলাংগার রাজনিতিবীদরা ।এবার আমরা প্রতিবাদী ।মুষ্টিবদ্ধ হাত এবার আকাশে ।আর নয় মাথানত ।দাবী এবার একটাই ।যুদ্ধাপরাধির বিচার চাই ।কিন্তু ভয় হয় শংকা জাগে ,এই জাগরনকে ভিন্নপথে ব্যবহার কেউ করে কিনা ।কিছু কিছু খবর বুকে ভয় ধরিয়ে দেয় । তবে আশংকা অমুলক নয় ।এটা ইতিপূর্বেও হয়েছে ।আমি চেয়ে আছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী বলে দাবীকারী ক্ষমতাশীল আওয়ামি সরকারের দিকে ।তারা কিভাবে তারুন্যের এই আন্দলন রেসপেক্ট করে ।সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী তাদের উচিত ছিল স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করা ।তারপরেও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করায় মানুষ আশায় বুক বেধেছিল যে যুদ্ধাপরাধীদের এবার ফাঁসি হবে।কিন্তু সে আশার গুরে এখন বালি পড়েছে ।গত চার বছরে বিভিন্ন সময় বিচার বিভাগ দলীয়করনের প্রমান পাওয়া গেছে যথেষ্ঠ।এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের বেলায় এমন বিচার দেখে আওয়ামিলীগের সদিচ্ছার অভাবই বার বার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সচেতন জনসাধারনকে ।তারপরও মানুষ অপেক্ষায় আছে ।পরবর্তি বিচারের রায় কি হয় সে দিকে চেয়ে আছে মানুষ ।এরপরও যদি জনসাধারনের চাওয়াকে উপেক্ষ করা হয় ,তারুনের জাগরনকে উপেক্ষ করা হয় তাহলে তরুনরা এবার দেখে নেবে ।এদেশে শৈরাচার ধ্বংস হয়েছে ।দূর্নীতিও প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ ।আওয়ামিলীগও যদি তারুন্যের স্বপ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাহলে তারাও পার পাবেনা ।দরকার হলে আবার একটা ৭১ আসবে ।আবার একটা যুদ্ধ হবে ।তারপরেও এদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে কো বাঁধা তারা কখনই বরদাস্ত করবে না ।তারুন্যই শক্তি তারুন্যই শান্তি ।জয় হোক তারুন্যের ।
আলোচিত ব্লগ
হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন
দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?
দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
শেখস্তান.....
শেখস্তান.....
বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেকালের বিয়ের খাওয়া
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?
২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন