somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিরত রিবিল্ডিং ওয়ার্কশপ এবং যুদ্ধের প্রভাবের উপর আমার একটি ভিডিও

১৪ ই জুন, ২০১২ দুপুর ২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



লিবিয়া যুদ্ধে সবচেয়ে ধ্বংস হওয়া শহরের নাম সিরত। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বুলেটের খোসা আর ঘরবাড়ি, গাছপালার ভাঙ্গা টুকরার জন্য শহরে পা ফেলার মতো জায়গা ছিল না। কিন্তু অন্য কোন উপায় না থাকায় শহরবাসীরা নিজেরাই শহর পরিষ্কার করা শুরু করে। দেখতে দেখতে মাত্র মাস দুয়েকের মধ্যেই শহরের চেহারা অনেকটাই ফিরে আসে। কিন্তু ধ্বংস হওয়া বড় বড় ভবনগুলো এখনও সেই আগের অবস্থাতেই আছে। সেগুলো ঠিক করার উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও গতি খুবই ধীর। অবশ্য সবকিছু একসাথে ঠিক করাও সম্ভব না। ধারণা করা হয় সিরত পূণর্গঠনে প্রায় ১০ বিলিয়ন দিনার খরচ হবে।

গত ১০ জুন সিরত ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি কর্তৃক একটা ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়, যার শিরোণাম ছিল এয়াদাত আ'মার মাদীনাত সেরত - রু'ইয়া মুস্তাক্ববালীয়া, অর্থাত্ দ্যা রিবিল্ডিং অফ সিরত সিটি - দ্যা ভিশন টু ফিউচার। অনুষ্ঠানে সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, সীপোর্ট, এয়ারপোর্ট প্রভৃতি বিষয়ে মোট ক্ষতির পরিমাণ এবং পুণর্গঠনে প্রয়োজনীয় মোট আর্থিক পরিমাণের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের সামনে একটা ভিডিও দেখানো হয়, যেখানে পূর্বে সিরত কিরকম সুন্দর ছিল, আর যুদ্ধের কারণে কিরকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এরপর কিভাবে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে সেগুলো দেখানো হয়। উল্লেখ্য এই ভিডিওটা আমারই বানানো। অ্যমেচার কাজ, তবুও সামান্য একটু প্রচেষ্টা। আশা করি সবাই ভিডিও দেখে জানাবেন কেমন লাগল।

একটা বিষয় বলি, মূল ভিডিওটা আরো বড় ছিল। সেখানে বিদ্রোহীরা কিভাবে সিরতে মিসাইল মারছে, অবিরাম গুলি বর্ষণ করছে, এরকম বেশ কিছু দারুণ ছবি এবং ভিডিও ক্লিপস ছিল। কিন্তু ভার্সিটি থেকে আমাকে বলা হয়, যুদ্ধ সংক্রান্ত সব ছবি এবং ভিডিও সরিয়ে ফেলতে। অর্থাত ধ্বংসস্তুপ দেখানো যাবে, কিন্তু তার কারণ দেখানো যাবে না! বুঝাই যাচ্ছে, ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও, মানুষের স্বভাব এখনও আগের মতোই রয়ে গেছে!


ভিডিওটার লিংক:



অনুষ্ঠানের কিছু ছবি:



বাম পাশেরটা আমি!





আমি কথা বলছি ফটোগ্রাফার মোহাম্মেদ সালেহের সাথে







সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪৩
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫৩

নারীনীতি ইস্যুতে তথাকথিত চুশীলদের নিয়ে কিছু কথা



ইদানিং নারীনীতি নিয়ে দেশে নানা তর্ক-বিতর্ক চলছে। আলেম-ওলামা এবং ইসলামপন্থীরা যখন পাশ্চাত্যঘেঁষা নারীনীতির সুপারিশকে দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন, তখনই মূলত এই আলোচনার বিস্তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারদের হতে হবে দেশের চিন্তাশীল সমাজের অগ্রনায়ক

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

আমার ৭ বছর ১১ মাসের ব্লগিং ক্যারিয়ারে ১০,০৭৩টি কমেন্ট করেছি। প্রতি পোস্টে গড়ে যদি ২টা করে কমেন্ট করে থাকি, তাহলে, আমি কম করেও ৫০০০টি পোস্ট পড়েছি। এর অর্থ, বছরে প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের শাহেদ জামাল- ৭৮

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭



আমার বন্ধু শাহেদ। শাহেদ জামাল।
খুবই ভালো একটা ছেলে। সামাজিক এবং মানবিক। হৃদয়বান তো অবশ্যই। দুঃখের বিষয় শাহেদের সাথে আমার দেখা হয় মাসে একবার। অথচ আমরা একই শহরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার অটোরিকশা

লিখেছেন শামীম মোহাম্মাদ মাসুদ, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

সেদিন একটা রিপোর্টে দেখলাম ঢাকা শহরে প্রায় ২০ লাখ রিক্সা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিক্সার সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ! ২০১৯ সালের একটা জরিপে রিক্সার সংখ্যা ছিলো ১৩ লাখ। তার মানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৃষ্টির ঋণ....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:২৭

সৃষ্টির ঋণ....

মধ্য দুপুরে ডেল্টা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সিএনজি, বাইক, উবার কিছুই পাচ্ছিনা। অনেকটা পথ হেটে বাংলা কলেজের সামনে বেশকিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটা রিকশা পেয়েছি....ঘর্মাক্ত ষাটোর্ধ কংকালসার রিকশাওয়ালাকে দেখে এড়িয়ে যাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×