কিছু আষাড়ে গল্প শুনছিলাম,
নদীর সাথে পাহাড়ের কিংবা বারান্দায় দাঁড়ানো একা কিশোরের-
ঝুম দুপুরে তখন সকাল ডুবে গেছে,
গাংচিল উড়ছে অলস।
তখন অপেক্ষা কেবল সুর্যাস্তের,
পাতানো সুখে দুখ ভোলানোর,
না মানুষী বনে মন হারানোর,
আর তার শ্রীচরণে সুর খোয়ানোর।
না পাওয়া সুখ হারাবার ভয়ে তখন বিকেল নেমে গেছে,
আদুরে কিশোরীর ঘুম ভেঙ্গে গেছে,
ভাঙ্গা দেয়ালে বসা ছেলেটার চোখ ভরে গেছে,
কেননা কিশোরী হেসেছে অকৃপণ।
মেটে রঙ্গা ফুলটায় পাপড়ি নেই বলে সেকী হাহাকার-
তুমি বুঝি এই নিয়ে এলে মোর সনে,
না হিয়া বেধেছে রাগ,সুরে সুরে বিলীন অবসাদ;
-এইই যে ছিলো কেবল।
সুর্য নেমেছে পাটে,গাংচিল ফিরে গেছে নীড়ে,
কিশোর তখনো কিশোরীর চোখে তাকিয়ে নির্বাক,
দুরন্ত অভিমানে নদীতে জেগেছে বাক,
স্রোতে স্রোতে মিশেছে আবেগ ঝাক ঝাক।
কিশোর কেদেছে,কিশোরী হেসেছে,হাসি-কান্নার ভীড়ে
মাতাল প্রণয়ে হাত ছুয়ে দিয়েছে।
জানি না সে সুখে কিনা-কিশোরের তখন স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে,
ঝুম দুপুরে এক হয়ে গেছে দিন-রাত্রি,
পাতানো দুখে হারিয়েছে সব প্রাপ্তি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৫