আজকাল ফেসবুক থেকে যেখানেই দেখি, যার সাথেই কথা বলি সবাই শুধুই নিজেকে নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত। নিজের সবকিছু জাহির করতে চায়। নিজের প্রচারেই ব্যস্ত।
আর তাকে সবাই প্রশংসা করুক শুধু ইহাই চায়।
তবে আজ এক জীবন্ত কিংবদন্তীর কথা বলছি । নাহ তিনি নোবেল বিজয়ী নন, তিনি অতি সাধারন ।তিনি আমার খালাতো বোন প্রীতি আপু।তিনি যেখানেই গিয়েছেন তাকে লোকে খুব ভালবেসে ফেলে আর তাঁর মনখোলা হাসি আর পরিবারের জন্য সবকিছু উজার করে দেওয়া।
প্রীতি আপু অনেক ভাল লিখতেন । তাঁর বিরিয়ানী লন্ডনে সবাই খুব পছন্দ করে।
আজ তাঁর ব্লগের লেখাটা পড়ে আমারও মনে হলে আসলেই এই উদ্ভট সমাজ আমরা চাই না।
ইংল্যান্ডে দুলাভাই দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তারী করছেন। কিন্তু সাদাদের প্রহসন ও বাজে ব্যবহারের জন্য তাঁর সহকর্মী সাদা ডাক্তারদের বিপক্ষে কেস করেছেন। কারন সাদারা এক পর্যায়ের পর আর উচ্চ পদ দিতে চায় না আর এর জন্য কথা বললে নীচের পোষ্টে নামিয়ে দেয় বা সেচ্ছায় রিটায়ার নিতে বলেন।
এত বাঙ্গালী থাকতে একমাত্র দুলাভাই ই প্রথম ইংরেজদের প্রবাসী বাঙ্গালীদের অত্যাচারের ও তিক্ত কথার বিপক্ষে কোর্টে প্রায় তিন/ চার বছর ধরে আপিল করে যাচ্ছেন। তাঁর পাশে আমার প্রীতি আপু ও তাঁর মেয়ে ডাঃ লিলিয়ান। সানজানও ডাক্তারী পড়ার পাশাপাশি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছে।
শেষমেষ লিলিয়ানের সাথে যখন কথা হল তখন এই প্রতিবাদকে আরো বেগবান ও আরো উচ্চ আদালতে নেওয়ার কথা হচ্ছিল।
দুলাভাই যদি এই কেস জিতেন তবে বাঙ্গালী কর্মজীবি ও ইংরেজ বাদে বাকী লোকদের প্রতি যে অন্যায় ও অত্যাচার হয় তাঁর জন্য এক সোচ্চার প্রতিবাদ হবে।
আর আমার প্রীতি আপু সেই সাহসী নারী যে দুলাভাইয়ের ন্যায়ের পক্ষে বারে বারে নিরন্তন উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।
আজ তাই আমার সাহসী ও মায়াবী প্রীতি আপুর কথা বারে বারে মনে পড়ছে।
Click This Link