তুমি চঞ্চল, তুমি উদ্দাম, তুমি প্রানবন্ত
তুমি নিষ্ঠুর, তুমি অঘটন পটিয়সী।
তুমি আমাকে চাইতে, ভীষন ভয় লাগত আমার তোমাকে,
তোমার নষ্ট ইতিহাস শুনতাম লোকের মুখে মুখে।
তোমার ভালত্ব আর ভদ্রতা ক্রমে ক্রমে খসে পড়ছিল,
তুমি দিনকে দিন নাম না জানা দানব হয়ে যাচ্ছিলে।
তোমার অস্থির দোদল্যমান মনটাকে ঠিক করার দায়িত্ব নিলা্ম ,
দিনরাত দাসীর মত তোমার সেবা করলাম, নিজেকে হারিয়ে ফেললাম ।
তোমাকে বিপথ থেকে আনার জন্য মনের সতিত্বকে
বিলিয়ে দিলাম অকাতরে, সবকিছু হারালাম একনিশ্বাসে ।
তোমাকে নিয়ে আসলাম আলোর পথে
যার দিশারী আর ভক্ত তুমি সর্বদা ছিলে
একসময় আবিস্কার করলাম হয়তবা আমার দেহকে
তুমি অপছন্দ কর, আমার পরিবারকেও বুঝি।
বুঝলাম তোমার অর্ধাঙ্গী হওয়া আর যাবে না
অন্য একটি মেয়েকে ঠিক করে দিলাম।
তোমাকে এমন রাগালাম যেন তুমি চিরতরে
মোরে ভুলে যাও, আল্লাহর দরবারে হাত তুললাম।
এখন তোমার জীবন সুন্দর গোছাল হয়ে যাবে
তোমার হলুদে, তোমার বিয়েতে তোমার সবকিছুতে
আমার শুভকামনা পৌছে যাবে,
তোমার কাজে তোমার অনুপ্রেরনায়,
আমি মিশে থাকব, যখন ঘুম আসবে না
তুমি চোখ বুজে আমার স্লোকগাথা স্মরন করবে
মিষ্টি পাখি, দুষ্টু তাঁরা আর ঘুমিয়ে যাবে।
তোমার পুতুলের মত বাচ্চাগুলিকে আমিই
প্রথম চুমো খাবো, তুমি স্মিত হাসবে ।
এই অনেক ভাল, আমি থাকব না অর্ধাঙ্গী হয়ে
কিন্তু তোমার পুরো অস্তিত্ব জুড়ে পূর্নাঙ্গী রইব ।