বেশিদিনের ঘটনা তো না। ইসলাম ও মহানবী (সঃ) এর নামে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে অকথ্য ভাষায় অশ্লিল লেখালেখির জেরে সারা দেশে প্রবল প্রতিবাদ হয়েছিল। বহু লোক হতাহত হয়েছিল। বাধ্য হয়েই আওয়ামি লিগ সরকার ইসলামের অবমাননার অভিযোগে কয়েকজন দুর্বৃত্তকে আটকও করেছিল।
এর পর দুটি মাস নির্বিঘ্নে কাটলেও আবারও ইসলাম ও মহানবীকে কটাক্ষ করে মন্তব্য দেয়া হয়েছে। তাও আবার ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বলে দাবিদার সামুতে। রিপোর্ট করার পরেও সেটা সরানো হয়নি।
এর আগে আমারই একটি পোস্টে একজন মাল্টিনিকধারি "মালাউন" শব্দটি উচ্চারণ করেও দিব্যি পার পেয়ে গিয়েছে। (কয়েকজন রিপোর্ট করার পরেও ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি)
লিঙ্ক
Click This Link
তার পরের দিনই খোদ স্টিকি পোস্টে (নীচে স্ক্রিন শট দেখুন) কি জঘণ্য ভাষায় মহানবী (সঃ)কে নারী লোলুপ যুদ্ধবাজ (নাউজুবিল্লাহ) বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।
লিংক
Click This Link
তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে, ধর্মের অবমাননা করাটাই তথাকথিত মুক্তমন আর অসাম্প্রদায়িকতার লক্ষণ? এর আগে ইসলামোফোবিক জনৈক লেখা চোরের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ডয়েচে ভেলে সামু কর্তৃপক্ষ্যের প্রধান বক্তব্য দিয়েছিলেন।
আমার ভুল না হলে বলবো, এই ধরণের মানসিকতাই সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে ঘৃণাবাদিদের উৎসাহ দিয়েছে।
জনগণের রোষের মুখে সরকার ইতিমধ্যেই ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন করে শাস্তি বিধানের ব্যাবস্থা করেছে।
আমরা দেখতে চাই, সরকার তার বানানো আইনের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাশীল কিনা !
তবে স্বাধীন বাংলাদেশে কোনদিন কোন ঘৃণাবাদকে যেমন প্রশ্রয় দেয়া হয়নি, তেমনি আজও দেয়া হবে না।