তুরস্ক
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঝাঁপ দাও: পরিভ্রমণ, অনুসন্ধান
Türkiye Cumhuriyeti
ত্যুর্কিয়ে জুম্হুরিয়েতি
তুরস্ক প্রজাতন্ত্র
পতাকা Emblem
নীতিবাক্য
"গৃহে শান্তি, বিশ্বে শান্তি"
Yurtta Sulh, Cihanda Sulh
জাতীয় সঙ্গীত
İstiklâl Marşı
Independence March
রাজধানী আঙ্কারা
বৃহত্তম শহর
ইস্তাম্বুল
রাষ্ট্রীয় ভাষাসমূহ
Turkish
সরকার
Parliamentary প্রজাতন্ত্র
- রাষ্ট্রপতি আহমেত নেজদেত সেজের
- প্রধানমন্ত্রী রেজেপ তাইয়িপ এর্দোগান
Succession
to the Ottoman Empire2
- War of Independence May 19 1919
- Formation of Parliament April 23 1920
- Declaration of Republic October 29 1923
আয়তন
- মোট 783,562 বর্গকিমি (37th)
302,535 বর্গমাইল
- জলভাগ (%) 1.3
জনসংখ্যা
- 2007 আনুমানিক 71,158,647 (17th3)
- 2000 আদমশুমারি 67,803,927
- ঘনত্ব 93 /বর্গ কিমি (102nd3)
240 /বর্গমাইল
জিডিপি (পিপিপি) 2006 আনুমানিক
- মোট $612.3 billion (17th)
- মাথাপিছু $9,107 (69th)
জিডিপি (নামমাত্র) 2007 IMF আনুমানিক
- মোট $392,424 billion (18th)
- মাথাপিছু $5,408 (68th)
জিনি (2003) 43.6 (medium)
এইচডিআই (2006) বৃদ্ধি 0.7574 (medium) (92nd4)
মুদ্রা
New Turkish Lira5 (TRY)
সময় স্থান
EET (ইউটিসি+2)
- গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) EEST (ইউটিসি+3)
ইন্টারনেট টিএলডি
.tr
কলিং কোড
90
২. Treaty of Lausanne (1923).
৩. Population and population density rankings based on 2005 figures.
৪. UN Nations HDI Report, page 284
৫. The New Turkish Lira (Yeni Türk Lirası, YTL) replaced the old Turkish Lira on 1 January 2005.
বহিঃস্থ কালপঞ্জি
এই বিষয়ের একটি চিত্রলৈখিক কালপঞ্জি এখানে ক্লিক করলে পাওয়া যাবে:
History of the Republic of Turkey
তুরস্ক (তুর্কি ভাষায় Türkiye ত্যুর্কিয়ে), সরকারী নাম প্রজাতন্ত্রী তুরস্ক (Türkiye Cumhuriyeti ত্যুর্কিয়ে জুম্হুরিয়েতি), পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। তুরস্কের প্রায় পুরোটাই এশীয় অংশে, পর্বতময় আনাতোলিয়া (তুর্কি: Antalya আন্তালিয়া) বা এশিয়া মাইনর উপদ্বীপে পড়েছে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা আনাতোলিয়াতেই অবস্থিত। তুরস্কের বাকী অংশের নাম পূর্ব বা তুর্কীয় থ্রাস এবং এটি ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত। এই অঞ্চলটি উর্বর উঁচু নিচু টিলাপাহাড় নিয়ে গঠিত। এখানে তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তানবুল অবস্থিত। সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জলপথ এশীয় ও ইউরোপীয় তুরস্ককে পৃথক করেছে --- মার্মারা সাগর, এবং বস্পরাস ও দার্দানেল প্রণালী। এই তিনটি জলপথ একত্রে কৃষ্ণ সাগর থেকে এজীয় সাগরে যাবার একমাত্র পথ তৈরি করেছে।
তুরস্ক মোটামুটি চতুর্ভুজাকৃতির। এর পশ্চিমে এজীয় সাগর ও গ্রিস; উত্তর-পূর্বে জর্জিয়া, আর্মেনিয়া ও স্বায়ত্বশাসিত আজারবাইজানি প্রজাতন্ত্র নাখচিভান; পূর্বে ইরান; দক্ষিণে ইরাক, সিরিয়া ও ভূমধ্যসাগর। তুরস্কের রয়েছে বিস্তৃত উপকূল, যা দেশটির সীমান্তের তিন-চতুর্থাংশ গঠন করেছে।
তুরস্কের ভূমিরূপ বিচিত্র। দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমে আছে উর্বর সমভূমি। পশ্চিমে আছে উঁচু, অনুর্বর মালভূমি। পূর্বে আছে সুউচ্চ পর্বতমালা। দেশের অভ্যন্তরের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হলেও ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ু মৃদু।
ইউরোপ সঙ্গমস্থলে অবস্থিত বলে তুরস্কের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিবর্তনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়েছে। গোটা মানবসভ্যতার ইতিহাস জুড়েই তুরস্ক এশিয়া ও ইউরোপের মানুষদের চলাচলের সেতু হিসেবে কাজ করেছে। নানা বিচিত্র প্রভাবের থেকে তুরস্কের একটি নিজস্ব পরিচয়ের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে এখানকার স্থাপত্য, চারুকলা, সঙ্গীত ও সাহিত্যে। গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও অনেক অতীত ঐতিহ্য ও রীতিনীতি ধরে রাখা হয়েছে। তবে তুরস্ক বর্তমানে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানকার অধিকাংশ লোকের ধর্ম ইসলাম এবং মুখের ভাষা তুর্কি ভাষা।
বহু শতাব্দী ধরে তুরস্ক ছিল মূলত কৃষিপ্রধান একটি দেশ। বর্তমানে কৃষিখামার তুরস্কের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এবং দেশের শ্রমশক্তির ৩৪% এই কাজে নিয়োজিত। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তুরস্কে শিল্প ও সেবাখাতের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, বিশেষত অর্থসংস্থান, পরিবহন, এবং পেশাদারী ও সরকারী সেবায়। অন্যদিকে কৃষির ভূমিকা হ্রাস পেয়েছে। টেক্সটাইল ও বস্ত্র শিল্প দেশের রপ্তানির প্রধান উৎস।
অর্থনৈতিক রূপান্তরের সাথে সাথে নগরায়নের হারও অনেক বেড়েছে। বর্তমানে তুরস্কের ৭৫% জনগণ শহরে বাস করে। ১৯৫০ সালেও মাত্র ২১% শহরে বাস করত। জনসংখ্যার ৯০% তুরস্কের এশীয় অংশে বাস করে। বাকী ১০% ইউরোপীয় অংশে বাস করে।
তুরস্কের ইতিহাস দীর্ঘ ও ঘটনাবহুল। প্রাচীনকাল থেকে বহু বিচিত্র জাতি ও সংস্কৃতির লোক এলাকাটি দখল করেছে। ১৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে এখানে হিটাইটদের বাস ছিল। তাদের সময়েই এখানে প্রথম বড় শহর গড়ে ওঠে। এরপর এখানে ফ্রিজীয়, গ্রিক, পারসিক, রোমান এবং আরবদের আগমন ঘটে। মধ্য এশিয়ার যাযাবর তুর্কি জাতির লোকেরা ১১শ শতকে দেশটি দখল করে এবং এখানে সেলজুক রাজবংশের পত্তন করে। তাদের শাসনের মাধ্যমেই এই অঞ্চলের জনগণ তুর্কি ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মিশে যায়। ১৩শ শতকে মোঙ্গলদের আক্রমণে সেলজুক রাজবংশের পতন ঘটে। ১৩ শতকের শেষ দিকে এখানে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পত্তন হয়। এরা পরবর্তী ৬০০ বছর তুরস্ক শাসন করে এবং আনাতোলিয়া ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকার এক বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যটির পতন ঘটে।
১৯২৩ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের তুর্কিভাষী এলাকা আনাতোলিয়া ও পূর্ব থ্রাস নিয়ে মুস্তাফা কেমাল (পরবর্তীতে কেমাল আতাতুর্ক)-এর নেতৃত্বে আধুনিক তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৩৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আতাতুর্ক তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি একটি শক্তিশালী, আধুনিক ইউরোপীয় রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্কের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তার সরকারের মূলনীতিগুলি কেমালবাদ নামে পরিচিত এবং এগুলি পরবর্তী সমস্ত তুরস্ক সরকারের জন্য নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করেছে। আতাতুর্কের একটি বিতর্কিত মূলনীতি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। কেমালের কট্টর অনুসারীরা মনে করেন ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে ধর্মের স্থান নেই এবং রাজনৈতিক দলগুলির ধর্মীয় ইস্যু এড়িয়ে চলা উচিত।
১৯৫০-এর দশক থেকে রাজনীতিতে ধর্মের ভূমিকা তুরস্কের একটি বিতর্কিত ইস্যু। তুরস্কের সামরিক বাহিনী নিজেদেরকে কেমালবাদের রক্ষী বলে মনে করে এবং তারা ১৯৬০, ১৯৭১, ১৯৮০ এবং ১৯৯৭ সালে মোট চারবার তুরস্কের রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে হস্তক্ষেপ করেছে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক হারুন অ্যানাটোলিয়ান উপদ্বীপ, আধুনিক তুরস্ক অধিকাংশ গঠিত, প্রাচীনতম বিশ্বের অবিরত অধ্যুষিত এলাকাগুলোর একটি. নিকটতম যেমন Çatalhöyük (মৃত্শিল্প নবপ্রস্তরযুগীয়), Çayönü (প্রাক মৃত্শিল্প মৃত্শিল্প নবপ্রস্তরযুগীয় থেকে নবপ্রস্তরযুগীয় একটি), Nevalı Çori (প্রাক মৃত্শিল্প নবপ্রস্তরযুগীয় বি), Hacılar (মৃত্শিল্প নবপ্রস্তরযুগীয়), Göbekli Tepe (প্রাক মৃত্শিল্প নবপ্রস্তরযুগীয় একটি) এবং হিসাবে নবপ্রস্তরযুগীয় উপনিবেশসমূহ Mersin (Yumuktepe) নিকটতম বিশ্বের মানুষের বসবাসের মধ্যে হতে বিবেচনা.
রাজনীতি[সম্পাদনা]
তুরস্কের রাজনীতি একটি বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত।
তুরস্কে ৫৫০ আসনের একটি সংসদ আছে, যার সদস্যরা ৫ বছরের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার গঠন করে এবং সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতিকে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত করেন। আবদুল্লাহ গুল ২০০৭ সাল থেকে দেশটির বর্তমান রাষ্ট্রপতি। রেজেব তায়িপ এরদোয়ান দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
তুরস্কের সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনে ধর্মনিরপেক্ষতাকে জোর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ[সম্পাদনা]
ভূগোল[সম্পাদনা]
তুরস্ক দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আনাতোলিয়া উপদ্বীপের সম্পূর্ণ অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত। ফলে ভৌগলিকভাবে দেশটি একই সাথে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত। আলাতোলীয় অংশটি তুরস্কের প্রায় ৯৭% আয়তন গঠন করেছে। এটি মূলত একটি পর্বতবেষ্টিত উচ্চ মালভূমি। আনাতোলিয়ার উপকূলীয় এলাকায় সমভূমি দেখতে পাওয়া যায়। তুরস্কের দক্ষিণ-ইউরোপীয় অংশটি ত্রাকিয়া নামে পরিচিত; এটি আয়তনে তুরস্কের মাত্র ৩% হলেও এখানে তুরস্কের ১০% জনগণ বাস করে। এখানেই তুরস্ক ও গোটা ইউরোপের সবচেয়ে জনবহুল শহর ইস্তানবুল অবস্থিত (জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ)। ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগরকে সংযুক্তকারী বসফরাস প্রণালী, মর্মর সাগর ও দার্দানেল প্রণালী ত্রাকিয়া ও আনাতোলিয়াকে পৃথক করেছে।
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
তুর্কি ভাষা তুরস্কের সরকারী ভাষা। এখানকার প্রায় ৯০% লোক তুর্কি ভাষাতে কথা বলেন। এছাড়াও এখানে আরও প্রায় ৩০টি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে আদিগে,আরবি, আর্মেনীয়, আজারবাইজানি, জর্জীয়, কুর্দি (প্রায় ৪০ লক্ষ বক্তা), এবং রোমানি উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়।